২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানীয় জল, শৌচাগার নেই গুজরাতের অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়িতে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 92

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: যে কোনও রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’-র ঢালাও বিজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘুরে ফিরে তিনি বলেন, ডবল সুযোগ পেতে হলে, ডবল ইঞ্জিন সরকারকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার। দেশের ডবল ইঞ্জিন সরকার চালিত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম গুজরাত।

অথচ সেরাজ্যের উন্নয়নের রথে অঙ্গনওয়াড়ি নামের চাকার শোচনীয় পরিস্থিতি দেখে আকাশ থেকে পড়ছেন বিরোধীরা। মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেরাজ্যের ২,২৯৬ টিরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারেনি ভুপেন্দ্রভাই প্যাটেলের সরকার। তাছাড়া প্রায় ১,৫৬৪ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য কোনও শৌচাগারই নেই।

শুধু তাই নয়, মূল্যবৃদ্ধির আঁচে যখন গোটা দেশের মানুষের হাত পুড়ছে, তখন গুজরাতের ডবল ইঞ্জিন সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরকে মাসিক বেতন  হিসেবে দিচ্ছে মাত্র ৫,৫০০ টাকা। অন্যদিকে, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকারা পান মাত্র ৩,২৫০ টাকা।

‘গুজরাত   জনতা  জাগৃতি  মঞ্চ’-র সভাপতি, রজনীকান্ত ভারতীয়ার মতে, ‘মুদ্রাস্ফীতির বাজারে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কী করবে এই কর্মীরা? এত কম মজুরি দিয়ে,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের শোষণ করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অসংখ্যবার এই কর্মীদের বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু উত্তর পাইনি।’ উল্লেখ্য, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অধিকারের জন্য কাজ করেন রজনীকান্ত।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পানীয় জল, শৌচাগার নেই গুজরাতের অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়িতে

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: যে কোনও রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’-র ঢালাও বিজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘুরে ফিরে তিনি বলেন, ডবল সুযোগ পেতে হলে, ডবল ইঞ্জিন সরকারকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার। দেশের ডবল ইঞ্জিন সরকার চালিত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম গুজরাত।

অথচ সেরাজ্যের উন্নয়নের রথে অঙ্গনওয়াড়ি নামের চাকার শোচনীয় পরিস্থিতি দেখে আকাশ থেকে পড়ছেন বিরোধীরা। মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেরাজ্যের ২,২৯৬ টিরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে পারেনি ভুপেন্দ্রভাই প্যাটেলের সরকার। তাছাড়া প্রায় ১,৫৬৪ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য কোনও শৌচাগারই নেই।

শুধু তাই নয়, মূল্যবৃদ্ধির আঁচে যখন গোটা দেশের মানুষের হাত পুড়ছে, তখন গুজরাতের ডবল ইঞ্জিন সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরকে মাসিক বেতন  হিসেবে দিচ্ছে মাত্র ৫,৫০০ টাকা। অন্যদিকে, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকারা পান মাত্র ৩,২৫০ টাকা।

‘গুজরাত   জনতা  জাগৃতি  মঞ্চ’-র সভাপতি, রজনীকান্ত ভারতীয়ার মতে, ‘মুদ্রাস্ফীতির বাজারে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কী করবে এই কর্মীরা? এত কম মজুরি দিয়ে,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের শোষণ করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অসংখ্যবার এই কর্মীদের বেতন বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু উত্তর পাইনি।’ উল্লেখ্য, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অধিকারের জন্য কাজ করেন রজনীকান্ত।