০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খেলা শুরু, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারে সিঁদুরে মেঘ, কলকাতায় এলেন একঝাঁক বিধায়ক

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৭ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার
  • / 42

পুবের কলম ওয়েরবডেস্কঃ বিজেপিকে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ করে রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আক্ষরিক অর্থেই জমে উঠেছে খেলা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যেমন এখন জোড়াফুল শিবিরের পাখির চোখ তেমন ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তৃণমূল।

ত্রিপুরায় তৃণমূলের সক্রিয়তায় ইতিমধ্যেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা থেকে ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেতাদের ওপর হামলা বাদ যায়নি কিছুই।এসব করেও যে জোড়াফুল শিবিরের মনোবলে এতটুকু আঁচড় কাটা যাবেনা তা বলেই দিচ্ছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।

তবে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের সিঁদুরে মেঘ দেখার কারণ কিন্তু আরও আছে। সূত্রের খবর হাওয়া বুঝে নিয়ে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়করা যোগাযোগ রেখে চলেছেন তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে। 

তৃণমূলের দলীয় মূখপত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্পষ্টতই দাবি করা হয়েছে ত্রিপুরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে বিপ্লব দেবের সরকার। আর এই জল্পনাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ত্রিপুরার বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কের কলকাতায় আগমণ।

আজ শুক্রবার এই বিজেপি বিধায়করা দেখা করতে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। সূত্রের খবর ত্রিপুরা বিজেপিতে এমন অনেক বিধায়ক আছেন যারা বিপ্লব দেবের ঘোরতর বিরোধী। তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চায় এখন তৃণমূল

উল্লেখ্য এই ভাবে বিধায়কদের দলে টেনে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে নিজেদের সরকার গড়ে তোলা গেরুয়া শিবিরের পুরনো খেলা। এবার সেই পচা শামুকেই তাদের পা কাটার অপেক্ষা।

তৃণমূলে আসতে চান ত্রিপুরার পাঁচবারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন অধ্যক্ষ জিতেন সরকার, আবার ত্রিপুরা বিজেপি সহ সভাপতি অশোক দেববর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন। তাই খেলা যে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কথা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খেলা শুরু, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারে সিঁদুরে মেঘ, কলকাতায় এলেন একঝাঁক বিধায়ক

আপডেট : ২৭ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েরবডেস্কঃ বিজেপিকে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ করে রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আক্ষরিক অর্থেই জমে উঠেছে খেলা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন যেমন এখন জোড়াফুল শিবিরের পাখির চোখ তেমন ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তৃণমূল।

ত্রিপুরায় তৃণমূলের সক্রিয়তায় ইতিমধ্যেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা থেকে ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেতাদের ওপর হামলা বাদ যায়নি কিছুই।এসব করেও যে জোড়াফুল শিবিরের মনোবলে এতটুকু আঁচড় কাটা যাবেনা তা বলেই দিচ্ছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল।

তবে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের সিঁদুরে মেঘ দেখার কারণ কিন্তু আরও আছে। সূত্রের খবর হাওয়া বুঝে নিয়ে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়করা যোগাযোগ রেখে চলেছেন তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে। 

তৃণমূলের দলীয় মূখপত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্পষ্টতই দাবি করা হয়েছে ত্রিপুরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে বিপ্লব দেবের সরকার। আর এই জল্পনাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ত্রিপুরার বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়কের কলকাতায় আগমণ।

আজ শুক্রবার এই বিজেপি বিধায়করা দেখা করতে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। সূত্রের খবর ত্রিপুরা বিজেপিতে এমন অনেক বিধায়ক আছেন যারা বিপ্লব দেবের ঘোরতর বিরোধী। তাই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চায় এখন তৃণমূল

উল্লেখ্য এই ভাবে বিধায়কদের দলে টেনে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে নিজেদের সরকার গড়ে তোলা গেরুয়া শিবিরের পুরনো খেলা। এবার সেই পচা শামুকেই তাদের পা কাটার অপেক্ষা।

তৃণমূলে আসতে চান ত্রিপুরার পাঁচবারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন অধ্যক্ষ জিতেন সরকার, আবার ত্রিপুরা বিজেপি সহ সভাপতি অশোক দেববর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন। তাই খেলা যে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কথা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।