২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্রুত গতিতে কমছে জাপানের জনসংখ্যা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 94

বিশেষ প্রতিবেদন: পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপান। দেশটি সূর্যোদয়ের দেশ নামে পরিচিত। দেশটির সৌন্দর্য, পরিচ্ছন্নতা, মানুষের সময়ানুবর্তিতা, নিয়ম-রীতি, কাজের প্রতি ভালোবাসা দেখলে যে কেউই অবাক হবে। তবে এত কিছুর পরও দেশটিতে দেখা দিয়েছে এক চাপা ভয়। জাপানের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে অন্য দ্রুত গতিতে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একটি সময় প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না ভূখণ্ডটিতে।

বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে জাপানের জনসংখ্যা। ২০০৯ সালে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ১২৮ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন। সেখানে ২০২৩ সালে এসে এই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১২৪ দশমিক ৪০ মিলিয়নে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সালে এই সংখ্যাটা ৮০ মিলিয়নে নেমে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জাপানের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হল জন্মহার কমে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়া।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে দেশটিতে প্রতি হাজারে জন্ম নেয় ৭ দশমিক ১৩ জন যা ২০২২ সালের তুলনায় কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর দেশটিতে মাত্র ৮ লক্ষ শিশু জন্ম নিয়েছে, যা ১৮৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, প্রতি হাজারে মৃত্যুবরণ করছে ১১ দশমিক ৫২৩ জন। ২০২২ সালে যা ছিল ১১ দশমিক ৩০৪ জনে। এই জন্মহার হ্রাস এবং মৃত্যুহার বৃদ্ধির পরিমাণ দেশটিকে ক্রমাগত জনসংখ্যা হ্রাসের ঝুঁকিতে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে ভারসাম্য রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার নতুন কৌশল

আরও পড়ুন: জাপানের প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান চাঁদে অবতরণে ব্যর্থ

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দ্রুত গতিতে কমছে জাপানের জনসংখ্যা

আপডেট : ১৭ মে ২০২৩, বুধবার

বিশেষ প্রতিবেদন: পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপান। দেশটি সূর্যোদয়ের দেশ নামে পরিচিত। দেশটির সৌন্দর্য, পরিচ্ছন্নতা, মানুষের সময়ানুবর্তিতা, নিয়ম-রীতি, কাজের প্রতি ভালোবাসা দেখলে যে কেউই অবাক হবে। তবে এত কিছুর পরও দেশটিতে দেখা দিয়েছে এক চাপা ভয়। জাপানের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে অন্য দ্রুত গতিতে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একটি সময় প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না ভূখণ্ডটিতে।

বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে জাপানের জনসংখ্যা। ২০০৯ সালে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ১২৮ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন। সেখানে ২০২৩ সালে এসে এই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১২৪ দশমিক ৪০ মিলিয়নে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সালে এই সংখ্যাটা ৮০ মিলিয়নে নেমে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জাপানের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হল জন্মহার কমে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়া।

আরও পড়ুন: ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটি ছাড়িয়েছে, কমেছে জন্মহার 

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে দেশটিতে প্রতি হাজারে জন্ম নেয় ৭ দশমিক ১৩ জন যা ২০২২ সালের তুলনায় কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছর দেশটিতে মাত্র ৮ লক্ষ শিশু জন্ম নিয়েছে, যা ১৮৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, প্রতি হাজারে মৃত্যুবরণ করছে ১১ দশমিক ৫২৩ জন। ২০২২ সালে যা ছিল ১১ দশমিক ৩০৪ জনে। এই জন্মহার হ্রাস এবং মৃত্যুহার বৃদ্ধির পরিমাণ দেশটিকে ক্রমাগত জনসংখ্যা হ্রাসের ঝুঁকিতে নিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে ভারসাম্য রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ার নতুন কৌশল

আরও পড়ুন: জাপানের প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান চাঁদে অবতরণে ব্যর্থ