০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলামোফোবিয়া: ২০২২ সালে জার্মানির ৩৫ মসজিদে হামলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 101

বিশেষ প্রতিবেদন: ২০২২ সালে জার্মানির ৩৫টি মসজিদে ইসলাম-বিদ্বেষী (ইসলামোফোবিক) হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে জার্মানিতে আশ্রিত উগ্রডানপন্থী দলগুলিও বেশ তাণ্ডব চালিয়েছে। সম্প্রতি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তুর্কি-মুসলিম সংস্থা ডিটিআইবি। ডিটিআইবি’র বৈষম্য-বিরোধী অফিস তার ৩২ পাতার রিপোর্টে বিদ্বেষ প্রসূত হামলা, হুমকি, মসজিদ ও ইসলামি প্রতিষ্ঠান-সংস্থাকে টার্গেট করার বিষয়গুলি তুলে ধরেছে।

 ডিটিআইবি বলছে, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে মুসলিম-বিরোধী সহিংসতার যোগ রয়েছে। এরই পাশাপাশি জনসমক্ষে বিতর্কসভায় অভিবাসী, মুসলিম ও ইসলাম-বিরোধী বিষয় উত্থাপনের ঘটনা তো আছেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মেরুকরণ ও উদ্দেশ্যহীন বিতর্করে কারণে মসজিদে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

 ২০২২-এ জার্মানির যে ৩৫টি মসজিদে হামলা চলেছিল তার মধ্যে ১৯টি মসজিদে হামলার ঘটনাই বিদ্বেষমূলক। আর আটটি হামলা চালিয়েছিল উগ্র ডানপন্থী দলের সদস্যরা। দেখা গিয়েছে, ৭টি এমন ঘটনায় তুর্কি-বিরোধী মনোভাবই হামলাকারীর মূল অনুপ্রেরণা ছিল। রিপোর্টে লেখা, তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে জার্মানির কয়েকটি মসজিদে হামলা চালিয়েছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থানে জার্মানিতে বর্ণবিদ্বেষ এবং ইসলামোফোবিয়া ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জনসমক্ষে অভিবাসী-বিরোধী প্রচার ও বিদ্বেষ-ভাষণের মাধ্যমে সমাজের স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করেছে তারা। উল্লেখ্য, জার্মানিতে ৮ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের বসবাস। দেশে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসলামোফোবিয়া: ২০২২ সালে জার্মানির ৩৫ মসজিদে হামলা

আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার

বিশেষ প্রতিবেদন: ২০২২ সালে জার্মানির ৩৫টি মসজিদে ইসলাম-বিদ্বেষী (ইসলামোফোবিক) হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে জার্মানিতে আশ্রিত উগ্রডানপন্থী দলগুলিও বেশ তাণ্ডব চালিয়েছে। সম্প্রতি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তুর্কি-মুসলিম সংস্থা ডিটিআইবি। ডিটিআইবি’র বৈষম্য-বিরোধী অফিস তার ৩২ পাতার রিপোর্টে বিদ্বেষ প্রসূত হামলা, হুমকি, মসজিদ ও ইসলামি প্রতিষ্ঠান-সংস্থাকে টার্গেট করার বিষয়গুলি তুলে ধরেছে।

 ডিটিআইবি বলছে, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে মুসলিম-বিরোধী সহিংসতার যোগ রয়েছে। এরই পাশাপাশি জনসমক্ষে বিতর্কসভায় অভিবাসী, মুসলিম ও ইসলাম-বিরোধী বিষয় উত্থাপনের ঘটনা তো আছেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মেরুকরণ ও উদ্দেশ্যহীন বিতর্করে কারণে মসজিদে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

 ২০২২-এ জার্মানির যে ৩৫টি মসজিদে হামলা চলেছিল তার মধ্যে ১৯টি মসজিদে হামলার ঘটনাই বিদ্বেষমূলক। আর আটটি হামলা চালিয়েছিল উগ্র ডানপন্থী দলের সদস্যরা। দেখা গিয়েছে, ৭টি এমন ঘটনায় তুর্কি-বিরোধী মনোভাবই হামলাকারীর মূল অনুপ্রেরণা ছিল। রিপোর্টে লেখা, তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে জার্মানির কয়েকটি মসজিদে হামলা চালিয়েছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থানে জার্মানিতে বর্ণবিদ্বেষ এবং ইসলামোফোবিয়া ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জনসমক্ষে অভিবাসী-বিরোধী প্রচার ও বিদ্বেষ-ভাষণের মাধ্যমে সমাজের স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করেছে তারা। উল্লেখ্য, জার্মানিতে ৮ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের বসবাস। দেশে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ।