০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের এক মাদ্রাসা থেকে দশ লক্ষ হাফেজ!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 26

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: একটি মাদ্রাসা থেকেই পবিত্র কুরআনে হাফেজ হয়েছেন অন্তত দশ লক্ষ মানুষ। পাকিস্তানের মুলতানে অবস্থিত ওয়াকাফ উল মাদারিস নামের মাদ্রাসাটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এই মাদ্রাসা থেকে দশ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেছেন। শুধু ২০১৯ সালে মাদ্রাসাটি থেকে ১৪ হাজার ছাত্রীসহ ৭৮ হাজার জন পবিত্র কুরআনে হাফেজ হন।

মাদ্রাসাটি চার বছরের কম বয়সী শিশুদের ভর্তি নেয়। এরপর তারা মাত্র দুই বছরের মধ্যে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে। কুরআন মুখস্থ ছাড়াও এই পাকিস্তানি মাদ্রাসার ছাত্ররা ইংরেজি, উর্দু, গণিত ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান স্টাডিজ এবং বিজ্ঞান।

ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রতিনিধি ক্বারী হাফিজ জলন্ধরি বলেছেন, আরবি পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা না হলেও সউদি আরবের তুলনায় পাকিস্তানের বেশি শিশু কুরআন মুখস্থ করছে। তিনি বলেন, সউদি আরবে প্রতি বছর মাত্র পাঁচ হাজার মানুষ হাফেজে কুরআন হয়। ক্বারী হাফিজ জলন্ধরি জানান, ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রচেষ্টা সউদি সরকারের কাছ থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটি মাদ্রাসাটির প্রশংসা করেছে ও একটি পুরষ্কার দিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাকিস্তানের এক মাদ্রাসা থেকে দশ লক্ষ হাফেজ!

আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: একটি মাদ্রাসা থেকেই পবিত্র কুরআনে হাফেজ হয়েছেন অন্তত দশ লক্ষ মানুষ। পাকিস্তানের মুলতানে অবস্থিত ওয়াকাফ উল মাদারিস নামের মাদ্রাসাটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এই মাদ্রাসা থেকে দশ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করেছেন। শুধু ২০১৯ সালে মাদ্রাসাটি থেকে ১৪ হাজার ছাত্রীসহ ৭৮ হাজার জন পবিত্র কুরআনে হাফেজ হন।

মাদ্রাসাটি চার বছরের কম বয়সী শিশুদের ভর্তি নেয়। এরপর তারা মাত্র দুই বছরের মধ্যে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে। কুরআন মুখস্থ ছাড়াও এই পাকিস্তানি মাদ্রাসার ছাত্ররা ইংরেজি, উর্দু, গণিত ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান স্টাডিজ এবং বিজ্ঞান।

ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রতিনিধি ক্বারী হাফিজ জলন্ধরি বলেছেন, আরবি পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা না হলেও সউদি আরবের তুলনায় পাকিস্তানের বেশি শিশু কুরআন মুখস্থ করছে। তিনি বলেন, সউদি আরবে প্রতি বছর মাত্র পাঁচ হাজার মানুষ হাফেজে কুরআন হয়। ক্বারী হাফিজ জলন্ধরি জানান, ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রচেষ্টা সউদি সরকারের কাছ থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটি মাদ্রাসাটির প্রশংসা করেছে ও একটি পুরষ্কার দিয়েছে।