১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলা পেতে চলেছে ৭টি নয়া জেলা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 16

পুবের কলম প্রতিবেদক: আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, রাজ্যে বেশকিছু নতুন জেলা তৈরি হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই বাংলা পেতে চলেছে ৭টি নয়া জেলা। কেননা নতুন জেলা গঠনের বিষয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্য প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন বলে খবর। গত বুধবার নবান্ন সভাঘরের এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর রাজ্য প্রশাসনকে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আধিকারিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সময় এই বিষয়টিও গুরুত্ব পায় বলে খবর।

মনে করা হচ্ছে, রাজ্যে জেলার সংখ্যা বাড়লে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। মানুষ হাতের কাছেই পাবেন বিভিন্ন উন্নত পরিষেবা। কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক বরাদ্দও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী এই কারণগুলি তুলে ধরেই জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: নবান্নে জায়গা পেল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি, রথযাত্রা ঘিরে রাজ্যজুড়ে উৎসবের প্রস্তুতি

জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত জেলাগুলি হল- উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বসিরহাট মহকুমাকে আলাদা করে পৃথক বসিরহাট জেলা এবং বনগাঁ মহকুমাকে আলাদা করে পৃথক ইচ্ছামতী জেলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে ভেঙে পৃথক সুন্দরবন জেলা, বাঁকুড়া ভেঙে পৃথক বিষ্ণুপুর জেলা হবে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলা ভেঙে ৩টি পৃথক জেলা গড়া হচ্ছে। এগুলি হল জঙ্গিপুর, বহরমপুর ও কাঁন্দি।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

আরও কিছু নতুন জেলা সৃষ্টির প্রস্তাব আগামী দিনে আসে কি না, সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে মুর্শিদাবাদ জেলার নাম নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন জেলার সব অংশেই ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ কথাটি যেন থাকে তার দাবি রয়েছে।

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

জানা গিয়েছে, আপাতত ঠিক হয়েছে বসিরহাট, ইচ্ছামতী, কাঁন্দি ও জঙ্গিপুর জেলায় ১টি করেই মহকুমা থাকবে। ডোমকল, বহরমপুর ও লালবাগ মহকুমা থাকবে বহরমপুর জেলার মধ্যে। বাঁকুড়ার সোনামুখীকে পৃথক মহকুমার মর্যাদা দেওয়া হতে পারে ও তা নয়া বিষ্ণুপুর জেলার মধ্যে থাকবে। এর বাইরে আমতা ও গড়বেতাকে পূর্ণাঙ্গ মহকুমার স্বীকৃতি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে  খবর।

প্রসঙ্গত, বাংলায় বাম আমলে মেদিনীপুর ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্ম হয়েছিল। আবার পশ্চিম দিনাজপুর ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলারও জন্ম হয় বাম আমলেই। সেই হিসাবে দেখতে গেলে বাম জমানায় নয়া জেলা তৈরি হয়েছিল ৪টি। মমতার আমলে জলপাইগুড়ি ভেঙে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি হয়েছে। দার্জিলিং থেকে হয়েছে কালিম্পং জেলা। একইভাবে বর্ধমান ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৈরি হয়েছে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রামকে আলাদা করে পৃথক জেলা গড়া হয়েছে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে নয়া ৫টি জেলা তৈরি হয়েছে। এবার সেই সংখ্যা একলাফে ১২ হতে চলেছে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট এই নতুন ৭টি জেলা তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলা পেতে চলেছে ৭টি নয়া জেলা

আপডেট : ২ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, রাজ্যে বেশকিছু নতুন জেলা তৈরি হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই বাংলা পেতে চলেছে ৭টি নয়া জেলা। কেননা নতুন জেলা গঠনের বিষয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্য প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছেন বলে খবর। গত বুধবার নবান্ন সভাঘরের এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর রাজ্য প্রশাসনকে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আধিকারিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সময় এই বিষয়টিও গুরুত্ব পায় বলে খবর।

মনে করা হচ্ছে, রাজ্যে জেলার সংখ্যা বাড়লে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। মানুষ হাতের কাছেই পাবেন বিভিন্ন উন্নত পরিষেবা। কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক বরাদ্দও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী এই কারণগুলি তুলে ধরেই জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: নবান্নে জায়গা পেল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি, রথযাত্রা ঘিরে রাজ্যজুড়ে উৎসবের প্রস্তুতি

জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত জেলাগুলি হল- উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বসিরহাট মহকুমাকে আলাদা করে পৃথক বসিরহাট জেলা এবং বনগাঁ মহকুমাকে আলাদা করে পৃথক ইচ্ছামতী জেলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে ভেঙে পৃথক সুন্দরবন জেলা, বাঁকুড়া ভেঙে পৃথক বিষ্ণুপুর জেলা হবে। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলা ভেঙে ৩টি পৃথক জেলা গড়া হচ্ছে। এগুলি হল জঙ্গিপুর, বহরমপুর ও কাঁন্দি।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

আরও কিছু নতুন জেলা সৃষ্টির প্রস্তাব আগামী দিনে আসে কি না, সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে মুর্শিদাবাদ জেলার নাম নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন জেলার সব অংশেই ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ কথাটি যেন থাকে তার দাবি রয়েছে।

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

জানা গিয়েছে, আপাতত ঠিক হয়েছে বসিরহাট, ইচ্ছামতী, কাঁন্দি ও জঙ্গিপুর জেলায় ১টি করেই মহকুমা থাকবে। ডোমকল, বহরমপুর ও লালবাগ মহকুমা থাকবে বহরমপুর জেলার মধ্যে। বাঁকুড়ার সোনামুখীকে পৃথক মহকুমার মর্যাদা দেওয়া হতে পারে ও তা নয়া বিষ্ণুপুর জেলার মধ্যে থাকবে। এর বাইরে আমতা ও গড়বেতাকে পূর্ণাঙ্গ মহকুমার স্বীকৃতি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে  খবর।

প্রসঙ্গত, বাংলায় বাম আমলে মেদিনীপুর ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্ম হয়েছিল। আবার পশ্চিম দিনাজপুর ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলারও জন্ম হয় বাম আমলেই। সেই হিসাবে দেখতে গেলে বাম জমানায় নয়া জেলা তৈরি হয়েছিল ৪টি। মমতার আমলে জলপাইগুড়ি ভেঙে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি হয়েছে। দার্জিলিং থেকে হয়েছে কালিম্পং জেলা। একইভাবে বর্ধমান ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৈরি হয়েছে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রামকে আলাদা করে পৃথক জেলা গড়া হয়েছে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে নয়া ৫টি জেলা তৈরি হয়েছে। এবার সেই সংখ্যা একলাফে ১২ হতে চলেছে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট এই নতুন ৭টি জেলা তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।