১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইঞ্জিনিয়ারকে সপাটে চড় মহারষ্ট্রের বিধায়কের

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, বুধবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘নালায়াক’ বলে এক ধমক, তারপর শার্টের কলার ধরে গালে এক চড়। যিনি চড় মারছেন তিনি থানে জেলার মীরা ভয়ন্দর এলাকার মহিলা বিধায়ক গীতা জৈন। আর যিনি মার খাচ্ছেন, তিনি মীরা ভয়ন্দর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের জুনিয়র সিভিক ইঞ্জিনিয়ার।

অভিযোগ, সরকারি নির্দেশিকা না থাকা সত্বেও ওই ওলাকার একটি দরিদ্র পরিবারের বাড়ি ভেঙে দেয় ওই ইঞ্জিনিয়ার। এই ঘটনার পর বৃষ্টির মধ্যে ছোটো-ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তার ধারে তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হয় ওই পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ পেয়ে ওই ইঞ্জিনিয়ারদের তলব করেন বিধায়ক। তাদেরকে প্রশ্ন করা হলেও চুপ করে মাথা নিচু করে দঁড়িয়ে থাকায় হঠাৎ মেজাজ হারান ওই বিধায়ক। তারপরই সপাটে চড়। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে থাকে, কোনও বিধায়ক কি এভাবে কাউকে প্রকাশ্যে চড় মারতে পারেন?

বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি যা করেছেন বেশ করেছেন। এই বিষয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। বাড়ি ভাঙার সময় বাধা দিলে ওই ইঞ্জিনিয়াররা একজন মহিলার চুল ধরে টানেন। তাছাড়া তারা যখন ঘর ছাড়া হয়ে কাঁদছিলেন তখন ওই আধিকারিকদের হাসতে দেখা গেছিল। ওই ইঞ্জিনিয়ার আইনি পদক্ষেপ নিলে তিনি লড়াই করবেন। তিনি কোনও ভাবেই মনে করেন না যে তিনি ভুল করেছেন।

বিধায়ক জানান, ওই বাড়ির একটি অংশ অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। বাড়িওয়ালা কথা দিয়েছিলেন তারা ওই অংশটি ভেঙে ফেলবেন। তাছাড়া যে অংশটি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল, তার সঙ্গে সরকারি জমির কোনও সম্পর্ক ছিল না। সেটা একজন বিল্ডারের জমি। সরকারি নির্দেশিকা না থাকা সত্ত্বেও বিল্ডারের কথায় সরকারি ইঞ্জিনিয়ার গোটা বাড়িটাই ভেঙে ফেলে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নির্দল বিধায়ক হিসেবে জয়ী হন গীতা জৈন। পরে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হলে শীবসেনাকেই সমর্থন করেন। উদ্ধবকে ক্ষমতাচ্যুত করে অপারেশন লোটাসের বলে মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। তখন বিজেপি শিবিরে নাম লেখান গীতা।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইঞ্জিনিয়ারকে সপাটে চড় মহারষ্ট্রের বিধায়কের

আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘নালায়াক’ বলে এক ধমক, তারপর শার্টের কলার ধরে গালে এক চড়। যিনি চড় মারছেন তিনি থানে জেলার মীরা ভয়ন্দর এলাকার মহিলা বিধায়ক গীতা জৈন। আর যিনি মার খাচ্ছেন, তিনি মীরা ভয়ন্দর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের জুনিয়র সিভিক ইঞ্জিনিয়ার।

অভিযোগ, সরকারি নির্দেশিকা না থাকা সত্বেও ওই ওলাকার একটি দরিদ্র পরিবারের বাড়ি ভেঙে দেয় ওই ইঞ্জিনিয়ার। এই ঘটনার পর বৃষ্টির মধ্যে ছোটো-ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তার ধারে তাঁবু খাটিয়ে থাকতে হয় ওই পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ পেয়ে ওই ইঞ্জিনিয়ারদের তলব করেন বিধায়ক। তাদেরকে প্রশ্ন করা হলেও চুপ করে মাথা নিচু করে দঁড়িয়ে থাকায় হঠাৎ মেজাজ হারান ওই বিধায়ক। তারপরই সপাটে চড়। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে থাকে, কোনও বিধায়ক কি এভাবে কাউকে প্রকাশ্যে চড় মারতে পারেন?

বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি যা করেছেন বেশ করেছেন। এই বিষয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। বাড়ি ভাঙার সময় বাধা দিলে ওই ইঞ্জিনিয়াররা একজন মহিলার চুল ধরে টানেন। তাছাড়া তারা যখন ঘর ছাড়া হয়ে কাঁদছিলেন তখন ওই আধিকারিকদের হাসতে দেখা গেছিল। ওই ইঞ্জিনিয়ার আইনি পদক্ষেপ নিলে তিনি লড়াই করবেন। তিনি কোনও ভাবেই মনে করেন না যে তিনি ভুল করেছেন।

বিধায়ক জানান, ওই বাড়ির একটি অংশ অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। বাড়িওয়ালা কথা দিয়েছিলেন তারা ওই অংশটি ভেঙে ফেলবেন। তাছাড়া যে অংশটি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল, তার সঙ্গে সরকারি জমির কোনও সম্পর্ক ছিল না। সেটা একজন বিল্ডারের জমি। সরকারি নির্দেশিকা না থাকা সত্ত্বেও বিল্ডারের কথায় সরকারি ইঞ্জিনিয়ার গোটা বাড়িটাই ভেঙে ফেলে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নির্দল বিধায়ক হিসেবে জয়ী হন গীতা জৈন। পরে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হলে শীবসেনাকেই সমর্থন করেন। উদ্ধবকে ক্ষমতাচ্যুত করে অপারেশন লোটাসের বলে মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। তখন বিজেপি শিবিরে নাম লেখান গীতা।