আবদুল ওদুদঃ ২০২৩ সালের হজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ সকাল অর্থাৎ ৯.৩০ মিনিটে জেদ্দা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছবেন ৩২৬ জন হাজী। বিমান সংস্থা ফ্লাইএডিল-এর এফ-৩-৭০০৮ বিমানে করে হাজীরা কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। এই বিমানটি গত ২২ শে মে কলকাতা থেকে মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছিল। বিমানটিতে বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং বাঁকুড়ার হাজীরা রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার মোট পাঁচটি বিমান জেদ্দা থেকে হাজিদেন নিয়ে কলকাতায় ফিরবে।
প্রথম বিমান সকাল ৯.৩০ টায়, দ্বিতীয় বিমানটি দুপুর-২ টোয় এবং তৃতীয় বিমানটি ৩.৩০ মিনিটে কলকাতায় এসে পৌঁছবে। বাকি ২ টি বিমান ৪ জুলাই ছাড়লেও পরদিন ভারতীয় সময় ভোর ৪.০০ এবং সকাল ৮.৩০ টায় কলকাতায় পৌঁছবে। দ্বিতীয় বিমানটি যেটি আসার কথা রয়েছে গত ৩১ শে মে সউদির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। মাত্র ৩৪ দিন মক্কা এবং মদিনায় থাকার পর তাঁরা কলকাতায় ফিরছেন। এই বিমানটি নম্বর এফ-৩-৭১৪৭। এই বিমানে হাজী রয়েছেন ২৯৫ জন। পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং বিহার, ঝাড়খণ্ড-এর হাজীরা রয়েছেন।
প্রথম দিনের বিমানের হাজীদের অভ্যার্থনা জানাতে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের নগরউন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান। এছাড়াও হজ কমিটির চেয়ারম্যান নাদিমুল হক, রাজ্য সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের আধিকারিক গুলাম আলি আনসারি, শাকিল আহমেদ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত এবছর রাজ্য থেকে সতেরো হাজারেরও কিছু বেশি হাজী হজ সম্পন্ন করেছেন। তাঁর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় সাড়ে দশ হাজার গিয়ে ছিলেন।
পশ্চিমবাংলা ছাড়া ওড়িশা, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মণিপুর, অসম, দিল্লির হাজীরা রয়েছেন। গত ২১ শে মে হজযাত্রার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১০ জুন রাজ্য থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ বিমানটি জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। হজের যাবতীয় নিয়ম পালন করে ফিরছে বাংলার হাজীরা।
৪ জুলাই হাজীদের নিয়ে প্রথম বিমান কলকাতায় ফিরলেও আগামী ২৫ জুলাই শেষ হবে ২০২৩ সালের রাজ্য থেকে হজ ব্যবস্থাপনা যাবতীয় কার্যক্রম।