০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চায়েত ভোটে জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই মামলার রায়দানে:  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার
  • / 18

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ক বেশ কয়েকটি মামলা। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে -‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে মামলার চূড়ান্ত নির্দেশের উপর ‘।

এছাড়াও এই বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, – ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেনি বলেই মনে করছে আদালত । এমনকী এদিনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে কেন্দ্রের নোডাল অফিসারের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করা হয়নি’ । কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচাপতির ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানায়,-‘  শান্তিপুর্ণ পরিস্থিতি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। তাতে ব্যর্থ রাজ্য। এই অভিযোগ গুরুতর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাবে এই সমস্ত ব্যাপারে। এতদিন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা ঠিকঠাক পালন করা হয়েছে কি না, তাও জানাতে হবে’ ।

বিভিন্ন জায়গার ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। ২০ জুলাই এই মামলায় ফের শুনানি হবে। মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী শমীক বাগচী,  রামেশ্বর সিনহা, সালমা সুলতানা জানান, ভোটের দিন যেসব স্কুল গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সংস্কার করে স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালু করতে হবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

 

এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে  জানান , -‘ ব্যালট পেপার ট্যাম্পারিং হয়েছে । ভোটের দিন এবং আগের ও পরের দিন লুট হয়েছে ভোট । কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়নি বুথে । গণনার দিন অশান্তি হয়েছে । রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে । ছবি ও ভিডিয়ো দিয়ে বলা হয়েছে কীভাবে ভোট লুট হয়েছে ।  কিন্তু পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেখানে অশান্তি হয়েছে, সেখানে রিপোলের নির্দেশই দেয়নি কমিশন । যেখানে মৃত্যু হয়ছে সেখানেও রিপোলের নির্দেশ দেয়নি । প্রায় ছয় হাজার বুথে অশান্তি হয়েছে । প্রার্থীরা মার খেয়েছেন । কমিশনের কোনও নিরাপত্তা নেই ‘।

এদিন বুথ দখল ও ভোট লুটের ভিডিয়ো দেখানো হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে । পুনর্নির্বাচনের পর বেশিরভাগ বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন বিরোধীদের আইনজীবীরা । বিরোধী দলনেতার আইনজীবীর অভিযোগ, -‘ আদালতের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ‘।

বিজেপির আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এদিন বলেন, -‘কাঁচড়াপাড়া, কেতুগ্রাম, ধনিয়াখালি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ২০২১ সালের বিধানসভার পর রাজ্যে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক একই পরিস্থিতি এখন রাজ্যে । সাধারণ মানুষ ঘরে থাকতে পারছেন না । গত বিধানসভার ভোট পরবর্তী  ঘটনার পর আদালত একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল এই ব্যাপারটি দেখার জন্য ।সেই বিষয়গুলি এবারেও হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে ‘। কেন্দ্রের তরফে  অ্যাডিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, -‘ কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে, তার কারণ কমিশনের অসহযোগিতা । নিরন্তর কমিশন অসহযোগিতা চালিয়ে গিয়েছে । কোনও রকম তথ্য ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি’ ।এই সব শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিভিন্ন জায়গার ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশনকে ।

আগামী ২০ জুলাই এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে  । কলকাতা হাইকোর্ট এদিন জানায়, -‘ খুব দুঃখের যে, ফল ঘোষণার পরে রাজ্য অশান্তি আটকাতে পারছে না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। যদি রাজ্য তার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে সেটা উদ্বেগের’। সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য, কেন্দ্র ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব করেছে আদালত ।

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ , -‘ আদালত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছে। তাই এটা বলাই বাহুল্য যে এখনও পর্যন্ত যা যা হয়েছে, সেগুলি এই সব মামলার উপর নির্ভরশীল. এটা সবাইকে এবং জয়ী প্রার্থীদের মনে রাখতে হবে। এই মামলার ভবিষ্যতের উপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করবে’।প্রধান বিচারপতির নির্দেশ দেন, -‘নির্বাচন সংক্রান্ত সব নথি সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যালট, সিসিটিভি ফুটেজ সহ সব তথ্য সংরক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। যে স্কুলগুলো ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, সেগুলিকে অবিলম্বে নিজের খরচে মেরামত করার ব্যবস্থা করবে রাজ্য’।এদিন পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির ভিডিও ফুটেজ আদালতে পেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

আদালতে বসেই কম্পিউটারে তা দেখলেন প্রধান বিচারপতি। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী  বলেন, -‘৭ জুলাই রাতেও দুষ্কৃতীরা ভোট দিয়েছে। পোলিং অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন, কাঁদছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে যে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হোক। নির্বাচন কমিশনের হলফনামা চাওয়া হোক যে কেন এই পরিস্থিতি হল? বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল?’ আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক। ব্যালট পেপার, সিসিটিভি ফুটেজ আর ভিডিও ফুটেজ স্ক্রুটিনি করা হোক, ফরেনসিক পরীক্ষা করা হোক’।এবিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন , -‘ আপনারা নিশ্চয়ই কিছু একটা মূল্যায়ন করেই ৬৯৮টি বুথে পুনরায় ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কীসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত?’ আগামী ২০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পঞ্চায়েত ভোটে জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এই মামলার রায়দানে:  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, বুধবার

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে পঞ্চায়েত নির্বাচন বিষয়ক বেশ কয়েকটি মামলা। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে -‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে মামলার চূড়ান্ত নির্দেশের উপর ‘।

এছাড়াও এই বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, – ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করেনি বলেই মনে করছে আদালত । এমনকী এদিনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে কেন্দ্রের নোডাল অফিসারের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করা হয়নি’ । কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচাপতির ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানায়,-‘  শান্তিপুর্ণ পরিস্থিতি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। তাতে ব্যর্থ রাজ্য। এই অভিযোগ গুরুতর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাবে এই সমস্ত ব্যাপারে। এতদিন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা ঠিকঠাক পালন করা হয়েছে কি না, তাও জানাতে হবে’ ।

বিভিন্ন জায়গার ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। ২০ জুলাই এই মামলায় ফের শুনানি হবে। মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী শমীক বাগচী,  রামেশ্বর সিনহা, সালমা সুলতানা জানান, ভোটের দিন যেসব স্কুল গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সংস্কার করে স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালু করতে হবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

 

এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে  জানান , -‘ ব্যালট পেপার ট্যাম্পারিং হয়েছে । ভোটের দিন এবং আগের ও পরের দিন লুট হয়েছে ভোট । কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়নি বুথে । গণনার দিন অশান্তি হয়েছে । রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে । ছবি ও ভিডিয়ো দিয়ে বলা হয়েছে কীভাবে ভোট লুট হয়েছে ।  কিন্তু পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেখানে অশান্তি হয়েছে, সেখানে রিপোলের নির্দেশই দেয়নি কমিশন । যেখানে মৃত্যু হয়ছে সেখানেও রিপোলের নির্দেশ দেয়নি । প্রায় ছয় হাজার বুথে অশান্তি হয়েছে । প্রার্থীরা মার খেয়েছেন । কমিশনের কোনও নিরাপত্তা নেই ‘।

এদিন বুথ দখল ও ভোট লুটের ভিডিয়ো দেখানো হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে । পুনর্নির্বাচনের পর বেশিরভাগ বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছে বলে দাবি করেন বিরোধীদের আইনজীবীরা । বিরোধী দলনেতার আইনজীবীর অভিযোগ, -‘ আদালতের নির্দেশ মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ‘।

বিজেপির আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এদিন বলেন, -‘কাঁচড়াপাড়া, কেতুগ্রাম, ধনিয়াখালি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ২০২১ সালের বিধানসভার পর রাজ্যে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক একই পরিস্থিতি এখন রাজ্যে । সাধারণ মানুষ ঘরে থাকতে পারছেন না । গত বিধানসভার ভোট পরবর্তী  ঘটনার পর আদালত একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল এই ব্যাপারটি দেখার জন্য ।সেই বিষয়গুলি এবারেও হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে ‘। কেন্দ্রের তরফে  অ্যাডিশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, -‘ কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে, তার কারণ কমিশনের অসহযোগিতা । নিরন্তর কমিশন অসহযোগিতা চালিয়ে গিয়েছে । কোনও রকম তথ্য ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি’ ।এই সব শোনার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিভিন্ন জায়গার ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশনকে ।

আগামী ২০ জুলাই এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে  । কলকাতা হাইকোর্ট এদিন জানায়, -‘ খুব দুঃখের যে, ফল ঘোষণার পরে রাজ্য অশান্তি আটকাতে পারছে না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। যদি রাজ্য তার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে সেটা উদ্বেগের’। সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য, কেন্দ্র ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলফনামা তলব করেছে আদালত ।

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ , -‘ আদালত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছে। তাই এটা বলাই বাহুল্য যে এখনও পর্যন্ত যা যা হয়েছে, সেগুলি এই সব মামলার উপর নির্ভরশীল. এটা সবাইকে এবং জয়ী প্রার্থীদের মনে রাখতে হবে। এই মামলার ভবিষ্যতের উপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করবে’।প্রধান বিচারপতির নির্দেশ দেন, -‘নির্বাচন সংক্রান্ত সব নথি সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যালট, সিসিটিভি ফুটেজ সহ সব তথ্য সংরক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। যে স্কুলগুলো ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, সেগুলিকে অবিলম্বে নিজের খরচে মেরামত করার ব্যবস্থা করবে রাজ্য’।এদিন পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তির ভিডিও ফুটেজ আদালতে পেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

আদালতে বসেই কম্পিউটারে তা দেখলেন প্রধান বিচারপতি। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী  বলেন, -‘৭ জুলাই রাতেও দুষ্কৃতীরা ভোট দিয়েছে। পোলিং অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন, কাঁদছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে যে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হোক। নির্বাচন কমিশনের হলফনামা চাওয়া হোক যে কেন এই পরিস্থিতি হল? বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল?’ আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক। ব্যালট পেপার, সিসিটিভি ফুটেজ আর ভিডিও ফুটেজ স্ক্রুটিনি করা হোক, ফরেনসিক পরীক্ষা করা হোক’।এবিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন , -‘ আপনারা নিশ্চয়ই কিছু একটা মূল্যায়ন করেই ৬৯৮টি বুথে পুনরায় ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কীসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত?’ আগামী ২০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।