০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহানবী সা.-এর মহানুভবতা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার
  • / 55

খন্দকার আবদুল মোমেন: পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনিভূত অন্ধকারে ঢাকা ছিল যে সমাজ, সে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ আলোকিত জীবনে পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে মহানবীর (সা.) মাত্র তেইশ বছরের সংগ্রামী জীবনের ভূমিকায়। তাঁর জীবনের মহানুভবতাই এ কাজে কার্যকর প্রভাব বিস্তার করে সবচেয়ে বেশি।

মহানবী (সা.) ছোটবেলা থেকেই উদার প্রকৃতির ছিলেন। তিনি অত্যন্ত উদার ও প্রসারিত হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। স্বার্থপরতার বিন্দুমাত্র কলঙ্কও তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। যে বিপ্লব সংঘটিত করার জন্য মহানবী (সা.) অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন, দিনের পর দিন নির্যাতন নিপীড়নকে উপেক্ষা করে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত করে মদিনায় প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন, তার বিনিময়ে তিনি কোনও কিছুই আশা করলেন না-কোনও কিছুই গ্রহণ করলেন না। বরং মহানবী (সা.) নিজের লাভজনক ব্যবসা-বাণিজ্যকে, তার উপার্জিত সমস্ত ধন-সম্পদকে এ বিপ্লবের সফলতার জন্য উৎসর্গ করে দিলেন। বিপ্লবের সাফল্যের যুগে অঢেল ধনসম্পদ হস্তগত হলে জনগণের মধ্যে তা বিলিবণ্টন করলেন। নিজে স্বেচ্ছায় ক্ষুধা, তৃষ্ণা, অর্থসংকটে অনাড়ম্বর জীবন-যাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এত বড় ত্যাগ পৃথিবীর আর কোনও বিজয়ী বীরের জীবনে দেখা যায় না। মৃত্যুকালে তিনি নিজ পরিবারের জন্য কোনও সঞ্চয় রেখে যাননি, তাদের জন্য একখণ্ড জমিও রেখে গেলেন না। রাষ্ট্রীয় কোনও পদও তাদের জন্য নির্দিষ্ট ও স্থায়ী করে গেলেন না। এ কথা ভাবতে গিয়ে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যাই।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহানবী সা.-এর মহানুভবতা

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার

খন্দকার আবদুল মোমেন: পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনিভূত অন্ধকারে ঢাকা ছিল যে সমাজ, সে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ আলোকিত জীবনে পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে মহানবীর (সা.) মাত্র তেইশ বছরের সংগ্রামী জীবনের ভূমিকায়। তাঁর জীবনের মহানুভবতাই এ কাজে কার্যকর প্রভাব বিস্তার করে সবচেয়ে বেশি।

মহানবী (সা.) ছোটবেলা থেকেই উদার প্রকৃতির ছিলেন। তিনি অত্যন্ত উদার ও প্রসারিত হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। স্বার্থপরতার বিন্দুমাত্র কলঙ্কও তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। যে বিপ্লব সংঘটিত করার জন্য মহানবী (সা.) অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন, দিনের পর দিন নির্যাতন নিপীড়নকে উপেক্ষা করে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত করে মদিনায় প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন, তার বিনিময়ে তিনি কোনও কিছুই আশা করলেন না-কোনও কিছুই গ্রহণ করলেন না। বরং মহানবী (সা.) নিজের লাভজনক ব্যবসা-বাণিজ্যকে, তার উপার্জিত সমস্ত ধন-সম্পদকে এ বিপ্লবের সফলতার জন্য উৎসর্গ করে দিলেন। বিপ্লবের সাফল্যের যুগে অঢেল ধনসম্পদ হস্তগত হলে জনগণের মধ্যে তা বিলিবণ্টন করলেন। নিজে স্বেচ্ছায় ক্ষুধা, তৃষ্ণা, অর্থসংকটে অনাড়ম্বর জীবন-যাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এত বড় ত্যাগ পৃথিবীর আর কোনও বিজয়ী বীরের জীবনে দেখা যায় না। মৃত্যুকালে তিনি নিজ পরিবারের জন্য কোনও সঞ্চয় রেখে যাননি, তাদের জন্য একখণ্ড জমিও রেখে গেলেন না। রাষ্ট্রীয় কোনও পদও তাদের জন্য নির্দিষ্ট ও স্থায়ী করে গেলেন না। এ কথা ভাবতে গিয়ে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যাই।