২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারী বর্ষণে জলমগ্ন একাধিক এলাকা, বুধবার থেকে দুর্যোগ কাটার সম্ভাবনা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 21

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সোমবার থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও দিনভর বৃষ্টি চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কোথাও কোথাও ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আর যার ফলে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় তো বটেই জল জমেছে বিভিন্ন জেলার নিচু এলাকায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস– এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বুধবার থেকে কমবে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতে আজ বুধবার বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। অন্যদিকে– পশ্চিমের জেলাগুলোতে আজও চলতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।

আলিপুর আবহওয়া অফিসের ডিরেক্টর জি কে দাস জানিয়েছেন– সোমবার বঙ্গোপসাগরে ওপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ক্রমে সেটি ছত্তিশগড়ের দিকে সরে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম হয়ে ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের দিকে আরও কিছুটা সরে যাবে। যার ফলে সেটির প্রভাব রাজ্যে খুব বেশি পড়বে না। তবে এই নিম্নচাপ সরে যাওয়ার পর আগামী দু-তিনদিন আবহাওয়া ভালো থাকলেও সপ্তাহান্তে ফের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে– সপ্তাহান্তে বঙ্গোপসাগরে ওপর নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার ফলে রাজ্যে ফের বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে ঠনঠনিয়া– আমহার্স্ট স্ট্রিট– আলিপুর বডিগার্ড লাইন সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের একাংশসহ ঠনঠনিয়াতেও জল জমেছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট সংলগ্ন আশপাশের ছোটখাটো সমস্ত রাস্তাই এই মুহূর্তে জলের তলায় চলে যায়। তবে বৃষ্টি না হলে– এই জল দ্রুত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জল জমার ফলে এ দিন শহরের রাস্তায় যানচলাচলে সমস্যা হয়। অন্যদিকে– বিমানবন্দর এ দিন জলমগ্ন হওয়ায় বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রেও অসুবিধা হয়।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী– এ দিন বেলা আড়াইটা পর্যন্ত আলিপুরে ৪৫ মিলিমিটার– দমদমে ১১৫ মিলিমিটার এবং সল্টলেকে ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এ দিন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে– হাওড়া– হুগলি– কলকাতা– পূর্ব মেদিনীপুর– দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এর পাশাপাশি নদিয়া জেলাতেও এ দিন দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে– উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ দিকে– টানা বৃষ্টির ফলে নদীগুলোর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক জায়গায় নদীর বাঁধ মেরামতিতে নেমে পড়েছেন এলাকাবাসীরা। নিম্নচাপের কারণে এ দিন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। তবে বুধবার থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারী বর্ষণে জলমগ্ন একাধিক এলাকা, বুধবার থেকে দুর্যোগ কাটার সম্ভাবনা

আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সোমবার থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও দিনভর বৃষ্টি চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কোথাও কোথাও ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আর যার ফলে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় তো বটেই জল জমেছে বিভিন্ন জেলার নিচু এলাকায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস– এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বুধবার থেকে কমবে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতে আজ বুধবার বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। অন্যদিকে– পশ্চিমের জেলাগুলোতে আজও চলতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।

আলিপুর আবহওয়া অফিসের ডিরেক্টর জি কে দাস জানিয়েছেন– সোমবার বঙ্গোপসাগরে ওপর তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ক্রমে সেটি ছত্তিশগড়ের দিকে সরে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সেটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম হয়ে ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের দিকে আরও কিছুটা সরে যাবে। যার ফলে সেটির প্রভাব রাজ্যে খুব বেশি পড়বে না। তবে এই নিম্নচাপ সরে যাওয়ার পর আগামী দু-তিনদিন আবহাওয়া ভালো থাকলেও সপ্তাহান্তে ফের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে– সপ্তাহান্তে বঙ্গোপসাগরে ওপর নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার ফলে রাজ্যে ফের বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে ঠনঠনিয়া– আমহার্স্ট স্ট্রিট– আলিপুর বডিগার্ড লাইন সহ বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের একাংশসহ ঠনঠনিয়াতেও জল জমেছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট সংলগ্ন আশপাশের ছোটখাটো সমস্ত রাস্তাই এই মুহূর্তে জলের তলায় চলে যায়। তবে বৃষ্টি না হলে– এই জল দ্রুত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জল জমার ফলে এ দিন শহরের রাস্তায় যানচলাচলে সমস্যা হয়। অন্যদিকে– বিমানবন্দর এ দিন জলমগ্ন হওয়ায় বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রেও অসুবিধা হয়।

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী– এ দিন বেলা আড়াইটা পর্যন্ত আলিপুরে ৪৫ মিলিমিটার– দমদমে ১১৫ মিলিমিটার এবং সল্টলেকে ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এ দিন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে– হাওড়া– হুগলি– কলকাতা– পূর্ব মেদিনীপুর– দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এর পাশাপাশি নদিয়া জেলাতেও এ দিন দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে– উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ দিকে– টানা বৃষ্টির ফলে নদীগুলোর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক জায়গায় নদীর বাঁধ মেরামতিতে নেমে পড়েছেন এলাকাবাসীরা। নিম্নচাপের কারণে এ দিন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল। তবে বুধবার থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।