২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলের হামলায় গাজায় প্রাণহানি ২০ হাজার ছাড়াল

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক ঃ

ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। গাজায় দুই মাস ধরে চলা ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় প্রায় ৫০ হাজার আহত হয়েছে।

৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন বলে ইসরাইল প্রথমে জানিয়েছিল। এর পর নিহতের সংখ্যা ১২০০ বলে জানায় তারা। এখন হিসাব আরও সংশোধন করে তারা ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১৪৭ জন, আর আহত আট হাজার ৭৩০ বলে জানিয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল। প্রথমে তারা গাজার উত্তরাংশে গাজা সিটি ও এর আশপাশের অন্যান্য এলাকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তখন গাজার দক্ষিণাংশকে নিরাপদ ঘোষণা করে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণে চলে যেতে বলে।

এর পর গাজা সিটিসহ গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ইসরাইলি বাহিনী। ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে গাজা সিটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে স্থল অভিযান চালায়। এর পর কাতার ও মিশরের প্রচেষ্টায় ইসরাইল এবং হামাস এক সপ্তাহের একটি অস্থায়ী মানবিক বিরতিতে সম্মত হয়ে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে।

১ ডিসেম্বর বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘাত শুরু হয়, যা এখনো চলছে।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

হাদি হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি নাকচ করল বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসরাইলের হামলায় গাজায় প্রাণহানি ২০ হাজার ছাড়াল

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক ঃ

ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। গাজায় দুই মাস ধরে চলা ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় প্রায় ৫০ হাজার আহত হয়েছে।

৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন বলে ইসরাইল প্রথমে জানিয়েছিল। এর পর নিহতের সংখ্যা ১২০০ বলে জানায় তারা। এখন হিসাব আরও সংশোধন করে তারা ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১৪৭ জন, আর আহত আট হাজার ৭৩০ বলে জানিয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল। প্রথমে তারা গাজার উত্তরাংশে গাজা সিটি ও এর আশপাশের অন্যান্য এলাকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তখন গাজার দক্ষিণাংশকে নিরাপদ ঘোষণা করে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণে চলে যেতে বলে।

এর পর গাজা সিটিসহ গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ইসরাইলি বাহিনী। ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে গাজা সিটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে স্থল অভিযান চালায়। এর পর কাতার ও মিশরের প্রচেষ্টায় ইসরাইল এবং হামাস এক সপ্তাহের একটি অস্থায়ী মানবিক বিরতিতে সম্মত হয়ে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে।

১ ডিসেম্বর বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘাত শুরু হয়, যা এখনো চলছে।