২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টরন্টো বিমানবন্দরে মুসলিম মহিলাকে হিজাব খুলতে বাধ্য, বিতর্কে কানাডার এয়ারলাইন্স

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 141

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কানাডার এক বিমান সংস্থা এখন চরম সমালোচনার মুখে, কারণ টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে এক মুসলিম মহিলাকে প্রকাশ্যে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্লেয়ার এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে উঠার আগে এই ঘটনাটি ঘটে।

আফসারা রায়দা নামে ওই মহিলার মেয়ে সমাজমাধ্যমে ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন, তফ্লেয়ার এয়ারলাইন্স আমার মায়ের সঙ্গে যা করেছে, তা শুধু অপমান নয়, এটা স্পষ্টভাবে ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন। আমরা চুপ করে থাকব না।

আফসারা আরও লেখেন, এটা ইসলামোফোবিয়া ছাড়া আর কিছু নয়। ধর্ম পালন করার অধিকার এবং একজন মানুষ হিসেবে মর্যাদার অধিকারকে পায়ের নিচে ফেলা হয়েছে। আর এমনটা হয়েছে কানাডায়;যে দেশ নিজেকে বহুত্ববাদ ও মানবিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে।

আরও পড়ুন: ইসলামোফোবিয়া রুখতে রাষ্ট্রসংঘে বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের আহ্বান তুরস্কের

তিনি জানান, তাঁর মাকে শুধু এই কারণে হিজাব খুলতে বলা হয়, যে পাসপোর্টের ছবিতে হিজাব ছিল না, যদিও তাঁর মুখ পুরোপুরি খোলা ও দৃশ্যমান ছিল। প্রতিবাদ করলে, কর্মী বলেন, ততাহলে পাসপোর্ট আপডেট করা উচিত ছিল।দ

আরও পড়ুন: ইসলামোফোবিয়া: ২০২২ সালে জার্মানির ৩৫ মসজিদে হামলা

তবে কানাডার পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, যেহেতু মুখ দেখা যাচ্ছিল, তাই ধর্মীয় পোশাক বা হিজাব খোলার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের জন্য প্রধান হুমকি ইসলামোফোবিয়া’

ফ্লেয়ার এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাদের সরাসরি কর্মী নন, তিনি Aঝজ্জ নামে একটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থার কর্মী। যদিও তারা স্বীকার করেছে, তাদের অংশীদার সংস্থাগুলোকেও একই রকম সম্মান ও পেশাদার আচরণ বজায় রাখতে হবে।

ফ্লেয়ার সিইও ম্যাসেই উইল্ক জানান, এজিআই এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং অভিযুক্ত কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়েছে।

ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিমস’ (এনসিসিএম)। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তকানাডার কোনও বিমানবন্দর বা বিমান পরিষেবায় ইসলামোফোবিয়ার কোনও জায়গা নেই। এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।দ

পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, এমন পেশাদার পরিবেশে যাত্রীরা নিরাপত্তা ও সম্মান আশা করেন। কিন্তু এই ঘটনায় তা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এনসিসিএম-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি আইনি দিক দিয়ে খতিয়ে দেখছেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

টরন্টো বিমানবন্দরে মুসলিম মহিলাকে হিজাব খুলতে বাধ্য, বিতর্কে কানাডার এয়ারলাইন্স

আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কানাডার এক বিমান সংস্থা এখন চরম সমালোচনার মুখে, কারণ টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরে এক মুসলিম মহিলাকে প্রকাশ্যে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্লেয়ার এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে উঠার আগে এই ঘটনাটি ঘটে।

আফসারা রায়দা নামে ওই মহিলার মেয়ে সমাজমাধ্যমে ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন, তফ্লেয়ার এয়ারলাইন্স আমার মায়ের সঙ্গে যা করেছে, তা শুধু অপমান নয়, এটা স্পষ্টভাবে ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন। আমরা চুপ করে থাকব না।

আফসারা আরও লেখেন, এটা ইসলামোফোবিয়া ছাড়া আর কিছু নয়। ধর্ম পালন করার অধিকার এবং একজন মানুষ হিসেবে মর্যাদার অধিকারকে পায়ের নিচে ফেলা হয়েছে। আর এমনটা হয়েছে কানাডায়;যে দেশ নিজেকে বহুত্ববাদ ও মানবিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে।

আরও পড়ুন: ইসলামোফোবিয়া রুখতে রাষ্ট্রসংঘে বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগের আহ্বান তুরস্কের

তিনি জানান, তাঁর মাকে শুধু এই কারণে হিজাব খুলতে বলা হয়, যে পাসপোর্টের ছবিতে হিজাব ছিল না, যদিও তাঁর মুখ পুরোপুরি খোলা ও দৃশ্যমান ছিল। প্রতিবাদ করলে, কর্মী বলেন, ততাহলে পাসপোর্ট আপডেট করা উচিত ছিল।দ

আরও পড়ুন: ইসলামোফোবিয়া: ২০২২ সালে জার্মানির ৩৫ মসজিদে হামলা

তবে কানাডার পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, যেহেতু মুখ দেখা যাচ্ছিল, তাই ধর্মীয় পোশাক বা হিজাব খোলার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের জন্য প্রধান হুমকি ইসলামোফোবিয়া’

ফ্লেয়ার এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাদের সরাসরি কর্মী নন, তিনি Aঝজ্জ নামে একটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থার কর্মী। যদিও তারা স্বীকার করেছে, তাদের অংশীদার সংস্থাগুলোকেও একই রকম সম্মান ও পেশাদার আচরণ বজায় রাখতে হবে।

ফ্লেয়ার সিইও ম্যাসেই উইল্ক জানান, এজিআই এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং অভিযুক্ত কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়েছে।

ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিমস’ (এনসিসিএম)। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, তকানাডার কোনও বিমানবন্দর বা বিমান পরিষেবায় ইসলামোফোবিয়ার কোনও জায়গা নেই। এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।দ

পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, এমন পেশাদার পরিবেশে যাত্রীরা নিরাপত্তা ও সম্মান আশা করেন। কিন্তু এই ঘটনায় তা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এনসিসিএম-এর আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি আইনি দিক দিয়ে খতিয়ে দেখছেন।