১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কয়েক সেকেন্ডে স্বপ্ন শেষ: বিমান দুর্ঘটনায় রাজস্থানের একই পরিবারের শিশু-সহ ৫ জনের মৃত্যু

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 83

দুর্ঘটনায় নিহত রাজস্থানের চিকিৎসক দম্পতি, সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছিলেন লন্ডনে

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আহমাদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত লন্ডন নিবাসী চিকিৎসক প্রতীক জোশী। গত ছয় বছর ধরে লন্ডনে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী কোমি ব্যাসও চিকিৎসক। রাজস্থানের উদয়পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত কোমি। তিনি চেয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে থিতু হতে।

আরও পড়ুন: DNA পরীক্ষায় শনাক্ত ৯ মৃতদেহ, এক যাত্রীর দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে

প্রতীক এবং কোমি তাঁদের দুই যমজ সন্তান ও এক মেয়েকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইন বিমানে। ভয়াবহ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বিমানের ভিতর থেকে চিকিৎসক দম্পতি সন্তানদের নিয়ে একটি সেলফি তুলেছিলেন। সুখী পরিবারের সেই হাসিমুখের শেষ ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। আহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন এই পাঁচ জনও।

আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের

প্রতীক দীর্ঘ কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর পরিবারটি স্থির করেছিল যে তাঁরা রাজস্থান ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে বিদেশে চলে যাবেন। পাঁচ বছর বয়সি যমজ ছেলে নকুল ও প্রদ্যুৎ এবং আট বছর বয়সি মেয়ে মিরায়া এই যাত্রা নিয়ে প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিল।

আরও পড়ুন: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জের, ড্রিমলাইনারের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তা কেন্দ্রের

হাসপাতাল সূত্রে খবর, লন্ডন যাত্রার দু’দিন আগে উদয়পুরের হাসপাতাল থেকে পদত্যাগ করেন কোমি। চিকিৎসক পরিবারের আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবেরা জানিয়েছেন, চিকিৎসক দম্পতি কেবল পেশাগত ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন না, বন্ধুবৎসল ও আন্তরিকতার জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় শোকের ছায়া নেমেছে প্রতীক ও কোমির পরিবারে।

খবর পাওয়ার পরপরই ডিএসপি গোপীচাঁদ মীনা বাঁশওয়াড়ায় পরিবারের বাড়ি যান। পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কয়েক সেকেন্ডে স্বপ্ন শেষ: বিমান দুর্ঘটনায় রাজস্থানের একই পরিবারের শিশু-সহ ৫ জনের মৃত্যু

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার

দুর্ঘটনায় নিহত রাজস্থানের চিকিৎসক দম্পতি, সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছিলেন লন্ডনে

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আহমাদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত লন্ডন নিবাসী চিকিৎসক প্রতীক জোশী। গত ছয় বছর ধরে লন্ডনে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী কোমি ব্যাসও চিকিৎসক। রাজস্থানের উদয়পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত কোমি। তিনি চেয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে থিতু হতে।

আরও পড়ুন: DNA পরীক্ষায় শনাক্ত ৯ মৃতদেহ, এক যাত্রীর দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে

প্রতীক এবং কোমি তাঁদের দুই যমজ সন্তান ও এক মেয়েকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইন বিমানে। ভয়াবহ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বিমানের ভিতর থেকে চিকিৎসক দম্পতি সন্তানদের নিয়ে একটি সেলফি তুলেছিলেন। সুখী পরিবারের সেই হাসিমুখের শেষ ছবিই ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। আহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন এই পাঁচ জনও।

আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের

প্রতীক দীর্ঘ কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর পরিবারটি স্থির করেছিল যে তাঁরা রাজস্থান ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে বিদেশে চলে যাবেন। পাঁচ বছর বয়সি যমজ ছেলে নকুল ও প্রদ্যুৎ এবং আট বছর বয়সি মেয়ে মিরায়া এই যাত্রা নিয়ে প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিল।

আরও পড়ুন: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জের, ড্রিমলাইনারের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তা কেন্দ্রের

হাসপাতাল সূত্রে খবর, লন্ডন যাত্রার দু’দিন আগে উদয়পুরের হাসপাতাল থেকে পদত্যাগ করেন কোমি। চিকিৎসক পরিবারের আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবেরা জানিয়েছেন, চিকিৎসক দম্পতি কেবল পেশাগত ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন না, বন্ধুবৎসল ও আন্তরিকতার জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত ছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় শোকের ছায়া নেমেছে প্রতীক ও কোমির পরিবারে।

খবর পাওয়ার পরপরই ডিএসপি গোপীচাঁদ মীনা বাঁশওয়াড়ায় পরিবারের বাড়ি যান। পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।