১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বচসা থেকে চললো গুলি, নিহত এক পাথর খাদান শ্রমিক

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 22

 

 

আরও পড়ুন: মুসলিম মহিলাদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, কর্নাটকে গ্রেফতার আরএসএস কর্মী

কৌশিক সালুই বীরভূম:– হঠাৎ বচসা থেকে চললো গুলি। তাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক পাথর খাদান শ্রমিকের। গুরুতর জখম একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার হাবরা পাহাড়ি গ্রামে। গুরুতর জখম ব্যক্তি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি পুলিশের।

আরও পড়ুন: সাউন্ড চোঙ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মৃত্যু ইলেকট্রিক কর্মীর, এলাকায় শোকের ছায়া

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি হলেন ইয়াদ আলী ওরফে ধনু শেখ। বয়স ৫২ বছর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বড়য়া   থানা এলাকার বেলগ্রামে। পেশায় তিনি স্থানীয় পাথর খাদানে  ড্রিলম্যানের  কাজ করতেন। গুরুতর জখম ধনা হাসদা। বাড়ি হাবরা পাহাড়ি গ্রামে। তিনি ঢোলকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। গত সোমবার রাত্রে ধনা হাসদার বাড়ির নিকটে শুট আউটের ঘটনাটি ঘটে। আততায়ীর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে বচসা হয় তাদের। বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয় পরপর দুই রাউন্ড। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইয়াদ আলীর আশঙ্কা জনক অবস্থায় ধনা হাসদাকে প্রথমে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে কুরআন পেয়ে ইসলাম গ্রহণ উদ্ধারকর্মীর

 

ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়  অভিযুক্ত। সূত্রের খবর তার মোবাইল এবং সাইকেল ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ এবং তিনি ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। এদিকে ধনা হাসদার পরিবারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। তার দিদি শাদী হাঁসদা একসময় কয়লা শিল্প বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন। তাদের বাড়িতেই অভিযুক্ত খানাপিনা করেছিলেন বলে সূত্রের দাবি। যদিও ওই পরিবার ওই ব্যক্তিকে অচেনা বলে আরো দাবি করেছে।

 

আর তাতেই পুলিশের কাছে বিষয়টি যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। মৃত ব্যক্তির সহকর্মী মানারুল মীর বলেন,”বিড়ি কেনার জন্য ধনু শেখ কর্মস্থল থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিল । এদিকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যেতেই রাত্রের খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করি। তখনই তার ফোন অন্য ব্যক্তি ধরে বলেন যে উনি মারা গিয়েছেন তুমি এক্ষুনি এখানে এসো। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রচুর লোকজন মৃতদেহ ঘিরে রয়েছে ইতিমধ্যেই পুলিশও চলে এসেছে। উনি আমাকে মাস দুয়েক আগে কাজে লাগিয়েছিলেন।আমরা একই গ্রামের বাসিন্দা। কি কারনে এই মৃত্যুর ঘটনা সেটা বুঝতে পারছি না”। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন,”আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি করা হচ্ছে। জখম ব্যক্তির বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন ওই অভিযুক্ত। কিন্তু তার পরিবার তাকে চেনে না বলে পরিষ্কার দাবি করেছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক”।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বচসা থেকে চললো গুলি, নিহত এক পাথর খাদান শ্রমিক

আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

 

 

আরও পড়ুন: মুসলিম মহিলাদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, কর্নাটকে গ্রেফতার আরএসএস কর্মী

কৌশিক সালুই বীরভূম:– হঠাৎ বচসা থেকে চললো গুলি। তাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এক পাথর খাদান শ্রমিকের। গুরুতর জখম একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার হাবরা পাহাড়ি গ্রামে। গুরুতর জখম ব্যক্তি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি পুলিশের।

আরও পড়ুন: সাউন্ড চোঙ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মৃত্যু ইলেকট্রিক কর্মীর, এলাকায় শোকের ছায়া

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি হলেন ইয়াদ আলী ওরফে ধনু শেখ। বয়স ৫২ বছর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বড়য়া   থানা এলাকার বেলগ্রামে। পেশায় তিনি স্থানীয় পাথর খাদানে  ড্রিলম্যানের  কাজ করতেন। গুরুতর জখম ধনা হাসদা। বাড়ি হাবরা পাহাড়ি গ্রামে। তিনি ঢোলকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। গত সোমবার রাত্রে ধনা হাসদার বাড়ির নিকটে শুট আউটের ঘটনাটি ঘটে। আততায়ীর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে বচসা হয় তাদের। বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয় পরপর দুই রাউন্ড। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইয়াদ আলীর আশঙ্কা জনক অবস্থায় ধনা হাসদাকে প্রথমে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে কুরআন পেয়ে ইসলাম গ্রহণ উদ্ধারকর্মীর

 

ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়  অভিযুক্ত। সূত্রের খবর তার মোবাইল এবং সাইকেল ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ এবং তিনি ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। এদিকে ধনা হাসদার পরিবারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। তার দিদি শাদী হাঁসদা একসময় কয়লা শিল্প বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ছিলেন। তাদের বাড়িতেই অভিযুক্ত খানাপিনা করেছিলেন বলে সূত্রের দাবি। যদিও ওই পরিবার ওই ব্যক্তিকে অচেনা বলে আরো দাবি করেছে।

 

আর তাতেই পুলিশের কাছে বিষয়টি যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। মৃত ব্যক্তির সহকর্মী মানারুল মীর বলেন,”বিড়ি কেনার জন্য ধনু শেখ কর্মস্থল থেকে বাইরে বেরিয়ে ছিল । এদিকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যেতেই রাত্রের খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করি। তখনই তার ফোন অন্য ব্যক্তি ধরে বলেন যে উনি মারা গিয়েছেন তুমি এক্ষুনি এখানে এসো। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রচুর লোকজন মৃতদেহ ঘিরে রয়েছে ইতিমধ্যেই পুলিশও চলে এসেছে। উনি আমাকে মাস দুয়েক আগে কাজে লাগিয়েছিলেন।আমরা একই গ্রামের বাসিন্দা। কি কারনে এই মৃত্যুর ঘটনা সেটা বুঝতে পারছি না”। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন,”আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি করা হচ্ছে। জখম ব্যক্তির বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন ওই অভিযুক্ত। কিন্তু তার পরিবার তাকে চেনে না বলে পরিষ্কার দাবি করেছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক”।