বুকে চাকুর আঘাত!প্রাণে বাঁচতে কল্যাণী সীমান্ত থেকে পালিয়ে এলেন ক্যানিংয়ের যুবক

- আপডেট : ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 168
কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং: কল্যাণী সীমান্তে শ্বশুর বাড়িতে চাকুর আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যন্ত্রণায় কাৎরাতে কাৎরাতে কোন রকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেন ক্যানিংয়ের যুবক। এমন ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।বর্তমানে আক্রান্ত যুবক ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে ,ক্যানিংয়ের নিকারীঘাটা পঞ্চায়েতের পরাণীখেকো গ্রামের বাসিন্দা যুবক ভাসন কেওট।গত প্রায় ১২ বছর আগে নদীয়ার কল্যাণী সীমান্ত এলাকার রাধিকা মাহাতোর সাথে বিয়ে হয়। দম্পতির এক কন্যা রয়েছে।গত প্রায় চার পাঁচ বছর যাবৎ কল্যাণী সীমান্ত এলাকায় বাপের বাড়িতে থাকছিলেন রাধিকা। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে বচসাও হয়। পাশাপাশি সম্পর্কেরও অবনতি হয়।ভালো কাজের সন্ধান রয়েছে বলে মঙ্গলবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ভাসান কে ফোন করে ডাকে।
অভিযোগ শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছাতেই ওই যুবক কে ঘিরে ধরে স্ত্রী,শ্বশুর রাম বাহাদুর মাহাতো,শ্যালক মহান মাহাতো ও রাজু মাহাতো’রা।বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি তার বুকে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে।রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় কাৎরাতে থাকে।ইতিমধ্যে ওই যুবক কে প্রাণে মেরে ফেলারও চক্রান্ত করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বুঝতে পারেন আক্রান্ত যুবক। কোন রকমে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে কল্যাণী সীমান্ত ষ্টেশনে চলে আসে। তারপর সোজা ক্যানিং ষ্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনের মধ্যে এমন ভয়াবহ ঘটনার কথা বাড়িতে জানায় ওই যুবক। পরিবারের লোকজন ক্যানিং ষ্টেশন থেকে ভাসান কে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত যুবক জানিয়েছেন, ‘ওরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে বুকে চাকু মেরেছিল। কোন রকমে প্রাণ হাতে পালিয়ে বাঁচি।পুলিশে অভিযোগ করবো। যাতে ওদের চরমতম শাস্তি হয়।