মা দুর্গার আশীর্বাদেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব, উত্তরবঙ্গ নিয়ে বার্তা অভিষেকের
- আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
- / 267
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে টানা বৃষ্টি ও ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রোববার সোশ্যাল মিডিয়ার এক বার্তায় উত্তরবঙ্গের এই বিপর্যস্ত এলাকার মানুষের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন তিনি।
অভিষেক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকায় লাগাতার বৃষ্টি ও ধসে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মিরিক, জোরবঙ্গলো-সুখিয়াপোখরি এবং ফালাকাটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা।”
তিনি জানান, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, দার্জিলিং জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ চালাচ্ছেন। দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক আরও লেখেন, “এই কঠিন সময়ে কেউ একা নন। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবককে আহ্বান জানাচ্ছি, তাঁরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।” শেষে তিনি বলেন, “সমবেত সাহস, মানবিকতা এবং মা দুর্গার আশীর্বাদেই আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব।”
শনিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পঙে। তাতেই বিধ্বস্ত পাহাড়। বহু জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। তিস্তার জল উঠে এসেছে জাতীয় সড়কের উপর। এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে দার্জিলিং থেকে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভূটানে প্রবল বর্ষণের কারণে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
রবিবার নবান্ন থেকে রাজ্যের বিপর্যয় পরিস্থিতির উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, “গতরাতে উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে ভুটান ও সিকিম থেকে অতিরিক্ত জলের চাপ এসে তিস্তা-সহ অন্যান্য নদীগুলিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।” শনিবার রাত থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্যের ডিজিপি, উত্তরবঙ্গের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে একাধিক ভারচুয়াল বৈঠক করেছেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন গৌতম দেব ও অনীত থাপার মতো জনপ্রতিনিধিরাও। মমতা জানিয়েছেন, “আমি নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং সোমবার মুখ্যসচিবকে নিয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছি।”
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, “উত্তরবঙ্গে যারা পর্যটনে গিয়েছেন, তাঁরা এখন যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। পুলিশ তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে দেবে। কোনও রকম চিন্তা করার দরকার নেই, উদ্ধারকার্য ও খরচ সম্পূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব।”

















































