০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি আল শারবি-র

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে সামরিক কারাগার থেকে সউদি আরবের এক প্রকৌশলীকে মুক্তি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 প্রকৌশলী ঘাসান আল শারবির (৪৮) বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অভিযোগ না থাকলেও তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, শারবিকে সউদি আরবে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পেন্টাগনের একটি পর্যালোচনাকারী বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য হুমকি সৃষ্টি করছেন না। তাই তাকে আর আটক রাখার প্রয়োজন নেই।

পেন্টাগনের পর্যালোচনাকারী বোর্ড ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত নেয়, শারবি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার কোনও সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করেনি এবং তিনি আটক থাকাকালে সব ধরনের নীতি মেনে চলেছেন। তবে তাঁর ‘শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা’ রয়েছে বলে জানায় বোর্ড।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে জানিয়েছিল, ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর শারবি পাকিস্তানে পালিয়ে গেছিলেন। সেখানে তিনি বোমা নির্মাণের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। পরের বছর তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, তাকে কারা হেফাজতে নির্যাতন করা হয় এবং পরবর্তীতে গুয়ানতানামো বে’র সামরিক কারাগারে পাঠানো হয়।

২০০৮ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনী শারবি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের উদ্যোগ নিলেও এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি। যদিও শারবির বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়নি, তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও অনুমোদন পায়নি। বছরের পর বছর শারবিকে শত্রুপক্ষের যোদ্ধা হিসেবে আটকে রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি আল শারবি-র

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে সামরিক কারাগার থেকে সউদি আরবের এক প্রকৌশলীকে মুক্তি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 প্রকৌশলী ঘাসান আল শারবির (৪৮) বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অভিযোগ না থাকলেও তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, শারবিকে সউদি আরবে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পেন্টাগনের একটি পর্যালোচনাকারী বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য হুমকি সৃষ্টি করছেন না। তাই তাকে আর আটক রাখার প্রয়োজন নেই।

পেন্টাগনের পর্যালোচনাকারী বোর্ড ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত নেয়, শারবি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার কোনও সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করেনি এবং তিনি আটক থাকাকালে সব ধরনের নীতি মেনে চলেছেন। তবে তাঁর ‘শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা’ রয়েছে বলে জানায় বোর্ড।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে জানিয়েছিল, ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর শারবি পাকিস্তানে পালিয়ে গেছিলেন। সেখানে তিনি বোমা নির্মাণের ওপর প্রশিক্ষণ নেন। পরের বছর তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, তাকে কারা হেফাজতে নির্যাতন করা হয় এবং পরবর্তীতে গুয়ানতানামো বে’র সামরিক কারাগারে পাঠানো হয়।

২০০৮ সালে মার্কিন সামরিক বাহিনী শারবি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের উদ্যোগ নিলেও এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি। যদিও শারবির বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়নি, তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও অনুমোদন পায়নি। বছরের পর বছর শারবিকে শত্রুপক্ষের যোদ্ধা হিসেবে আটকে রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।