০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা আন্দোলনে সব সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে: জাস্টিস গাঙ্গুলি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 19

উর্দু অ্যাকাদেমিতে শাহ-ফকিরদের এক আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখছেন (বামদিক থেকে) বিধায়ক বিকেক গুপ্তা, পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান, জাস্টিস অশোক গাঙ্গুলি প্রমুখ। (ছবি- রমিত গঙ্গোপাধ্যায়)

আসিফ রেজা আনসারী: কোনও ধর্মই মানুষকে খারাপ হতে শেখায় না, বলে না  হিংসার কথা। অথচ মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে খুন-খারাপি করে। এটা অধর্ম। বৃহস্পতিবার ‘অল ইন্ডিয়া শাহ সাই কমিটি অর্গানাইজেশন’-এর সভায় এভাবেই নিজের বক্তব্য শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত  বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি।

এ দিনের সভায় তিনি ছাড়াও বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর এস আলি রিজভি, পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ্ খান আজমি, মুফতি ইসরাফিল, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ইনতাজ আলি শাহ, বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, অধ্যাপক আনন্দ ভট্টাচার্য, সংগঠনের নেতৃত্ব আসিরুদ্দিন শাহ, রফিক আনোয়ার প্রমুখ।

আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ

স্বাধীনতা আন্দোলনে সব সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে: জাস্টিস গাঙ্গুলি
বক্তব্য রাখছেন পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান

এ দিনের সভায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির নির্মাণকে তিনি বড় অধর্ম বলেও উল্লেখ করে বিচারপতি  গাঙ্গুলি বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাজ হবে মানুষের উন্নয়ন করা, কিন্ত দেখছি  মন্দির মসজিদ খেলায় মেতেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা ধর্মনিরপেক্ষতা হতে পারে না। জ্যোতিবাবু বা নেহেরুজীরা এমনটা করেননি,  কারণ তাঁরা দেশপ্রেমিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। দেশভাগকে ইংরেজদের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি এবং বলেন, মুসলিম শাসনে ভারত ছিল সবচেয়ে সম্পদশালী দেশ। বিশ্বের মোট জিডিপির ৩৭ শতাংশ ছিল ভারতের, আর ইংরেজরা তাকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনে।

আরও পড়ুন: আল-আমীন শীঘ্রই সব সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত হবে: নুরুল ইসলাম

আহমদ হাসান ইমরান নিজের সাংবাদিকতা জীবনের কথা তুলে ধরে মজনু শাহ্ নিয়ে তেমন আলোচনা না হওয়াকে দুর্ভাগ্য বলে উল্লেখ করেন এবং  এ দিনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সুফি-শাহরা শুধু দরগাতে বসে জপ করতেন না, প্রয়োজনে তাঁরা মানুষের হয়ে তলোয়ার ধরেছেন। মজনু শাহ্র জন্ম উত্তরপ্রদেশে হলেও তাঁর কাজকর্ম ও প্রভাব ছিল বাংলায়। তিনি অনেক লড়াই করেছেন। তাঁর সেই লড়াই-সংগ্রামকে সামনে রেখে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। ফকির সম্প্রদায়ের জন্য সরকারি চাকরিতে সংক্ষণের দাবিও তোলেন ইমরান। অন্যদিকে সংগঠনের সভাপতি আসিরুদ্দিন শাহ্ শিক্ষার দিকে নজর দিতে আহ্বান জানান।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাধীনতা আন্দোলনে সব সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে: জাস্টিস গাঙ্গুলি

আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

আসিফ রেজা আনসারী: কোনও ধর্মই মানুষকে খারাপ হতে শেখায় না, বলে না  হিংসার কথা। অথচ মানুষ ধর্মের দোহাই দিয়ে খুন-খারাপি করে। এটা অধর্ম। বৃহস্পতিবার ‘অল ইন্ডিয়া শাহ সাই কমিটি অর্গানাইজেশন’-এর সভায় এভাবেই নিজের বক্তব্য শুরু করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত  বিচারপতি অশোক কুমার গাঙ্গুলি।

এ দিনের সভায় তিনি ছাড়াও বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর এস আলি রিজভি, পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ্ খান আজমি, মুফতি ইসরাফিল, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ইনতাজ আলি শাহ, বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, অধ্যাপক আনন্দ ভট্টাচার্য, সংগঠনের নেতৃত্ব আসিরুদ্দিন শাহ, রফিক আনোয়ার প্রমুখ।

আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ

স্বাধীনতা আন্দোলনে সব সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে: জাস্টিস গাঙ্গুলি
বক্তব্য রাখছেন পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান

এ দিনের সভায় বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির নির্মাণকে তিনি বড় অধর্ম বলেও উল্লেখ করে বিচারপতি  গাঙ্গুলি বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাজ হবে মানুষের উন্নয়ন করা, কিন্ত দেখছি  মন্দির মসজিদ খেলায় মেতেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা ধর্মনিরপেক্ষতা হতে পারে না। জ্যোতিবাবু বা নেহেরুজীরা এমনটা করেননি,  কারণ তাঁরা দেশপ্রেমিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। দেশভাগকে ইংরেজদের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি এবং বলেন, মুসলিম শাসনে ভারত ছিল সবচেয়ে সম্পদশালী দেশ। বিশ্বের মোট জিডিপির ৩৭ শতাংশ ছিল ভারতের, আর ইংরেজরা তাকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনে।

আরও পড়ুন: আল-আমীন শীঘ্রই সব সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত হবে: নুরুল ইসলাম

আহমদ হাসান ইমরান নিজের সাংবাদিকতা জীবনের কথা তুলে ধরে মজনু শাহ্ নিয়ে তেমন আলোচনা না হওয়াকে দুর্ভাগ্য বলে উল্লেখ করেন এবং  এ দিনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সুফি-শাহরা শুধু দরগাতে বসে জপ করতেন না, প্রয়োজনে তাঁরা মানুষের হয়ে তলোয়ার ধরেছেন। মজনু শাহ্র জন্ম উত্তরপ্রদেশে হলেও তাঁর কাজকর্ম ও প্রভাব ছিল বাংলায়। তিনি অনেক লড়াই করেছেন। তাঁর সেই লড়াই-সংগ্রামকে সামনে রেখে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। ফকির সম্প্রদায়ের জন্য সরকারি চাকরিতে সংক্ষণের দাবিও তোলেন ইমরান। অন্যদিকে সংগঠনের সভাপতি আসিরুদ্দিন শাহ্ শিক্ষার দিকে নজর দিতে আহ্বান জানান।