২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোদির ইমেজ বাড়াতে ফেসবুকে সক্রিয় আম্বানির সংস্থা – তথ্য ফাঁস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 55

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদক : মুকেশ আম্বানি পরিচালিত রিলায়েন্স গ্রুপ যে সরাসরি বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘ভাবমূর্তি’ তুলে ধরতে বিজ্ঞাপন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছে তার প্রমাণ মিলল এক সমীক্ষায়।২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নিউ এমার্জিং ওয়ার্ল্ড অফ জার্নালিজম লিমিটেড নামে এক কোম্পানি গড়ে ওঠে। এই কোম্পানি লোকসভা ভোটের সময় ফেসবুকে মোদিকে তুলে ধরতে প্রচুর বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। ‘রিপোর্টারস কালেক্টিভ’ নামে সাংবাদিকদের এক সংগঠন ওই কোম্পানির নেপথ্যে কারা রয়েছেন তা জানতে তদন্ত করে। সেই তদন্তেই উঠে এল সত্য। তা হল, এই কোম্পানি বকলমে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারী থেকে ২০২০ এর নভেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকে এবং ইনস্টাগ্রামে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০ টি। এর মধ্যে বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনই ছিল আম্বানির সংস্থার। মোদি এবং বিজেপিকে তুলে ধরতে শুধু ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দিতে আম্বানির সংস্থা খরচ করেছিল ৫২ লক্ষ টাকা।

 

আরও পড়ুন: অমিত মালব্যকে শোকজ করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন

ফেসবুকে যখন সরাসরি মোদি এবং বিজেপির এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল তখন নানা মহল থেকে আপত্তি ওঠায় বিজেপি সমর্থক একটি ফেসবুক পেজ এবং ১৪ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওগুলি চালাচ্ছিল সিলভার টাচ নামে এক সংস্থা। কিন্তু আম্বানির সংস্থার লেখা এবং বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়নি। শুধু বিজ্ঞাপন নয়, সংবাদ প্রতিবেদনের নামে নানা ধরনের লেখা ছাপা হত। বেশিরভাগই ফেক নিউজ। যেমন, ভোপালে তখন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ এক খবরে বলা হল, মালেগাঁও বিস্ফোরণের সব অভিযোগ থেকে প্রজ্ঞাকে মুক্ত করে দিল আদালত।

আরও পড়ুন: বাবা সাহেব বিতর্কে উত্তাল বিহার রাজনীতি, কংগ্রেস-আরজেডিকে একযোগে নিশানা মোদির

মোদির ইমেজ বাড়াতে ফেসবুকে সক্রিয় আম্বানির সংস্থা - তথ্য ফাঁস
প্রতীকী ছবি

সেটি ছিল ডাহা মিথ্যে খবর। এছাড়া একবার রাহুল গান্ধির এক ভাষণের সংক্ষিপ্ত ভিডিয়ো এমনভাবে প্রচার করা হয় যাতে মনে হবে যে রাহুল জইস এ মুহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের হয়ে কথা বলছেন। আসলে কিন্তু সেটা ছিল ফেক নিউজ।ওই সংস্থা প্রকাশ্যে বলত, ‘মফস্বল এবং গ্রামের যারা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের উৎসাহিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য’। কিন্তু নানা ফেক নিউজ সম্প্রচার, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারই ছিল সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। উমেশ উপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি রিলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট এবং মিডিয়া ডিরেক্টর।উমেশের পুত্র শালাভ উপাধ্যায় সামনে থেকে মুকেশের ওই সংস্থা চালান। উমেশের ভাই সতীশ উপাধ্যায় বিজেপির দিল্লি শাখার সভাপতি ছিলেন। এই যে এক ধরনের বিজ্ঞাপনের কথা বলে অন্যের হয়ে প্রচার করা, একে বলা হয় সারোগেট বিজ্ঞাপন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তা নিষিদ্ধ নয়। সেই সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির এইমস-এ স্থানান্তর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মোদির ইমেজ বাড়াতে ফেসবুকে সক্রিয় আম্বানির সংস্থা – তথ্য ফাঁস

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : মুকেশ আম্বানি পরিচালিত রিলায়েন্স গ্রুপ যে সরাসরি বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘ভাবমূর্তি’ তুলে ধরতে বিজ্ঞাপন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছে তার প্রমাণ মিলল এক সমীক্ষায়।২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নিউ এমার্জিং ওয়ার্ল্ড অফ জার্নালিজম লিমিটেড নামে এক কোম্পানি গড়ে ওঠে। এই কোম্পানি লোকসভা ভোটের সময় ফেসবুকে মোদিকে তুলে ধরতে প্রচুর বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। ‘রিপোর্টারস কালেক্টিভ’ নামে সাংবাদিকদের এক সংগঠন ওই কোম্পানির নেপথ্যে কারা রয়েছেন তা জানতে তদন্ত করে। সেই তদন্তেই উঠে এল সত্য। তা হল, এই কোম্পানি বকলমে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারী থেকে ২০২০ এর নভেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকে এবং ইনস্টাগ্রামে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০ টি। এর মধ্যে বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনই ছিল আম্বানির সংস্থার। মোদি এবং বিজেপিকে তুলে ধরতে শুধু ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দিতে আম্বানির সংস্থা খরচ করেছিল ৫২ লক্ষ টাকা।

 

আরও পড়ুন: অমিত মালব্যকে শোকজ করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন

ফেসবুকে যখন সরাসরি মোদি এবং বিজেপির এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল তখন নানা মহল থেকে আপত্তি ওঠায় বিজেপি সমর্থক একটি ফেসবুক পেজ এবং ১৪ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওগুলি চালাচ্ছিল সিলভার টাচ নামে এক সংস্থা। কিন্তু আম্বানির সংস্থার লেখা এবং বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়নি। শুধু বিজ্ঞাপন নয়, সংবাদ প্রতিবেদনের নামে নানা ধরনের লেখা ছাপা হত। বেশিরভাগই ফেক নিউজ। যেমন, ভোপালে তখন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ এক খবরে বলা হল, মালেগাঁও বিস্ফোরণের সব অভিযোগ থেকে প্রজ্ঞাকে মুক্ত করে দিল আদালত।

আরও পড়ুন: বাবা সাহেব বিতর্কে উত্তাল বিহার রাজনীতি, কংগ্রেস-আরজেডিকে একযোগে নিশানা মোদির

মোদির ইমেজ বাড়াতে ফেসবুকে সক্রিয় আম্বানির সংস্থা - তথ্য ফাঁস
প্রতীকী ছবি

সেটি ছিল ডাহা মিথ্যে খবর। এছাড়া একবার রাহুল গান্ধির এক ভাষণের সংক্ষিপ্ত ভিডিয়ো এমনভাবে প্রচার করা হয় যাতে মনে হবে যে রাহুল জইস এ মুহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহারের হয়ে কথা বলছেন। আসলে কিন্তু সেটা ছিল ফেক নিউজ।ওই সংস্থা প্রকাশ্যে বলত, ‘মফস্বল এবং গ্রামের যারা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের উৎসাহিত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য’। কিন্তু নানা ফেক নিউজ সম্প্রচার, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারই ছিল সংস্থার মূল উদ্দেশ্য। উমেশ উপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি রিলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট এবং মিডিয়া ডিরেক্টর।উমেশের পুত্র শালাভ উপাধ্যায় সামনে থেকে মুকেশের ওই সংস্থা চালান। উমেশের ভাই সতীশ উপাধ্যায় বিজেপির দিল্লি শাখার সভাপতি ছিলেন। এই যে এক ধরনের বিজ্ঞাপনের কথা বলে অন্যের হয়ে প্রচার করা, একে বলা হয় সারোগেট বিজ্ঞাপন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তা নিষিদ্ধ নয়। সেই সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির এইমস-এ স্থানান্তর