০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল আমতা দেবান্দী মডেল ফ্রী প্রাইমারি স্কুল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 25

আক্তারুল খান, আমতা: পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার আমতা-১ নম্বর ব্লকের দেবান্দী মডেল ফ্রী প্রাইমারি স্কুল। বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। বছর দশেক ধরে পড়ুয়ার অভাবে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলছিল বিদ্যালয়টি। গত ২০২৪-২৫ এর শিক্ষাবর্ষ থেকে তা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুল ভবন আগাছা জঙ্গলে ভরে উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র ৯ জন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আর কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি এই বিদ্যালয়ে। পড়ুয়া না থাকলেও প্রতিদিনই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে আসতেন। নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে বন্ধ করে বাড়ি চলে যেতেন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি এক শিক্ষিকাকে আমতা-১ নম্বর ব্লকের কানপুর এলাকার একটি প্রাইমারি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়।

টিচার ইনচার্জ একাই প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতেন। ওই শিক্ষককেও পাশের একটি বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। পড়ুয়ার অভাবে স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রতিষ্ঠানের অপমৃত্যু ঘটলো। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলভবনের চারিদিকে আগাছা জঙ্গলে ভরে উঠেছে।

এ বিষয়ে হাওড়া জেলা ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের সভাপতি কৃষ্ণকুমার ঘোষ বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের পাশে হাই স্কুলের সঙ্গে রয়েছে আরও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।’ সেখানেই গত শিক্ষাবর্ষে অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদের ভর্তি করেন।

দেবান্দী মডেল ফ্রী প্রাইমারি স্কুলে কেউ ভর্তি না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এলাকার বাসিন্দারা যদি ওই স্কুলে তাদের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাবেন বা ওই স্কুলে পড়াতে চান তাহলে ওই স্কুলকে অবিলম্বে আমরা আবার চালু করব। নিয়োগ করা হবে শিক্ষক।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল আমতা দেবান্দী মডেল ফ্রী প্রাইমারি স্কুল

আপডেট : ১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

আক্তারুল খান, আমতা: পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল হাওড়ার আমতা-১ নম্বর ব্লকের দেবান্দী মডেল ফ্রী প্রাইমারি স্কুল। বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। বছর দশেক ধরে পড়ুয়ার অভাবে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে চলছিল বিদ্যালয়টি। গত ২০২৪-২৫ এর শিক্ষাবর্ষ থেকে তা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুল ভবন আগাছা জঙ্গলে ভরে উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র ৯ জন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আর কোনও পড়ুয়া ভর্তি হয়নি এই বিদ্যালয়ে। পড়ুয়া না থাকলেও প্রতিদিনই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে আসতেন। নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে বন্ধ করে বাড়ি চলে যেতেন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি এক শিক্ষিকাকে আমতা-১ নম্বর ব্লকের কানপুর এলাকার একটি প্রাইমারি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়।

টিচার ইনচার্জ একাই প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতেন। ওই শিক্ষককেও পাশের একটি বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। চলতি শিক্ষাবর্ষে ওই শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। পড়ুয়ার অভাবে স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রতিষ্ঠানের অপমৃত্যু ঘটলো। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলভবনের চারিদিকে আগাছা জঙ্গলে ভরে উঠেছে।

এ বিষয়ে হাওড়া জেলা ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের সভাপতি কৃষ্ণকুমার ঘোষ বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের পাশে হাই স্কুলের সঙ্গে রয়েছে আরও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।’ সেখানেই গত শিক্ষাবর্ষে অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদের ভর্তি করেন।

দেবান্দী মডেল ফ্রী প্রাইমারি স্কুলে কেউ ভর্তি না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এলাকার বাসিন্দারা যদি ওই স্কুলে তাদের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাবেন বা ওই স্কুলে পড়াতে চান তাহলে ওই স্কুলকে অবিলম্বে আমরা আবার চালু করব। নিয়োগ করা হবে শিক্ষক।