২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুটিয়ারী শরিফের ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক গাজীবাবা উরুস মেলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 475

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঘুটিয়ারী শরীফে ১৭ শ্রাবণ উপলক্ষে জমে উঠেছে গাজী বাবার উরুস মেলা। শনিবার সকাল থেকে সম্প্রীতির এই মিলন মেলায়।জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বহু মানুষের ভিড় জমে। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে মানত করে।

গাজী বাবার কাছে মানত পুরনের জন্য মানুষ পুকুরে ফুল ছেড়ে হাত পেতে বসে থাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। মনোবাসনার জন্য।তাদের বিশ্বাস ওই ফুল ঘুরে হাতে চলে আসবে। এইভাবে সারা দিন পুকুরের পারে বসে থাকে বিভিন্ন দেশ সহ রাজ্য থেকে আসা ভক্তরা। গাজী বাবার মাজারে চাদর চড়িয়ে মানত করে যায় বহু মানুষ। এদিন সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই সম্প্রীতির মিলন উৎসব।

ঘুটিয়ারী শরিফের ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক গাজীবাবা উরুস মেলা

যত রাত হয় মেলায় ভিড় জমায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এই উরুস মেলাতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে বহু মানুষ আসেন প্রতি বছর। উল্লেখ্য জনশ্রুতি রয়েছে।যখন বৃষ্টির জন্য চাষ বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু বছর আগে। তখন গাজী সাহেব মক্কার দরবারে গিয়ে চাষীদের জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা করে ছিল। তারপরই বৃষ্টিতে মাঠ ঘাট জলে ভোরে যায়।

সেই থেকে সবার বিশ্বাস আজকের দিনে মানত করলে সবার মনবাসনা পূরণ হয়। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই দিনটিতে এখানে এসে মানত করেন। এই দিনটিকে একটি বিশেষ দিন হিসেবে পালন করেন সকলে। এই উরুস মেলা উপলক্ষে প্রশাসনের তরফ থেকে বহু সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয় গোটা মাজার জুড়ে। যাতে না কোন দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঘুটিয়ারী শরিফের ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক গাজীবাবা উরুস মেলা

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঘুটিয়ারী শরীফে ১৭ শ্রাবণ উপলক্ষে জমে উঠেছে গাজী বাবার উরুস মেলা। শনিবার সকাল থেকে সম্প্রীতির এই মিলন মেলায়।জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বহু মানুষের ভিড় জমে। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে মানত করে।

গাজী বাবার কাছে মানত পুরনের জন্য মানুষ পুকুরে ফুল ছেড়ে হাত পেতে বসে থাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। মনোবাসনার জন্য।তাদের বিশ্বাস ওই ফুল ঘুরে হাতে চলে আসবে। এইভাবে সারা দিন পুকুরের পারে বসে থাকে বিভিন্ন দেশ সহ রাজ্য থেকে আসা ভক্তরা। গাজী বাবার মাজারে চাদর চড়িয়ে মানত করে যায় বহু মানুষ। এদিন সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই সম্প্রীতির মিলন উৎসব।

ঘুটিয়ারী শরিফের ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক গাজীবাবা উরুস মেলা

যত রাত হয় মেলায় ভিড় জমায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এই উরুস মেলাতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে বহু মানুষ আসেন প্রতি বছর। উল্লেখ্য জনশ্রুতি রয়েছে।যখন বৃষ্টির জন্য চাষ বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বহু বছর আগে। তখন গাজী সাহেব মক্কার দরবারে গিয়ে চাষীদের জন্য বৃষ্টির প্রার্থনা করে ছিল। তারপরই বৃষ্টিতে মাঠ ঘাট জলে ভোরে যায়।

সেই থেকে সবার বিশ্বাস আজকের দিনে মানত করলে সবার মনবাসনা পূরণ হয়। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই দিনটিতে এখানে এসে মানত করেন। এই দিনটিকে একটি বিশেষ দিন হিসেবে পালন করেন সকলে। এই উরুস মেলা উপলক্ষে প্রশাসনের তরফ থেকে বহু সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয় গোটা মাজার জুড়ে। যাতে না কোন দুর্ঘটনা ঘটে।