২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাপরার পর সিওয়ানে! বিহারে বিষাক্ত মদ পান করে ৪ জনের মৃত্যু, অসুস্থ আরও অনেকে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 247

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:ফের বিহারে বিষমদে মৃত্যু। ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছে রাজ্যে।   বিহারের সিওয়ান জেলার একটি গ্রামে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪ জনের, গুরুতর অসুস্থ হয়েছে অন্তত ১২ জনের মতো। তাঁদের মধ্যে বিষাক্ত মদের কারণে ছয় জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তারা সকলেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেই খবর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জেলার লকড়ি নবিগঞ্জ ওপি থানা এলাকার ভোপটপুর ও বালা গ্রামের কয়েকজন বিষাক্ত মদ খেয়েছিলেন। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই সদর হাসপাতালে একের পর এক রোগী আসতে থাকেন। সন্ধ্যায় হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় একজনের মৃত্যু হয়। এরপর রাতে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। পুরো ঘটনায় বিষ মদ পানের কথা বলছেন স্থানীয় মানুষ। এই ঘটনায় কারণে গোটা গ্রামে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেই খবর। খবরটি পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করে দেয় স্থানীয় পুলিশ। বিভিন্ন মদের ভাটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১০ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। মাঝ রাতেই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক।

এই ঘটনায় জেলাশাসক অমিত কুমার পান্ডে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন এই মুহূর্তে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়। নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে। সর্বোপরি, কেন এত মানুষ মারা যাচ্ছে এবং তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, এটি তদন্তের বিষয় বলে জানিয়েছেন তিনি।রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কোথা থেকে আসছে এই মদ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য,কিছু দিন আগে বিহারের ছপরায় বিষমদের বলি হয়েছিলেন প্রায় ৭০ জন। সেই ঘটনায় অন্যতম মূল চক্রীকে  দিল্লি থেকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার পর বিষমদের জন্য এ বার শিরোনামে উঠে এল সিওয়ান। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করে দেন। তার পর থেকে সেখানে বিষমদের রমরমা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ। হামেশাই বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে বিহার থেকে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ছাপরার পর সিওয়ানে! বিহারে বিষাক্ত মদ পান করে ৪ জনের মৃত্যু, অসুস্থ আরও অনেকে

আপডেট : ২৩ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:ফের বিহারে বিষমদে মৃত্যু। ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছে রাজ্যে।   বিহারের সিওয়ান জেলার একটি গ্রামে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪ জনের, গুরুতর অসুস্থ হয়েছে অন্তত ১২ জনের মতো। তাঁদের মধ্যে বিষাক্ত মদের কারণে ছয় জন দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তারা সকলেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেই খবর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জেলার লকড়ি নবিগঞ্জ ওপি থানা এলাকার ভোপটপুর ও বালা গ্রামের কয়েকজন বিষাক্ত মদ খেয়েছিলেন। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই সদর হাসপাতালে একের পর এক রোগী আসতে থাকেন। সন্ধ্যায় হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় একজনের মৃত্যু হয়। এরপর রাতে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। পুরো ঘটনায় বিষ মদ পানের কথা বলছেন স্থানীয় মানুষ। এই ঘটনায় কারণে গোটা গ্রামে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলেই খবর। খবরটি পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করে দেয় স্থানীয় পুলিশ। বিভিন্ন মদের ভাটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১০ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। মাঝ রাতেই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক।

এই ঘটনায় জেলাশাসক অমিত কুমার পান্ডে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন এই মুহূর্তে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়। নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে। সর্বোপরি, কেন এত মানুষ মারা যাচ্ছে এবং তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে, এটি তদন্তের বিষয় বলে জানিয়েছেন তিনি।রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কোথা থেকে আসছে এই মদ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য,কিছু দিন আগে বিহারের ছপরায় বিষমদের বলি হয়েছিলেন প্রায় ৭০ জন। সেই ঘটনায় অন্যতম মূল চক্রীকে  দিল্লি থেকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার পর বিষমদের জন্য এ বার শিরোনামে উঠে এল সিওয়ান। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করে দেন। তার পর থেকে সেখানে বিষমদের রমরমা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ। হামেশাই বিষমদ খেয়ে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে বিহার থেকে।