০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর বাইরে আরও এক পৃথিবী! Super Earth খোঁজ মিললো নাসার টেলিস্কোপে 

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শনিবার
  • / 42

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীর বাইরে আরও এক পৃথিবী! যার আয়তন নাকি ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ বড়। সম্প্রতি নাসার টেলিস্কোপে (NASA telescope) ধরা পড়ল সুপার আর্থ (Super-Earth) । এই সুপার আর্থ বা এক্সোপ্ল্যানেট (TOI-715 b,) যা পৃথিবীর আকারের প্রায় ১.৫ গুণ বড়, ১৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অন্য সৌরজগতে রয়েছে।

এটি নক্ষত্র থেকে দূরে থাকার কারণে গ্রহটিকে তার পৃষ্ঠে তরল জল তৈরির জন্য সঠিক তাপমাত্রা দিতে পারে। সুপার-আর্থের আরও কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। কিছু গ্রহের বায়ুমন্ডল পাতলা হয়। তার সঙ্গে গড়ন থাকে পাথুরে। যেমন পৃথিবীর রয়েছে। আবার কিছু গ্রহের নেপচুনের মতো খুব পুরু বায়ুমন্ডল থাকে। কিছু কিছু গ্রহের আবার রিং থাকে। যেমন শনি গ্রহের রয়েছে। সুপার আর্থের ভর, মাধ্যাকর্ষণ বল ও উষ্ণতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ এই তিন উপাদানের উপর নির্ভর করে সেখানে প্রাণের জন্ম হবে কি না।

নাসার ট্রান্সিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টেস)-এর মাধ্যমেই গবেষকরা এটি আবিষ্কার করেন। পৃথিবীর আশেপাশের গ্রহগুলির সন্ধান পেতে ২০১৮ সালে এটি লঞ্চ করা হয়।তবে যেহেতু আমরা আলোকবর্ষ অনেক দূরে আছি আমরা এই দূরবর্তী পৃথিবীকে শুধুমাত্র একটি অন্ধকার বিন্দু হিসাবে দেখতে পেতে পারি। গ্রহের নক্ষত্রটি বামন আকৃতির বলে এটি ১৯ দিনে পুরো ঘোরা শেষ করে। অর্থাৎ বার্ষিক গতি ১৯ দিন। যেখানে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন। এই গ্রহের মাটিতে জল পাওয়া যাবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পৃথিবীর বাইরে আরও এক পৃথিবী! Super Earth খোঁজ মিললো নাসার টেলিস্কোপে 

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পৃথিবীর বাইরে আরও এক পৃথিবী! যার আয়তন নাকি ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ বড়। সম্প্রতি নাসার টেলিস্কোপে (NASA telescope) ধরা পড়ল সুপার আর্থ (Super-Earth) । এই সুপার আর্থ বা এক্সোপ্ল্যানেট (TOI-715 b,) যা পৃথিবীর আকারের প্রায় ১.৫ গুণ বড়, ১৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অন্য সৌরজগতে রয়েছে।

এটি নক্ষত্র থেকে দূরে থাকার কারণে গ্রহটিকে তার পৃষ্ঠে তরল জল তৈরির জন্য সঠিক তাপমাত্রা দিতে পারে। সুপার-আর্থের আরও কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে। কিছু গ্রহের বায়ুমন্ডল পাতলা হয়। তার সঙ্গে গড়ন থাকে পাথুরে। যেমন পৃথিবীর রয়েছে। আবার কিছু গ্রহের নেপচুনের মতো খুব পুরু বায়ুমন্ডল থাকে। কিছু কিছু গ্রহের আবার রিং থাকে। যেমন শনি গ্রহের রয়েছে। সুপার আর্থের ভর, মাধ্যাকর্ষণ বল ও উষ্ণতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ এই তিন উপাদানের উপর নির্ভর করে সেখানে প্রাণের জন্ম হবে কি না।

নাসার ট্রান্সিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টেস)-এর মাধ্যমেই গবেষকরা এটি আবিষ্কার করেন। পৃথিবীর আশেপাশের গ্রহগুলির সন্ধান পেতে ২০১৮ সালে এটি লঞ্চ করা হয়।তবে যেহেতু আমরা আলোকবর্ষ অনেক দূরে আছি আমরা এই দূরবর্তী পৃথিবীকে শুধুমাত্র একটি অন্ধকার বিন্দু হিসাবে দেখতে পেতে পারি। গ্রহের নক্ষত্রটি বামন আকৃতির বলে এটি ১৯ দিনে পুরো ঘোরা শেষ করে। অর্থাৎ বার্ষিক গতি ১৯ দিন। যেখানে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন। এই গ্রহের মাটিতে জল পাওয়া যাবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।