০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরু পাচার কাণ্ডে দেবের পর এবার তলব অনুব্রতকে, সোমবার হাজিরার নির্দেশ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 13

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিতর্ক আর কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার ফের গরুপাচার কাণ্ডে নাম জড়াল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গতকাল অভিনেতা সাংসদ দেবকে তলব করার পর এবার গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতকে তলবকে করল সিবিআই। সোমবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই একাধিক মানুষের বয়ান রেকর্ড করে নিয়েছে সিবিআই। বয়ানের সাক্ষীতেই উঠে এসেছে সাংসদ দেব ও অনুব্রত মণ্ডলের নাম। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এই তলব।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দেবকে হাজিরার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১১ টার সময় হাজিরা দেওয়ার কথা। নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। সিবিআই সূত্রে খবর,  এনামূলের সঙ্গে গরু পাচার কাণ্ডে দেবের যোগসূত্রিতা পাওয়া গেছে।

গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার  আগে তিনি একাধিকবার কোর্টে জামিনের আবেদন করলেও তা নাকচ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নাম জড়ানোর পর এবার গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই তলব করা হল অনুব্রতকে। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন খুন হয় বীরভূমের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। সেই খুনের ঘটনায় উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। গত ২৮ জানুয়ারি তাকে তলব করে সিবিআই।  শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। তার পরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেই খানেই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করা হচ্ছে অনুব্রতকে। উডবার্ন ব্লকের ফার্স্ট ফ্লোরের একটি কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে। এর হাই কোর্টের নির্দেশ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শর্তসাপেক্ষে ‘রক্ষাকবচ’ পান বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কোর্ট জানায়, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না, অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত’র বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না, সিবিআই। তবে অনুব্রত’র বিরুদ্ধে  তদন্ত চালাতে পারবে সিবিআই। সেই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে অনুব্রতকে। অনুব্রতও সাংবাদিকদের জানান, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন।

হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানেই অনুব্রতর পক্ষ থেকে সিবিআই-এর কাছে ৮ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়।

আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল বলেন,, যে অনুব্রত একবার জানিয়েছেন তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। অনুব্রত  একবার বলেছেন ক্রনিক অ্যাস্থমা আছে। এ দিকে উনি ৩১ তারিখও ট্রাভেল করেছেন, যাতায়াত করেছেন, এর কী মানে?

পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, আমি বোলপুরে থাকি, আমাকে ডেকেছে দুর্গাপুরে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে কী আবেদন করছেন অনুব্রত? অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, তাঁদের জায়গা মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হোক আর রক্ষা কবচ দেওয়া হোক। এ ছড়া কোথায় জিজ্ঞাসাবাদ হবে, বোলপুর না দুর্গাপুর, তাই নিয়েও চলে শুনানি। শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে রক্ষাকবচ দেয় হাই কোর্ট।

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গরু পাচার কাণ্ডে দেবের পর এবার তলব অনুব্রতকে, সোমবার হাজিরার নির্দেশ

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিতর্ক আর কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার ফের গরুপাচার কাণ্ডে নাম জড়াল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। গতকাল অভিনেতা সাংসদ দেবকে তলব করার পর এবার গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতকে তলবকে করল সিবিআই। সোমবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই একাধিক মানুষের বয়ান রেকর্ড করে নিয়েছে সিবিআই। বয়ানের সাক্ষীতেই উঠে এসেছে সাংসদ দেব ও অনুব্রত মণ্ডলের নাম। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এই তলব।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দেবকে হাজিরার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ১১ টার সময় হাজিরা দেওয়ার কথা। নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। সিবিআই সূত্রে খবর,  এনামূলের সঙ্গে গরু পাচার কাণ্ডে দেবের যোগসূত্রিতা পাওয়া গেছে।

গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার  আগে তিনি একাধিকবার কোর্টে জামিনের আবেদন করলেও তা নাকচ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নাম জড়ানোর পর এবার গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই তলব করা হল অনুব্রতকে। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন খুন হয় বীরভূমের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকার। সেই খুনের ঘটনায় উঠে আসে অনুব্রত মণ্ডলের নাম। গত ২৮ জানুয়ারি তাকে তলব করে সিবিআই।  শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। তার পরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেই খানেই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করা হচ্ছে অনুব্রতকে। উডবার্ন ব্লকের ফার্স্ট ফ্লোরের একটি কেবিনে ভর্তি করা হয়েছে। এর হাই কোর্টের নির্দেশ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শর্তসাপেক্ষে ‘রক্ষাকবচ’ পান বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কোর্ট জানায়, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না, অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত’র বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না, সিবিআই। তবে অনুব্রত’র বিরুদ্ধে  তদন্ত চালাতে পারবে সিবিআই। সেই তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে অনুব্রতকে। অনুব্রতও সাংবাদিকদের জানান, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন।

হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানেই অনুব্রতর পক্ষ থেকে সিবিআই-এর কাছে ৮ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়।

আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল বলেন,, যে অনুব্রত একবার জানিয়েছেন তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। অনুব্রত  একবার বলেছেন ক্রনিক অ্যাস্থমা আছে। এ দিকে উনি ৩১ তারিখও ট্রাভেল করেছেন, যাতায়াত করেছেন, এর কী মানে?

পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, আমি বোলপুরে থাকি, আমাকে ডেকেছে দুর্গাপুরে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে কী আবেদন করছেন অনুব্রত? অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, তাঁদের জায়গা মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হোক আর রক্ষা কবচ দেওয়া হোক। এ ছড়া কোথায় জিজ্ঞাসাবাদ হবে, বোলপুর না দুর্গাপুর, তাই নিয়েও চলে শুনানি। শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে রক্ষাকবচ দেয় হাই কোর্ট।