১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের মাটিতে আপেল গাছ

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 139

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : বৃহত্তম ব-দ্বীপ ম্যানগ্রোভ অরণ্য তথা বাঘের আস্তানা সুন্দরবন। নোনা আবহাওয়া। নোনা মাটিতে ভরা। সুন্দরবনের অধিকাংশ জলাজমিতে এক ফসলি চাষ হয়। সুন্দরবনের মাটিতে আপেল কিংবা আঙুর ফলন একে বারেই অসম্ভব। যেটা কাশ্মীরের পক্ষে উপযুক্ত স্থান।

সেই অসম্ভব কে সম্ভব করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে এক দম্পতি। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে দিঘীরপাড় পঞ্চায়েতের রায়বাঘিনী সিংহ ও নাইয়া পাড়ার দম্পতি শিবাজী সিংহ ও বিজলী সিংহ। বিগত দিনে দম্পতি যে সমস্ত ফলফুল ভীনরাজে অনায়াসে ফলন সম্ভব, সেই সমস্ত ফলফুল চাষে উদগ্রীব হয়েছিলেন। কোন রকম ফল না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাড়ল মাছরাঙার সংখ্যা

গত বছর ক্যানিং বাজার থেকে ৩০ টাকা কিলো দরে কাশ্মীরি আপেল কিনেছিলেন। সেই আপেলের বীজ দিয়ে চারাগাছ তৈরী করেছিলেন। প্রায় ১৫ টি চারা গাছ হয়েছিল। সেই সমস্ত চারাগাছ পরিচর্যা করে বড় করছিলেন। বিগত দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইয়াসের তান্ডব সমস্ত আপেল চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দুটি মাত্র চারাগাছ বেঁচেছিল। সেই চারাগাছ সযত্নে পরিচর্যা করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সিংহ দম্পতি।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের সুন্দরবনে বেড়ানোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ সরকারের

সুন্দরবনের মাটিতে আপেল গাছ

আরও পড়ুন: লুপ্তপ্রায় ন্যাদোস মাছ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ সুন্দরবনের

ইদানিং আগষ্টের শেষ লগ্নে আপেল গাছের শাখাতে কুঁড়ি ধরেছে। দম্পতির আশা আপেল অবশ্যই ফলবে। এছাড়াও দম্পতির বাগানে রয়েছে জাপানের বিখ্যাত আম গাছ,ড্রাগন গাছ। দার্জিলিয়ের কমলা লেবু এবং মসুম্বী লেবুগাছ। লেবু গাছে ফল হলেও আপেল ফলনের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে তাকিয়ে সিংহ দম্পতি।

শিবাজী সিংহ জানিয়েছেন, ‘ছোট থেকে ফল ফুলের চারাগাছ রোপণ করার কাজ করেছি। ইদানিং ইউটিউব থেকে শিক্ষা নিয়ে আপেল, কমলালেবু ,মসুম্বী লেবু গাছ রোপণ করে পরিচর্যা করেছিলাম। লেবু গাছে ফল হয়েছে এবং খুব মিষ্টি। এবার আপেল ফলনের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি সফলতা পাবো।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুন্দরবনের মাটিতে আপেল গাছ

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : বৃহত্তম ব-দ্বীপ ম্যানগ্রোভ অরণ্য তথা বাঘের আস্তানা সুন্দরবন। নোনা আবহাওয়া। নোনা মাটিতে ভরা। সুন্দরবনের অধিকাংশ জলাজমিতে এক ফসলি চাষ হয়। সুন্দরবনের মাটিতে আপেল কিংবা আঙুর ফলন একে বারেই অসম্ভব। যেটা কাশ্মীরের পক্ষে উপযুক্ত স্থান।

সেই অসম্ভব কে সম্ভব করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে এক দম্পতি। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে দিঘীরপাড় পঞ্চায়েতের রায়বাঘিনী সিংহ ও নাইয়া পাড়ার দম্পতি শিবাজী সিংহ ও বিজলী সিংহ। বিগত দিনে দম্পতি যে সমস্ত ফলফুল ভীনরাজে অনায়াসে ফলন সম্ভব, সেই সমস্ত ফলফুল চাষে উদগ্রীব হয়েছিলেন। কোন রকম ফল না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাড়ল মাছরাঙার সংখ্যা

গত বছর ক্যানিং বাজার থেকে ৩০ টাকা কিলো দরে কাশ্মীরি আপেল কিনেছিলেন। সেই আপেলের বীজ দিয়ে চারাগাছ তৈরী করেছিলেন। প্রায় ১৫ টি চারা গাছ হয়েছিল। সেই সমস্ত চারাগাছ পরিচর্যা করে বড় করছিলেন। বিগত দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইয়াসের তান্ডব সমস্ত আপেল চারা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দুটি মাত্র চারাগাছ বেঁচেছিল। সেই চারাগাছ সযত্নে পরিচর্যা করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সিংহ দম্পতি।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের সুন্দরবনে বেড়ানোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ সরকারের

সুন্দরবনের মাটিতে আপেল গাছ

আরও পড়ুন: লুপ্তপ্রায় ন্যাদোস মাছ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ সুন্দরবনের

ইদানিং আগষ্টের শেষ লগ্নে আপেল গাছের শাখাতে কুঁড়ি ধরেছে। দম্পতির আশা আপেল অবশ্যই ফলবে। এছাড়াও দম্পতির বাগানে রয়েছে জাপানের বিখ্যাত আম গাছ,ড্রাগন গাছ। দার্জিলিয়ের কমলা লেবু এবং মসুম্বী লেবুগাছ। লেবু গাছে ফল হলেও আপেল ফলনের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে তাকিয়ে সিংহ দম্পতি।

শিবাজী সিংহ জানিয়েছেন, ‘ছোট থেকে ফল ফুলের চারাগাছ রোপণ করার কাজ করেছি। ইদানিং ইউটিউব থেকে শিক্ষা নিয়ে আপেল, কমলালেবু ,মসুম্বী লেবু গাছ রোপণ করে পরিচর্যা করেছিলাম। লেবু গাছে ফল হয়েছে এবং খুব মিষ্টি। এবার আপেল ফলনের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি সফলতা পাবো।’