অদম্য জেরেই সাফল্য আরিফ বিল্লাহ-র

- আপডেট : ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
- / 255
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : অদম্য ইচ্ছে শক্তি, নেক নিয়ত আর মনের জোর থাকলে যে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করা যায় তা প্রমান করলেন মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানার কাশিপুর গ্রামের ডাঃ এমডি আরিফ বিল্লাহ। মুর্শিদাবাদের কাশিপুর গ্রামের তরুণ চিকিৎসক বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর চলতি বছরের গত জুলাই মাসেই ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট একজামিনেশন-এ সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। রেজিনগর থানায় প্রথম এফএমজিই পরীক্ষায় আরিফ বিল্লাহর সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার, এলাকার মানুষ সহ শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। পুবের কলমকে দেওয়া খোলামেলা এক সাক্ষাৎকারে শোনালেন সংগ্রাম এবং সাফল্যের কাহিনি।
ডা. এমডি আরিফ বিল্লাহর জানান, পড়াশোনার ক্ষেত্রে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তার আব্বা মৌলানা ঈদ মহম্মদ। মাদ্রাসা তাজবিদুল কোরআন এবং কাশিপুর আল-মদিনা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পরিচালক মৌলানা ঈদ মহম্মদের ৩ ছেলে এবং ৫ মেয়ের মধ্যে আরিফ বিল্লাহ সবার বড়। গ্রামের সরকারি বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর আরিফ ভর্তি হন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক বক্তা মরহুম গোলাম আহমাদ মোর্ত্তজা প্রতিষ্ঠিত বর্ধমানের মামুন ন্যাশনাল স্কুলে। সেখান থেকে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরেই এমবিবিএস-এর জন্য ভর্তি হন বাংলাদেশে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২০২৪ সালে এমবিবিএস সম্পূর্ণ করেন। এর পরেই দেশে ফিরে নয়া দিল্লির এরাইজ মেডিকেল একাডেমি থেকে কোচিং নিয়ে ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বর্তমানে নিট-পিজি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন আরিফ বিল্লাহ। আগামি দিনে সার্জারি নিয়ে পড়াশোনার পর চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত হতে চান বলেও তিনি জানান।
এদিন সাক্ষাতকারে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম সহ ওই দেশের মেডিক্যাল কলেজের পঠন-পাঠন প্রসঙ্গে আরিফ জানান, বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল, চিন, রাশিয়া, ফিলিপিনস, কিরঘিজস্তান সহ বিভিন্ন দেশেই এমবিবিএস পড়ার জন্য যাচ্ছেন রাজ্যের পড়ুয়ারা।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস-কোর্সে যে পাঠক্রম এবং পড়াশোনার গুণগত মান খুবই উন্নত। তাছাড়া বাংলাদেশের অধ্যাপক-সহপাঠীদের সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলায় আকাদেমিক বিষয়ে আলোচনা করে উপকৃত হন পড়ুয়ারা। এছাড়াও বাঙালি পরিবেশে বসবাস এবং খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকটাই সুবিধা হয় বলেও তিনি জানান।
আরিফের এমন নজরকাড়া সাফল্যে তাঁর আব্বা তথা সমাজসেবক ও সুনামধন্য বাগ্মী বক্তা মৌলানা ঈদ মহম্মদ মাজাহেরী বলেন ছেলের সাফল্যে আমরা পরিবারের সবাই খুশি এবং গর্বিত। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, ছেলের মেহনত এবং পরিশ্রম আল্লাহ্ কবুল করেছেন। ছেলেকে আগামীতে ভালো আদর্শবান সার্জন হিসেবে দেখতে চাই। ভালো চিকিৎসক হয়ে সবসময় যেনো গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থাকে এই কামনা করি।