০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রয়াগরাজে গ্রেফতার ৬৭, আটক ৮ নাবালক

আজাদকে গ্রামে ঢুকতে বাধা, পুলিশি পদক্ষেপে তুমুল অশান্তি-ভাঙচুর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 18

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যোগী রাজ্যে এক দলিত যুবককে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। শোকতপ্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আজাদ সমাজ পার্টির প্রধান তথা সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদ। কৌশাম্বি জেলায় ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল আজাদের। কিন্তু ইসোটা গ্রামে ঢোকার মুখেই তাঁকে আটকে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ। আজাদ সমাজ পার্টির প্রধানকে আটকে দেওয়া নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ও অশান্তি শুরু হয়। পুলিশি বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভাঙচুর চালায় জনতা। এই ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ৮ জন নাবালককে আটক করা হয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, গ্রামে আজাদ সমাজ পার্টির সাংসদ আসছেন জানতে পেরে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আজাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু জেলা পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে চন্দ্রশেখর আজাদকে ওই গ্রামে ঢুকতে দেয়নি। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আজাদ সমাজ পার্টির সাংসদ আর আসবেন না জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তারা। এরপরই শুরু হয় অশান্তি। নাগিনা সাংসদের সমর্থকরা দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালায়। অভিযোগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ সহ প্রায় এক ডজন গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ।

এই অশান্তির পর ৫৩ জনের নাম এবং ৫০০ জনেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নতুন করে অশান্তি এড়াতে ওই এলাকায় অবস্থান করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। যমুনাপাড়ের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিবেক চন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা আইন ও গ্যাংস্টার আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি বিধান অনুযায়ী অভিযুক্তদের কাছ থেকে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে।

আরও পড়ুন: শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র সাঁত্রাগাছি মোড়ের নার্সিংহোম চত্বর, ভাঙচুর, অবরোধ

পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করে আজাদ সমাজ পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, আমাদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা সহিংসতায় জড়িত তারা দলের সাথে যুক্ত নয়। সংগঠনকে এই ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এদিকে চন্দ্রশেখর আজাদ সাফ জানিয়েছেন, “যারা করছানায় অশান্তি সৃষ্টি করছে, তারা আমার দলের কর্মী নয়।”

আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বিক্ষোভ, পার্লামেন্ট ভাঙচুর

আরও পড়ুন: ট্রেনে আগুন, ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ, অগ্নিপথের বিরুদ্ধে প্রদিবাদে উত্তাল বিহার, হরিয়ানা, ইউপি সহ একাধিক রাজ্য

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রয়াগরাজে গ্রেফতার ৬৭, আটক ৮ নাবালক

আজাদকে গ্রামে ঢুকতে বাধা, পুলিশি পদক্ষেপে তুমুল অশান্তি-ভাঙচুর

আপডেট : ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যোগী রাজ্যে এক দলিত যুবককে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। শোকতপ্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আজাদ সমাজ পার্টির প্রধান তথা সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদ। কৌশাম্বি জেলায় ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল আজাদের। কিন্তু ইসোটা গ্রামে ঢোকার মুখেই তাঁকে আটকে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ। আজাদ সমাজ পার্টির প্রধানকে আটকে দেওয়া নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ও অশান্তি শুরু হয়। পুলিশি বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ভাঙচুর চালায় জনতা। এই ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ৮ জন নাবালককে আটক করা হয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, গ্রামে আজাদ সমাজ পার্টির সাংসদ আসছেন জানতে পেরে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আজাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু জেলা পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে চন্দ্রশেখর আজাদকে ওই গ্রামে ঢুকতে দেয়নি। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আজাদ সমাজ পার্টির সাংসদ আর আসবেন না জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তারা। এরপরই শুরু হয় অশান্তি। নাগিনা সাংসদের সমর্থকরা দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালায়। অভিযোগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ সহ প্রায় এক ডজন গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ।

এই অশান্তির পর ৫৩ জনের নাম এবং ৫০০ জনেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নতুন করে অশান্তি এড়াতে ওই এলাকায় অবস্থান করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। যমুনাপাড়ের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিবেক চন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা আইন ও গ্যাংস্টার আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি বিধান অনুযায়ী অভিযুক্তদের কাছ থেকে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে।

আরও পড়ুন: শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র সাঁত্রাগাছি মোড়ের নার্সিংহোম চত্বর, ভাঙচুর, অবরোধ

পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করে আজাদ সমাজ পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, আমাদের আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যারা সহিংসতায় জড়িত তারা দলের সাথে যুক্ত নয়। সংগঠনকে এই ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এদিকে চন্দ্রশেখর আজাদ সাফ জানিয়েছেন, “যারা করছানায় অশান্তি সৃষ্টি করছে, তারা আমার দলের কর্মী নয়।”

আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বিক্ষোভ, পার্লামেন্ট ভাঙচুর

আরও পড়ুন: ট্রেনে আগুন, ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ, অগ্নিপথের বিরুদ্ধে প্রদিবাদে উত্তাল বিহার, হরিয়ানা, ইউপি সহ একাধিক রাজ্য