আশারামের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল গুজরাত হাইকোর্ট

- আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 115
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে ধর্মগুরু আশারম বাপুর। যাবজ্জীবন সাজা হলেও জেলের বাইরে বেশ সময় কাটছে তাঁর। এর আগে একাধিকবার প্যারলে মুক্তি পেয়েছিলেন আদালতের নির্দেশে, আর এবার তাঁর অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল গুজরাত হাইকোর্ট। তাঁর এই অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ আপাতত ৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মামলার শুনানি চলাকালীন গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি আইলেশ ভোরা ও বিচারপতি স¨ীপ ভাট আশারামের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন। এর আগে ২৮ মার্চ হাইকোর্ট আশারামের তিন মাসের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছিল।
উল্লেখ্য, ৩০জুন এই অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এ দিন তা বাড়িয়ে ৭ জুলাই পর্যন্ত করে দিয়েছে হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, চিকিৎসা করানোর কারণ দেখিয়ে জামিনে রয়েছেন আশারাম। তাছাড়া আশারামের আইনজীবী যাতে তার আবেদনে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে পারেন, সে জন্য এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বিষয়টি ২ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। আশারামের আইনজীবী তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে নথি জমা দেওয়ার জন্য কয়েক দিন সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিলেন।
তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘২৮ মার্চ তাঁর মক্কেলের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর হয়েছিল কিন্তু, যোধপুরে হাইকোর্ট (রাজস্থান হাইকোর্ট) থেকে অর্ডার পেতে আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়ার জন্য আরও ১০ দিন নষ্ট হয়েছে। সেইমতো ৭ এপ্রিল তাঁর মক্কেল জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। তাই আমার অনুরোধ ২দিন সময় দেওয়া হোক যাতে সোমবার শুনানির দিন করা যায়। সেক্ষেত্রে আমি নথিগুলি পেশ করতে পারি এবং বাদী পক্ষর আইনজীবী যাতে তা যাচাই করতে পারেন। তাই আমাকে ১ বা ২দিন সময় দিতে পারেন।’’ এরপর আদালত তার আদেশে বলেছে যে, ‘‘বর্তমান মামলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা ৭ জুলাই পর্যন্ত অস্থায়ী জামিন বাড়ানোর পক্ষে রায় দিচ্ছি।’’
উল্লেখ্য, গুজরাত হাইকোর্ট ২৮ মার্চ আশারামের তিন মাসের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে কারণ সুপ্রিম কোর্টের তরফে আশারামকে দেওয়া অন্তর্র্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গান্ধিনগরের একটি আদালত ধর্ষণ মামলায় আশারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ২০১৩ সালে রাজস্থানে নিজেরই আশ্রমে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় আশারাম যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, অনেকেই বলছেন যেভাবে প্যারল বা অস্থায়ী জামিনে বারেবারে ‘জেলমুক্ত’ হচ্ছেন আশারাম, তাতে তিনি এই মামলায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতে পারেন। সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন।