০৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যালিস্টিক মিসাইলধারী দেশের তালিকায় তুরস্ক

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
  • / 4

 

 

আরও পড়ুন: ওড়িশা উপকূল থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল পৃথ্বী-২ এর সফল পরীক্ষা

 

আরও পড়ুন: ফের ব্যালিস্টিক  মিসাইল নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার

 

আরও পড়ুন: ২ হাজার কিলোমিটার আঘাত হানতে সক্ষম, অগ্নি-৪ ব্যালাস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন ভারতে

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রথমবারের মতো ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার সকালে রাইজ-আরতভিন বিমানবন্দর থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় তুর্কি কোম্পানি রকেটসানের উদ্ভাবিত তাইফুন মিসাইলটি। এরপর  তাইফুন ব্যালিস্টিক মিসাইল ৫৬১ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সিনোপ উপকূলে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এর মাধ্যমে তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যালিস্টিক মিসাইলধারী দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল। তাইফুনকে স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল (এসআরবিএম) ও ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (টিবিএম) অভিহিত করে বলা হয়েছে, এর আগে তুরস্কের অস্ত্রভাণ্ডারে কোনও ‘এসআরবিএম’ ছিল না। বিশ্বের অন্যতম অস্ত্র উদ্ভাবক সংস্থা রকেটসান সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি ও সম্পদ কাজে লাগিয়েই তাইফুন এসআরবিএম তৈরি করেছে।

এর আগে রকেটসান ইলদিরিম জে-৬০০টি ও বোরা ব্যালিস্টক মিসাইল উদ্ভাবন করে। যথাক্রমে ১৫০ ও ২৮০ কিলোমিটার পাল্লার মিসাইল দু’টি এরইমধ্যে তুর্কি স্থলবাহিনী কমান্ডের অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রকেটসানের নতুন উদ্ভাবন তাইফুন ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (টিবিএম)। ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইলকে ট্যাকটিক্যাল মিসাইল বলা হয়। আর ৩০০-১০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের মিসাইলকে স্বল্প পাল্লার মিসাইল বলা হয়। এ হিসেবে তাইফুনকে তুরস্কের প্রথম এসআরবিএম বলছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেম এক বা একাধিক রাসায়নিক, জৈব ও পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে। একেকটি ব্যালিস্টিক মিসাইলের ওয়ারহেডগুলোকে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের কাজে নিযুক্ত করা যায়। ব্যালিস্টিক মিসাইলে ওয়ারহেড ছাড়াও থাকে ইঞ্জিন, ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও অ্যালেরন (মোড় ঘোরানোর যন্ত্র)। আগামী কয়েকদিনে তাইফুন ব্যালিস্টিক মিসাইলের আরও কয়েকটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করবে তুরস্ক। এরপর দ্রুততম সময়ে এ মিসাইল তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। তুর্কি সেনার সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে তাইফুন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ব্যালিস্টিক মিসাইলধারী দেশের তালিকায় তুরস্ক

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২২, বুধবার

 

 

আরও পড়ুন: ওড়িশা উপকূল থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল পৃথ্বী-২ এর সফল পরীক্ষা

 

আরও পড়ুন: ফের ব্যালিস্টিক  মিসাইল নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার

 

আরও পড়ুন: ২ হাজার কিলোমিটার আঘাত হানতে সক্ষম, অগ্নি-৪ ব্যালাস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন ভারতে

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রথমবারের মতো ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার সকালে রাইজ-আরতভিন বিমানবন্দর থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় তুর্কি কোম্পানি রকেটসানের উদ্ভাবিত তাইফুন মিসাইলটি। এরপর  তাইফুন ব্যালিস্টিক মিসাইল ৫৬১ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সিনোপ উপকূলে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এর মাধ্যমে তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যালিস্টিক মিসাইলধারী দেশের তালিকায় ঢুকে পড়ল। তাইফুনকে স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল (এসআরবিএম) ও ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (টিবিএম) অভিহিত করে বলা হয়েছে, এর আগে তুরস্কের অস্ত্রভাণ্ডারে কোনও ‘এসআরবিএম’ ছিল না। বিশ্বের অন্যতম অস্ত্র উদ্ভাবক সংস্থা রকেটসান সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি ও সম্পদ কাজে লাগিয়েই তাইফুন এসআরবিএম তৈরি করেছে।

এর আগে রকেটসান ইলদিরিম জে-৬০০টি ও বোরা ব্যালিস্টক মিসাইল উদ্ভাবন করে। যথাক্রমে ১৫০ ও ২৮০ কিলোমিটার পাল্লার মিসাইল দু’টি এরইমধ্যে তুর্কি স্থলবাহিনী কমান্ডের অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রকেটসানের নতুন উদ্ভাবন তাইফুন ট্যাকটিক্যাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (টিবিএম)। ৩০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইলকে ট্যাকটিক্যাল মিসাইল বলা হয়। আর ৩০০-১০০০ কিলোমিটার রেঞ্জের মিসাইলকে স্বল্প পাল্লার মিসাইল বলা হয়। এ হিসেবে তাইফুনকে তুরস্কের প্রথম এসআরবিএম বলছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেম এক বা একাধিক রাসায়নিক, জৈব ও পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে। একেকটি ব্যালিস্টিক মিসাইলের ওয়ারহেডগুলোকে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের কাজে নিযুক্ত করা যায়। ব্যালিস্টিক মিসাইলে ওয়ারহেড ছাড়াও থাকে ইঞ্জিন, ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও অ্যালেরন (মোড় ঘোরানোর যন্ত্র)। আগামী কয়েকদিনে তাইফুন ব্যালিস্টিক মিসাইলের আরও কয়েকটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করবে তুরস্ক। এরপর দ্রুততম সময়ে এ মিসাইল তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। তুর্কি সেনার সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে তাইফুন।