হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো ক্যানিং-জয়নগর সংযোগকারী পিয়ালি নদীর বাঁশের সাঁকো

- আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
- / 23
কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : একদা মধ্যযুগের দাপুটে নদী পিয়ালি।সুন্দরবনের উপর দিয়েই বয়ে চলতো।প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে পিয়ালি নদী বর্তমানে থাকলেও অতীতের সেই দাপট আর নেই।এহেন পিয়ালি নদীর দুই তীরে অসংখ্য গ্রাম।হাজার হাজার মানুষের বসবাস।নদীর দুই পারের সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এলাকার বাসিন্দারা পিয়ালি নদীতে খেয়া নৌকা পারাপার হয়ে যাতায়াত করতেন।তাও আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়হীন দড়ি বেয়ে নৌকা করে নদী পারাপার হতেন সাধারণ মানুষ।
পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালে গ্রামবাসীরা নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চাঁদা তুলে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাঁকো তৈরী করেছিল।সেই সাঁকো একাধিকবার গ্রামবাসীরা সংস্কার ও করেছেন।এছাড়াও তৎকালীন সময়ে বিধায়ক,সাংসদ সহ সরকারী বিভিন্ন দফতরের কংক্রীটের সেতুর তৈরীর জন্য আবেদন করেছিলেন।কংক্রীটের সেতু তৈরী করে দেওয়ার আশ্বাসও পেয়েছিলেনরগ্রামবাসীরা।তবে এক যুগের অধিক সময় অবসান হলে ও তা বাস্তবে রুপায়িত হয়নি।স্থানীয়রা কোন রকমে নড়বড়ে সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছিলেন ক্যানিং-জয়নগর সংযোগকারী পিয়ালি নদীর উপর সাঁকো দিয়ে।
শনিবার রাতে আচমকা সেই নড়বড়ে সাঁকো ভেঙে পড়ে।সমস্যায় পড়েন নদীর দুই তীরের গ্রামবাসী সহ ক্যানিং, হেড়োভাঙ্গা,বদুকুলা,মেরীগঞ্জ,তিলপি,ধোষা সহ বারুইপুর,জয়নগর ও কুলতলির মানুষজন।এছাড়াও সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও।সাঁকো ভেঙে পড়ায় তাদেরকে স্কুলে যেতে হবে ঘুরপথে।সেক্ষেত্রে প্রায় ৫/৮ কিমি পথ বেশি অতিক্রম করতে হবে।এছাড়াও চরম সমস্যা পড়তে হবে রোগী ও রোগীর পরিবার পরিজনদেরকে।এহেন সমস্যা থেকে এলাকার বাসিন্দারা মুক্তি পেতে চাইছেন।তাঁদের দাবী এমন অব্যবস্থার মধ্যে সরকার তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি কংক্রীটের সেতু তৈরী করে দিক।
সাঁকো ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে ক্যানিং পশ্চিম বিধাণনসভার বিধায়ক পরেশ রাম দাস জানিয়েছেন,‘ সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বদুকুলার পিয়ালি নদীর উপর কাঠের সেতুর জন্য টেন্ডার হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। দুর্ভাগ্য নড়বড়ে সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।সেতুটি যাতে কংক্রীটের তৈরা করা যায় তারজন্য বিভাগীয় মন্ত্রী কে জানানো হয়েছে।বদুকুলা ছাড়াও ডাবু সহ ক্যানিং এলাকায় মোট চারটি কংক্রীট সেতুর জন্য আবেদন করা হয়েছে।’