২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা! প্রশাসনকে  থোড়াই কেয়ার, টাকা-পয়সা দিয়ে চলছে পারাপার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 27

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ   ধূমধাম করে উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের  মানুষের কাছে এই সেতু অত্যন্ত গর্বের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী  সেখ হাসিনার হাত ধরে উদ্বোধন হয় এই দীর্ঘ সেতু।  উদ্বোধনের আগে থেকেই দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না। উদ্বোদনের পর থেকেই শুরু হয় যায় যান চলাচল। তবে এর মধ্যে অতি উৎসাহের চোটে ঘটে যায় বাইক দুর্ঘটনা। আর তার পর থেকে পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সরকারে তরফে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার চোখে ধুলো দিয়েই চলছে বাইক পারাপার। এমন চিত্রই ধরা পড়েছে।

 

আরও পড়ুন: ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রোগী, সরকারকে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা

গত ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্তও পদ্মা সেতুতে বন্ধ থাকবে মোটরবাইক চলাচল। এমনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু পরিবহণ দফতর। কিন্তু হাত দিয়ে বসে থাকতে চায় না বাইক চালকেরা। তারা এই সেতুতে পিক-আপ ভ্যানের মধ্যে প্রথমে তুলে দিচ্ছে তাদের বাইক গুলিকে তার পর নিজেরাও চেপে বসছে সেই ভ্যানে। এর যাতে তাদের কেউ না দেখতে পায় তার জন্য আছে ব্যবস্থা। পিক আপ ভ্যানকে পুরো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ‘একসঙ্গে রথ দেখা আর কলা বেচা’ দুই সারছেন বাইক চালকেরা। আর এই ভাবেই প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা করে চলছে বাইক চলাচল।

আরও পড়ুন: বিমানবন্দর থেকে গভীর রাতেও মিলবে শহরতলীর বাস, উদ্যোগী প্রশাসন

 

আরও পড়ুন: রামনবমী উপলক্ষে কলকাতাজুড়ে ৪২টি মিছিলের আয়োজন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নজরদারি প্রশাসনের

অন্যদিকে নদীতে ফেরি পারাপারও বন্ধ। ফলে বাইক চালকদের হাতে উপায়ও নেই। অগত্যা তারা এই পথকে বেছে নিয়েছেন।

 

মোটরসাইকেল চালকেরা যাতে কোনও ভাবে সেতুতে না প্রবেশ করে,  সেতুর দুই প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। এত কিছুর পরেও থোড়াই কেয়ার! প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি পদ্মা সেতু পারাপার করছে বাইক চালকেরা।

 

বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “সেতু বানিয়ে আমাদের কী লাভ হল?  সেতুতে বাইক চালাতে পারছি না, আবার নদী পারাপারের জন্য ফেরিও চলছে না। যেখানে টোল ১০০ টাকার হওয়ার কথা,  সেখানে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হচ্ছে পিকআপ ভ্যানে। এই গরমের মধ্যে পিকআপ ভ্যানে  যেতে হচ্ছে ত্রিপল ঢাকা দিয়ে। এই কষ্টের কথা কাকে গিয়ে বলব।

 

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু আম জনতার জন্য খুলে দেওয়ার দিনই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেতুতে বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়। আর তার পরেই পদ্মা সেতুর ওপর সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোটর সাইকেল চলাচল।

 

তাই সেতু পারপার করার জন্য নিনজা টেকনিক অবলম্বন করছে আম জনতা। সেতুর দুই পাড়ে এখন মোটরসাইকেল পারাপারে চলছে জমজমাট ব্যবসা।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা! প্রশাসনকে  থোড়াই কেয়ার, টাকা-পয়সা দিয়ে চলছে পারাপার

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ   ধূমধাম করে উদ্বোধন হয়েছে পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের  মানুষের কাছে এই সেতু অত্যন্ত গর্বের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী  সেখ হাসিনার হাত ধরে উদ্বোধন হয় এই দীর্ঘ সেতু।  উদ্বোধনের আগে থেকেই দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহের অন্ত ছিল না। উদ্বোদনের পর থেকেই শুরু হয় যায় যান চলাচল। তবে এর মধ্যে অতি উৎসাহের চোটে ঘটে যায় বাইক দুর্ঘটনা। আর তার পর থেকে পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সরকারে তরফে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার চোখে ধুলো দিয়েই চলছে বাইক পারাপার। এমন চিত্রই ধরা পড়েছে।

 

আরও পড়ুন: ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রোগী, সরকারকে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা

গত ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্তও পদ্মা সেতুতে বন্ধ থাকবে মোটরবাইক চলাচল। এমনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু পরিবহণ দফতর। কিন্তু হাত দিয়ে বসে থাকতে চায় না বাইক চালকেরা। তারা এই সেতুতে পিক-আপ ভ্যানের মধ্যে প্রথমে তুলে দিচ্ছে তাদের বাইক গুলিকে তার পর নিজেরাও চেপে বসছে সেই ভ্যানে। এর যাতে তাদের কেউ না দেখতে পায় তার জন্য আছে ব্যবস্থা। পিক আপ ভ্যানকে পুরো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ‘একসঙ্গে রথ দেখা আর কলা বেচা’ দুই সারছেন বাইক চালকেরা। আর এই ভাবেই প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা করে চলছে বাইক চলাচল।

আরও পড়ুন: বিমানবন্দর থেকে গভীর রাতেও মিলবে শহরতলীর বাস, উদ্যোগী প্রশাসন

 

আরও পড়ুন: রামনবমী উপলক্ষে কলকাতাজুড়ে ৪২টি মিছিলের আয়োজন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নজরদারি প্রশাসনের

অন্যদিকে নদীতে ফেরি পারাপারও বন্ধ। ফলে বাইক চালকদের হাতে উপায়ও নেই। অগত্যা তারা এই পথকে বেছে নিয়েছেন।

 

মোটরসাইকেল চালকেরা যাতে কোনও ভাবে সেতুতে না প্রবেশ করে,  সেতুর দুই প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। এত কিছুর পরেও থোড়াই কেয়ার! প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি পদ্মা সেতু পারাপার করছে বাইক চালকেরা।

 

বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “সেতু বানিয়ে আমাদের কী লাভ হল?  সেতুতে বাইক চালাতে পারছি না, আবার নদী পারাপারের জন্য ফেরিও চলছে না। যেখানে টোল ১০০ টাকার হওয়ার কথা,  সেখানে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হচ্ছে পিকআপ ভ্যানে। এই গরমের মধ্যে পিকআপ ভ্যানে  যেতে হচ্ছে ত্রিপল ঢাকা দিয়ে। এই কষ্টের কথা কাকে গিয়ে বলব।

 

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু আম জনতার জন্য খুলে দেওয়ার দিনই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেতুতে বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু হয়। আর তার পরেই পদ্মা সেতুর ওপর সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোটর সাইকেল চলাচল।

 

তাই সেতু পারপার করার জন্য নিনজা টেকনিক অবলম্বন করছে আম জনতা। সেতুর দুই পাড়ে এখন মোটরসাইকেল পারাপারে চলছে জমজমাট ব্যবসা।