০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানে জামায়াতে ইসলামির সম্পত্তি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 6

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলা প্রশাসন নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামি (জেআই) সংগঠনের নয়টি সম্পত্তিতে প্রবেশ ও তার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। শোপিয়ানের জেলাশাসক বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭-এর ধারা ৭-এর অধীনে জামায়াতে ইসলামির সম্পত্তিতে প্রবেশ করা এবং তার ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

 

জামায়াতে ইসলামিকে আগেই জম্মু-কাশ্মীরে একটি বেআইনি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ‘তদন্তে জানা গেছে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামির মালিকানাধীন ন’টি সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলি নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামির সদস্যরা দেখভাল করেন। তদন্তকারী অফিসার ব্যতীত অন্যান্য সংস্থা সেখানে যেতে পারবে না, তবে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধ কার্যকর করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে।’ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,‘নিষিদ্ধ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নাদিগাম শোপিয়ানের আমির আবদুল হামিদ, শাহজাদা আওরঙ্গজেব, নওনগরী ত্রালের আমীর-ই-জিলা মুহাম্মদ সুলতানের নামে জমি, স্কুল ভবন, ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট, শোপিয়ানের মাধ্যমে ইকরা পাবলিক স্কুলের নামে জমির উপর চারতলা বিল্ডিং।

 

 

চার বছর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কাশ্মীরে ‘সশস্ত্র
বিদ্রোহীদের মদদ’ দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার।

 

কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়ি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারান। পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠী জৈশ-ই-মুহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। ঘটনার পর পরই কাশ্মীরে শুরু হওয়া গ্রেফতার অভিযানে জামায়াতে ইসলামির শীর্ষনেতা আবদুল হামিদ ফায়াজ সহ তাদের তিন শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামির নামে যেসব সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্যে ঢোকা এবং ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানে জামায়াতে ইসলামির সম্পত্তি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলা প্রশাসন নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামি (জেআই) সংগঠনের নয়টি সম্পত্তিতে প্রবেশ ও তার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। শোপিয়ানের জেলাশাসক বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭-এর ধারা ৭-এর অধীনে জামায়াতে ইসলামির সম্পত্তিতে প্রবেশ করা এবং তার ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

 

জামায়াতে ইসলামিকে আগেই জম্মু-কাশ্মীরে একটি বেআইনি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ‘তদন্তে জানা গেছে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামির মালিকানাধীন ন’টি সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলি নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামির সদস্যরা দেখভাল করেন। তদন্তকারী অফিসার ব্যতীত অন্যান্য সংস্থা সেখানে যেতে পারবে না, তবে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধ কার্যকর করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে।’ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,‘নিষিদ্ধ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নাদিগাম শোপিয়ানের আমির আবদুল হামিদ, শাহজাদা আওরঙ্গজেব, নওনগরী ত্রালের আমীর-ই-জিলা মুহাম্মদ সুলতানের নামে জমি, স্কুল ভবন, ফালাহ-ই-আম ট্রাস্ট, শোপিয়ানের মাধ্যমে ইকরা পাবলিক স্কুলের নামে জমির উপর চারতলা বিল্ডিং।

 

 

চার বছর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কাশ্মীরে ‘সশস্ত্র
বিদ্রোহীদের মদদ’ দেওয়ার অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার।

 

কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়ি বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারান। পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠী জৈশ-ই-মুহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। ঘটনার পর পরই কাশ্মীরে শুরু হওয়া গ্রেফতার অভিযানে জামায়াতে ইসলামির শীর্ষনেতা আবদুল হামিদ ফায়াজ সহ তাদের তিন শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামির নামে যেসব সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্যে ঢোকা এবং ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।