০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলফগ্রিন থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি মডেল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 20

পুবের কলম প্রতিবেদক : কলকাতা থেকে গ্রেফতার এক বাংলাদেশি মহিলা। ধৃতের নাম শান্তা পাল (২৮)। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের দুই নামি সংস্থার মডেল ছিলেন তিনি। একাধিক বিউটি প্রতিযোগিতায় তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। গলফগ্রিন থানার বিক্রমগড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ দিন বিকেল ৪টা ৭ মিনিট নাগাদ বিক্রমগড়ের ৬/এ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শান্তাকে গ্রেফতার করে পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ। জানা গেছে, ওই মহিলার বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। দীর্ঘ তল্লাশির পর তার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক সন্দেহজনক নথিপত্র। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের একাধিক পাসপোর্ট (তারই নামে), বাংলাদেশের রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মী পরিচয়পত্র, ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অ্যাডমিট কার্ড এবং ভারতের বিভিন্ন ঠিকানাভিত্তিক আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ড।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে “সুন্দরবনের বেলা”

পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের একটি বিমান সংস্থার ‘ত্রুু’ ছিল শান্তা। সেই সূত্রে কলকাতা-সহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াতও করত। কয়েক মাস আগে শান্তা বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসে। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। পুলিশের ধারণা, ওই বিমান সংস্থায় চাকরি ছিল না যুবতীর।বাংলাদেশ থেকে সে বিদেশেও যেতে পারছিল না। তাই নিজেকে ভারতীয় পরিচয় দিয়ে।

আরও পড়ুন: আবুল মনসুর আহমদকে নিয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ আলোচনা

কলকাতা থেকে পাসপোর্ট তৈরির ছক কষে। পার্ক স্ট্রিটের ওই ঠিকানায় দালাল চক্রের হাত ধরে রেশন কার্ড তৈরি করে। এরপরই সে থাকার ব্যবস্থা করে দক্ষিণ কলকাতার গলফগ্রিন থানা এলাকার বিক্রমগড়ে। সেখানে রেশন কার্ডের কপি জমা দেয়। এবার দালালচক্রের মাধমে বিক্রমগড়ের সেই ঠিকানায় ভুয়া আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র জোগাড় করে।

আরও পড়ুন: বিশ্বক্রিকেটে নতুন দল কিনলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা

তারই ভিত্তিতে সে কিছুদিন আগেই পাসপোর্টের আবেদন করে। পুলিশ নথি যাচাই করতে শুরু করে। শান্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে জন্ম শংসাপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু ওই নথি দেখাতে পারেনি সে। তার পরিবারের লোকেদের সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চেয়ে পুলিশ সন্তোষজনক উত্তর পায়নি। সন্দেহের বশে পুলিশ পার্ক স্টিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।

ঘটনার তদন্তকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশ খতিয়ে দেখছে কোন নথি দেখিয়ে বা কোন নথির ভিত্তিতে আধার কার্ড পেয়েছিলেন শান্তা। তার জন্য ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লালবাজার। শান্তার ফ্ল্যাট থেকে মেলা ভোট কার্ড বৈধ কি না এবং কোন নথির ভিত্তিতে ভোটার কার্ড পেয়েছেন তিনি, তা জানতেও নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করেছে লালবাজার। রেশন কার্ডের নথির বিষয়ে জানতে খাদ্য দফতরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গলফগ্রিন থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি মডেল

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : কলকাতা থেকে গ্রেফতার এক বাংলাদেশি মহিলা। ধৃতের নাম শান্তা পাল (২৮)। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের দুই নামি সংস্থার মডেল ছিলেন তিনি। একাধিক বিউটি প্রতিযোগিতায় তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। গলফগ্রিন থানার বিক্রমগড় এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ দিন বিকেল ৪টা ৭ মিনিট নাগাদ বিক্রমগড়ের ৬/এ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শান্তাকে গ্রেফতার করে পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ। জানা গেছে, ওই মহিলার বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। দীর্ঘ তল্লাশির পর তার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক সন্দেহজনক নথিপত্র। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের একাধিক পাসপোর্ট (তারই নামে), বাংলাদেশের রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মী পরিচয়পত্র, ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অ্যাডমিট কার্ড এবং ভারতের বিভিন্ন ঠিকানাভিত্তিক আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ড।

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে “সুন্দরবনের বেলা”

পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের একটি বিমান সংস্থার ‘ত্রুু’ ছিল শান্তা। সেই সূত্রে কলকাতা-সহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াতও করত। কয়েক মাস আগে শান্তা বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসে। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। পুলিশের ধারণা, ওই বিমান সংস্থায় চাকরি ছিল না যুবতীর।বাংলাদেশ থেকে সে বিদেশেও যেতে পারছিল না। তাই নিজেকে ভারতীয় পরিচয় দিয়ে।

আরও পড়ুন: আবুল মনসুর আহমদকে নিয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ আলোচনা

কলকাতা থেকে পাসপোর্ট তৈরির ছক কষে। পার্ক স্ট্রিটের ওই ঠিকানায় দালাল চক্রের হাত ধরে রেশন কার্ড তৈরি করে। এরপরই সে থাকার ব্যবস্থা করে দক্ষিণ কলকাতার গলফগ্রিন থানা এলাকার বিক্রমগড়ে। সেখানে রেশন কার্ডের কপি জমা দেয়। এবার দালালচক্রের মাধমে বিক্রমগড়ের সেই ঠিকানায় ভুয়া আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র জোগাড় করে।

আরও পড়ুন: বিশ্বক্রিকেটে নতুন দল কিনলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা

তারই ভিত্তিতে সে কিছুদিন আগেই পাসপোর্টের আবেদন করে। পুলিশ নথি যাচাই করতে শুরু করে। শান্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে জন্ম শংসাপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু ওই নথি দেখাতে পারেনি সে। তার পরিবারের লোকেদের সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চেয়ে পুলিশ সন্তোষজনক উত্তর পায়নি। সন্দেহের বশে পুলিশ পার্ক স্টিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।

ঘটনার তদন্তকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশ খতিয়ে দেখছে কোন নথি দেখিয়ে বা কোন নথির ভিত্তিতে আধার কার্ড পেয়েছিলেন শান্তা। তার জন্য ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লালবাজার। শান্তার ফ্ল্যাট থেকে মেলা ভোট কার্ড বৈধ কি না এবং কোন নথির ভিত্তিতে ভোটার কার্ড পেয়েছেন তিনি, তা জানতেও নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করেছে লালবাজার। রেশন কার্ডের নথির বিষয়ে জানতে খাদ্য দফতরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।