০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিবিসির দিল্লি-মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর হানা, কর্মীদের ফোন বাজেয়াপ্ত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 60

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিবিসির দিল্লির এবং মুম্বইয়ের অফিসে আচমকাই আয়কর হানা। গুজরাত হিংসা নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্র শোরগোল ফেলেছিল সমগ্র দেশে। বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সংস্থার দুই অফিসে হানা দিল আয়কর দফতর।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই সময় অফিসে উপস্থিত সকল কর্মীদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর আধিকারিকরা। তার পর চালায় তল্লাশি অভিযান। তবে আচমকা বিবিসির অফিসে আয়কর আধিকারিকরা তল্লাশি কেন চালানো হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ভিড়ে মুম্বাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত অন্তত ৫

তবে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বিকেলের শিফটে কর্মরত বিবিসি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে। এবং সকালের শিফটে কর্মরত কর্মীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বিবিসির তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে । দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির জমানায় গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তীতে ২০০২ গুজরাত দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার এই তথ্যচিত্রে।

আরও পড়ুন: দিল্লি ৬৬ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠাচ্ছে

এই দাঙ্গায় কমপক্ষে ২০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার অধিকাংশই ছিলেন মুসলিম। বিবিসির তথ্যচিত্রে দাঙ্গা দমনের চেষ্টা না করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে চাইলে তিনি এই দাঙ্গা দমন করতে পারতেন। এই তথ্য চিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সমস্ত সামাজিক মাধ্যম থেকে তথ্যচিত্রটি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: দিল্লির নিজামুদ্দিন স্টেশনের কাছের মাদ্রাসী ক্যাম্পে উচ্ছেদ শুরু, বঞ্চনার অভিযোগে সরব বাসিন্দারা

টুইটার, ইউটিউবকেও ওই সংক্রান্ত সমস্ত টুইট এবং ভিডিয়ো মুছে ফেলতে বলা হয়। শীর্ষ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে বলা হয়েছিল যে, বিবিসি সম্প্রচার এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। যা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

তবে এই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী হয়। পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে তথ্যচিত্রটি দেখান। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বহু পড়ুয়া। এই অবস্থায় মঙ্গলবার দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিবিসির দিল্লি-মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর হানা, কর্মীদের ফোন বাজেয়াপ্ত

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিবিসির দিল্লির এবং মুম্বইয়ের অফিসে আচমকাই আয়কর হানা। গুজরাত হিংসা নিয়ে বিবিসি-র তথ্যচিত্র শোরগোল ফেলেছিল সমগ্র দেশে। বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সংস্থার দুই অফিসে হানা দিল আয়কর দফতর।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই সময় অফিসে উপস্থিত সকল কর্মীদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর আধিকারিকরা। তার পর চালায় তল্লাশি অভিযান। তবে আচমকা বিবিসির অফিসে আয়কর আধিকারিকরা তল্লাশি কেন চালানো হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ভিড়ে মুম্বাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত অন্তত ৫

তবে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বিকেলের শিফটে কর্মরত বিবিসি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে। এবং সকালের শিফটে কর্মরত কর্মীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বিবিসির তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে । দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির জমানায় গোধরাকাণ্ড এবং তার পরবর্তীতে ২০০২ গুজরাত দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার এই তথ্যচিত্রে।

আরও পড়ুন: দিল্লি ৬৬ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠাচ্ছে

এই দাঙ্গায় কমপক্ষে ২০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার অধিকাংশই ছিলেন মুসলিম। বিবিসির তথ্যচিত্রে দাঙ্গা দমনের চেষ্টা না করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে চাইলে তিনি এই দাঙ্গা দমন করতে পারতেন। এই তথ্য চিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সমস্ত সামাজিক মাধ্যম থেকে তথ্যচিত্রটি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: দিল্লির নিজামুদ্দিন স্টেশনের কাছের মাদ্রাসী ক্যাম্পে উচ্ছেদ শুরু, বঞ্চনার অভিযোগে সরব বাসিন্দারা

টুইটার, ইউটিউবকেও ওই সংক্রান্ত সমস্ত টুইট এবং ভিডিয়ো মুছে ফেলতে বলা হয়। শীর্ষ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে বলা হয়েছিল যে, বিবিসি সম্প্রচার এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। যা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

তবে এই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা দেশ। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী হয়। পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে তথ্যচিত্রটি দেখান। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বহু পড়ুয়া। এই অবস্থায় মঙ্গলবার দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের অভিযান স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে।