০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিটিয়ে হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, দণ্ডসংহিতা নিয়ে সংসদে শাহ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার
  • / 167

নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর: পিটিয়ে হত্যার কোনও ঘটনা ঘটলে সেই মামলায় এবার সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকছে মৃত্যুদণ্ড। বুধবার লোকসভায় দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিল নিয়ে আলোচনার সময় এমনটা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপ করতে এই তিনটি বিল আনা হয়েছে। দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে পুনরোজ্জ্বীবিত করতে এই বিলগুলি আনা হয়েছে। যার লক্ষ্য ‘শাস্তি’র পরিবর্তে ‘ন্যায়বিচার’।

 

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

উল্লেখ্য, দণ্ডবিধির সংশোধিত বিলগুলি এদিন পেশ করেন শাহ। শাহ জানান, এই সংশোধিত আইনে পুলিশি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। কেউ গ্রেফতার হলে তার বিস্তারিত তথ্য রাখতে হবে থানাগুলিতে। এই কাজে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে রাখা হবে। ১৮ বছরের নীচে কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করা হলে পকসো আইনে মামলা হবে। দেশের কথা ভেবে নতুন দণ্ডসংহিতা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। শাহর দাবি, ইংরেজ জমানায় ‘রাজদ্রোহ’ আইন শুধু নাম বদলে স্বাধীন ভারতে ‘দেশদ্রোহ’ আইন হিসাবে কার্যকর হয়েছিল। মোদি সরকার সেই দাসত্বের চিহ্ন মুছে দিতে চায়।

আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ রুখতে অমিত শাহকে চিঠি মমতার

 

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

উল্লেখ্য, প্রায় বিরোধীহীন লোকসভায় নতুন দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিল পাশ করাতে সক্রিয় হয়েছে মোদি সরকার। বুধবার সেই প্রক্রিয়ারই সূচনা করেছেন শাহ। এর আগে গত ১১ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনে শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন। পাশাপাশি, শাহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই আইন বদলের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো ২২ অগস্টের সেই চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘আইন বদলের এই উদ্যোগ ভারতীয় জনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রেখেই এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে হবে।’

 

উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে এই তিন বিল পেশ হওয়ার পরেই এগুলিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ কপিল সিব্বল। তিনি বলেছিলেন, প্রস্তাবিত তিনটি আইনই বিচারবিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। মোদি সরকার যে দেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে চায় না, তা স্পষ্ট। সে সময় কংগ্রেসও অভিযোগ করেছিল, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ তুলে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু তা ফিরিয়ে আনছেন না, রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞা এমন ভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে তার যথেচ্ছ অপব্যবহার করা যায়।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পিটিয়ে হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, দণ্ডসংহিতা নিয়ে সংসদে শাহ

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার

নয়াদিল্লি, ২০ ডিসেম্বর: পিটিয়ে হত্যার কোনও ঘটনা ঘটলে সেই মামলায় এবার সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকছে মৃত্যুদণ্ড। বুধবার লোকসভায় দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিল নিয়ে আলোচনার সময় এমনটা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপ করতে এই তিনটি বিল আনা হয়েছে। দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে পুনরোজ্জ্বীবিত করতে এই বিলগুলি আনা হয়েছে। যার লক্ষ্য ‘শাস্তি’র পরিবর্তে ‘ন্যায়বিচার’।

 

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

উল্লেখ্য, দণ্ডবিধির সংশোধিত বিলগুলি এদিন পেশ করেন শাহ। শাহ জানান, এই সংশোধিত আইনে পুলিশি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। কেউ গ্রেফতার হলে তার বিস্তারিত তথ্য রাখতে হবে থানাগুলিতে। এই কাজে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে রাখা হবে। ১৮ বছরের নীচে কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করা হলে পকসো আইনে মামলা হবে। দেশের কথা ভেবে নতুন দণ্ডসংহিতা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। শাহর দাবি, ইংরেজ জমানায় ‘রাজদ্রোহ’ আইন শুধু নাম বদলে স্বাধীন ভারতে ‘দেশদ্রোহ’ আইন হিসাবে কার্যকর হয়েছিল। মোদি সরকার সেই দাসত্বের চিহ্ন মুছে দিতে চায়।

আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ রুখতে অমিত শাহকে চিঠি মমতার

 

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

উল্লেখ্য, প্রায় বিরোধীহীন লোকসভায় নতুন দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিল পাশ করাতে সক্রিয় হয়েছে মোদি সরকার। বুধবার সেই প্রক্রিয়ারই সূচনা করেছেন শাহ। এর আগে গত ১১ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনে শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন। পাশাপাশি, শাহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই আইন বদলের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো ২২ অগস্টের সেই চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘আইন বদলের এই উদ্যোগ ভারতীয় জনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রেখেই এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে হবে।’

 

উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে এই তিন বিল পেশ হওয়ার পরেই এগুলিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ কপিল সিব্বল। তিনি বলেছিলেন, প্রস্তাবিত তিনটি আইনই বিচারবিভাগের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। মোদি সরকার যে দেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে চায় না, তা স্পষ্ট। সে সময় কংগ্রেসও অভিযোগ করেছিল, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ তুলে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুধু তা ফিরিয়ে আনছেন না, রাষ্ট্রদ্রোহের সংজ্ঞা এমন ভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে তার যথেচ্ছ অপব্যবহার করা যায়।