২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুজোর আগেই অগ্নিমূল্য ফল থেকে সবজির বাজার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 406

পুবের কলম প্রতিবেদক: আজ রবিবার হিন্দুগৃহস্থের ঘরে ঘরে চলবে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা।তার জেরে অগ্নিমূল্য ফল-সবজির। এই অবস্থায় পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেই নাজেহাল অবস্থা গৃহস্থদের।

দুর্গাপুজোর সময় ফল-সবজির দামে যে আগুন লেগেছিল, লক্ষ্মীপুজোর জেরে ফল-সবজির দামের উত্তাপও অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আর তাতেই কার্যত মাথায় হাত ক্রেতাদের।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

দু’বছর করোনা আবহে সেভাবে মণ্ডপসজ্জা বা উৎসাহ চোখে পড়েনি এবার দুর্গাপুজোর মতোই সর্বত্রই ছন্দে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লক্ষ্মীপুজো। জেলাজুড়ে যেমন প্রস্তুতি তুঙ্গে। শহরের বেশ কিছু এলাকায় লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে চলছে কেনাবেচা। একদিকে যেমন লক্ষ্মীপ্রতিমার সারি, অন্যদিকে মাটির মনোহরি দ্রব্য পুজোর সরঞ্জাম-সহ বিভিন্ন দোকানে ইতিমধ্যেই বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

লক্ষ্মীপুজোর কারণে ফল-সবজি-মাছের দাম একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। সাধারণত অন্যান্য সময়ে আপেল পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু লক্ষ্মী পুজোর কারণে আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কিলোতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে। বেদানা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। শশার দামও বেড়েছে অনেকটাই। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে শশা। আবার প্রতিকিলো নাসপাতির দামও হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাঁঠালি কলার দাম প্রতি ডজনে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পুজোর অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান নারকেলের দামও বেড়ে হয়েছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা।

আরও পড়ুন: দুর্ভিক্ষের গাজায় পার্লে-জি বিস্কুট বিকোচ্ছে ৫০০ গুণ বেশি দামে

ফলের বাজারের আগুনের আঁচ পড়েছে সবজির বাজারেও। পুজোতে খিচুরির জন্য প্রয়োজনীয় ফুলকপি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ভালো বেগুন কোথাও ৮০ টাকা কেজি দরে কোথাও আবার তারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি টম্যাটোর দামও ৮০ টাকা বা তারও বেশি। লঙ্কার দাম আবার প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকা। রান্নার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আদা-রসুনের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে।

আদা ১৫০ টাকা কেজি আবার রসুনের দাম ১৮০ টাকা। রুই মাছ, কাতলা মাছ এবং ভেটকি মাছের দামও ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। চালের দামেও দেখা দিয়েছে ফারাক। বিশেষ করে গোবিন্দভোগ চালের দাম ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।

কিন্তু দাম যতই হোক ধনসম্পদের দেবীর আরাধনায় কোনও রকমের খামতি রাখা যাবে না। তাই ফল-সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলেও তার মধ্যেই বাজার থেকে পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন গৃহস্থরা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লক্ষ্মীপুজোর আগেই অগ্নিমূল্য ফল থেকে সবজির বাজার

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: আজ রবিবার হিন্দুগৃহস্থের ঘরে ঘরে চলবে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা।তার জেরে অগ্নিমূল্য ফল-সবজির। এই অবস্থায় পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেই নাজেহাল অবস্থা গৃহস্থদের।

দুর্গাপুজোর সময় ফল-সবজির দামে যে আগুন লেগেছিল, লক্ষ্মীপুজোর জেরে ফল-সবজির দামের উত্তাপও অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আর তাতেই কার্যত মাথায় হাত ক্রেতাদের।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

দু’বছর করোনা আবহে সেভাবে মণ্ডপসজ্জা বা উৎসাহ চোখে পড়েনি এবার দুর্গাপুজোর মতোই সর্বত্রই ছন্দে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লক্ষ্মীপুজো। জেলাজুড়ে যেমন প্রস্তুতি তুঙ্গে। শহরের বেশ কিছু এলাকায় লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে চলছে কেনাবেচা। একদিকে যেমন লক্ষ্মীপ্রতিমার সারি, অন্যদিকে মাটির মনোহরি দ্রব্য পুজোর সরঞ্জাম-সহ বিভিন্ন দোকানে ইতিমধ্যেই বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

লক্ষ্মীপুজোর কারণে ফল-সবজি-মাছের দাম একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। সাধারণত অন্যান্য সময়ে আপেল পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু লক্ষ্মী পুজোর কারণে আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কিলোতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে। বেদানা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। শশার দামও বেড়েছে অনেকটাই। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে শশা। আবার প্রতিকিলো নাসপাতির দামও হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাঁঠালি কলার দাম প্রতি ডজনে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পুজোর অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান নারকেলের দামও বেড়ে হয়েছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা।

আরও পড়ুন: দুর্ভিক্ষের গাজায় পার্লে-জি বিস্কুট বিকোচ্ছে ৫০০ গুণ বেশি দামে

ফলের বাজারের আগুনের আঁচ পড়েছে সবজির বাজারেও। পুজোতে খিচুরির জন্য প্রয়োজনীয় ফুলকপি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ভালো বেগুন কোথাও ৮০ টাকা কেজি দরে কোথাও আবার তারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি টম্যাটোর দামও ৮০ টাকা বা তারও বেশি। লঙ্কার দাম আবার প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকা। রান্নার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আদা-রসুনের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে।

আদা ১৫০ টাকা কেজি আবার রসুনের দাম ১৮০ টাকা। রুই মাছ, কাতলা মাছ এবং ভেটকি মাছের দামও ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। চালের দামেও দেখা দিয়েছে ফারাক। বিশেষ করে গোবিন্দভোগ চালের দাম ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।

কিন্তু দাম যতই হোক ধনসম্পদের দেবীর আরাধনায় কোনও রকমের খামতি রাখা যাবে না। তাই ফল-সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলেও তার মধ্যেই বাজার থেকে পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন গৃহস্থরা।