২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুজোর আগেই অর্থলাভ, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ টাকা পাঠানো শুরু রাজ্যের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 35

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে সাধারণ মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূচনা হয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’। এবার সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই ব্যাঙ্কে পৌঁছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নির্ধারিত অর্থ। রাজ্যের এই উদ্যোগে খুশি আমজনতা। ইতিমধ্যেই টাকা পাঠানো শুরু হয়ে গেছে।
সম্প্রতি, এই প্রকল্পের দীর্ঘক্ষণ রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দেন বাড়ির মহিলারা। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যারা আবেদন করেছিলেন, তাদের জন্য প্রথম পর্যায়ে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। নিঃসন্দেহে ভোটের আগে সুখবর। সোমবার নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সেই বরাদ্দ পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প ঘোষণার পর থেকে আকর্ষণের শীর্ষে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যে ২৩ দিনেই জমা পড়ে ১ কোটির বেশি আবেদন পত্র। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের একটি অংশের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে যে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থ যাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এই জেলার পাচ্ছে প্রায় ২৯ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। তার পরের তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে বরাদ্দের পরিমাণ ২৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার, মুর্শিদাবাদে ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।

গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয় দুয়ারে সরকার প্রকল্প। শেষ হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। সব মিলিয়ে শিবিরে এসেছিলেন ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮টি।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে ছিল কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের মতোই শুরু হয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজ। এই প্রকল্পে এসসি, এসটি এবং ওবিসি’রা পাবেন এক হাজার টাকা করে এবং সাধারণ মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাবে পাঁচশো টাকা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুজোর আগেই অর্থলাভ, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ টাকা পাঠানো শুরু রাজ্যের

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে সাধারণ মানুষের জন্য একের পর এক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূচনা হয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের’। এবার সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। পুজোর আগেই ব্যাঙ্কে পৌঁছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নির্ধারিত অর্থ। রাজ্যের এই উদ্যোগে খুশি আমজনতা। ইতিমধ্যেই টাকা পাঠানো শুরু হয়ে গেছে।
সম্প্রতি, এই প্রকল্পের দীর্ঘক্ষণ রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম জমা দেন বাড়ির মহিলারা। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যারা আবেদন করেছিলেন, তাদের জন্য প্রথম পর্যায়ে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। নিঃসন্দেহে ভোটের আগে সুখবর। সোমবার নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সেই বরাদ্দ পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প ঘোষণার পর থেকে আকর্ষণের শীর্ষে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যে ২৩ দিনেই জমা পড়ে ১ কোটির বেশি আবেদন পত্র। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের একটি অংশের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে যে ২ কোটি ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থ যাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এই জেলার পাচ্ছে প্রায় ২৯ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। তার পরের তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে বরাদ্দের পরিমাণ ২৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার, মুর্শিদাবাদে ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।

গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয় দুয়ারে সরকার প্রকল্প। শেষ হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। সব মিলিয়ে শিবিরে এসেছিলেন ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭৯১ জন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন জমা পড়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৮টি।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে ছিল কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের মতোই শুরু হয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজ। এই প্রকল্পে এসসি, এসটি এবং ওবিসি’রা পাবেন এক হাজার টাকা করে এবং সাধারণ মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাবে পাঁচশো টাকা।