০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 137

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো যেমন উপাদেয়, তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আসুন জেনে নিই বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আম: মিষ্টি এ ফলের ১০০ গ্রামে ৪০০ ইউনিট ভিটামিন এ, ১২ গ্রাম শর্করা, ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। পাকা আমের ৬০ শতাংশের বেশি ক্যারোটিন, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করে।

কাঁচা আমে থাকা ফাইবার পিকটিন কোলেস্টেরলসহ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। আমে থাকে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমে থাকা সোডিয়াম দেহের পানির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমের মেলিক ও টারটারিক অ্যাসিড দেহের অ্যালকালিন লেভেল ঠিক রাখে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক গরম পড়তে পারে খবর আবহাওয়া দফতরের

কাঁঠাল : পটাসিয়ামের ভালো উৎস কাঁঠাল, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।এতে বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যালস আছে, যেগুলোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, ত্বক ভালো রাখে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমপ্রক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আরও পড়ুন: গরমে নাজেহাল, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে কড়া বার্তা বিদ্যুৎ মন্ত্রীর

লিচু : অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস ফ্ল্যাভোনয়েডসের ভালো উৎস লিচু। এতে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন ও ফলিক এসিড পাওয়া যায়, যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আরও পড়ুন: গরমের ছুটি শেষ, আগামী সপ্তাহে খুলে যাচ্ছে স্কুল

তরমুজ: প্রায় ৯০% পানি থাকায় ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। ১ কাপ তরমুজে ১১ গ্রাম  শর্করা থাকে, যার ৯ গ্রামই চিনি। তরমুজে ভিটামিন এ, বি ও সি অনেক বেশি থাকে। ভিটামিন সি ঋতুজনিত সর্দি, টনসিল, গরম-ঠান্ডা–জ্বর ও নাক দিয়ে পানি পড়া কমায়। তরমুজের লাইকোপিন ও সিট্রুলিন হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

জাম: প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে শর্করা খুব কম। তাই ডায়াবেটিস রোগী নিশ্চিন্তে জাম খেতে পারেন। জামের বিচি রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জাম দেহের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

তাল: ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের আধার। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগে বেশ উপকারী। তাল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন তালের ক্বাথ, জুস, বড়া, কেক, পিঠা ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

বেল: গরমে ঠান্ডা বেলের শরবতে প্রাণ জুড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয় ও ডায়রিয়ায় কাঁচা বেল ভালো ফল দেয়। অধিক আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের জন্য উপকারী। বেল ত্বকের ব্রণ ও সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। জামরুল, সফেদা, গাব, আনারস ইত্যাদি গ্রীষ্মকালীন ফলও নানা পুষ্টিগুণে ভরা।

সতর্কতা

১) কাঁঠাল খুব সহজপাচ্য নয়। বেশি খেলে গ্যাস বা হজমজনিত সমস্যা হতে পারে।

২) গ্যাসট্রিক ও পেটের সমস্যায় লিচু কম খাওয়াই ভালো।

৩) কিডনি রোগীরা কাঁঠালের বিচি, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল যেমন তরমুজ এড়িয়ে চলবেন।

৪) ডায়াবেটিস রোগীরা যদি মিষ্টি ফল বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন, তবে সেদিন অন্যান্য শর্করা ৫০ ভাগ কমিয়ে ফেলবেন।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মকালীন ফলগুলো যেমন উপাদেয়, তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আসুন জেনে নিই বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আম: মিষ্টি এ ফলের ১০০ গ্রামে ৪০০ ইউনিট ভিটামিন এ, ১২ গ্রাম শর্করা, ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। পাকা আমের ৬০ শতাংশের বেশি ক্যারোটিন, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করে।

কাঁচা আমে থাকা ফাইবার পিকটিন কোলেস্টেরলসহ হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। আমে থাকে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমে থাকা সোডিয়াম দেহের পানির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমের মেলিক ও টারটারিক অ্যাসিড দেহের অ্যালকালিন লেভেল ঠিক রাখে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক গরম পড়তে পারে খবর আবহাওয়া দফতরের

কাঁঠাল : পটাসিয়ামের ভালো উৎস কাঁঠাল, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।এতে বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যালস আছে, যেগুলোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে, ত্বক ভালো রাখে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমপ্রক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আরও পড়ুন: গরমে নাজেহাল, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে কড়া বার্তা বিদ্যুৎ মন্ত্রীর

লিচু : অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস ফ্ল্যাভোনয়েডসের ভালো উৎস লিচু। এতে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন ও ফলিক এসিড পাওয়া যায়, যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

আরও পড়ুন: গরমের ছুটি শেষ, আগামী সপ্তাহে খুলে যাচ্ছে স্কুল

তরমুজ: প্রায় ৯০% পানি থাকায় ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। ১ কাপ তরমুজে ১১ গ্রাম  শর্করা থাকে, যার ৯ গ্রামই চিনি। তরমুজে ভিটামিন এ, বি ও সি অনেক বেশি থাকে। ভিটামিন সি ঋতুজনিত সর্দি, টনসিল, গরম-ঠান্ডা–জ্বর ও নাক দিয়ে পানি পড়া কমায়। তরমুজের লাইকোপিন ও সিট্রুলিন হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

জাম: প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে শর্করা খুব কম। তাই ডায়াবেটিস রোগী নিশ্চিন্তে জাম খেতে পারেন। জামের বিচি রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জাম দেহের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

তাল: ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের আধার। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগে বেশ উপকারী। তাল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন তালের ক্বাথ, জুস, বড়া, কেক, পিঠা ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা

বেল: গরমে ঠান্ডা বেলের শরবতে প্রাণ জুড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি আমাশয় ও ডায়রিয়ায় কাঁচা বেল ভালো ফল দেয়। অধিক আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের জন্য উপকারী। বেল ত্বকের ব্রণ ও সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। জামরুল, সফেদা, গাব, আনারস ইত্যাদি গ্রীষ্মকালীন ফলও নানা পুষ্টিগুণে ভরা।

সতর্কতা

১) কাঁঠাল খুব সহজপাচ্য নয়। বেশি খেলে গ্যাস বা হজমজনিত সমস্যা হতে পারে।

২) গ্যাসট্রিক ও পেটের সমস্যায় লিচু কম খাওয়াই ভালো।

৩) কিডনি রোগীরা কাঁঠালের বিচি, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল যেমন তরমুজ এড়িয়ে চলবেন।

৪) ডায়াবেটিস রোগীরা যদি মিষ্টি ফল বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন, তবে সেদিন অন্যান্য শর্করা ৫০ ভাগ কমিয়ে ফেলবেন।

গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা