ফের প্রকৃতির রোষে উত্তরাখণ্ড, কেদারনাথে আটকে বাঙালি পর্যটকরা

- আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২১, মঙ্গলবার
- / 19
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : পুজোয় উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি। ধসে আটকে পড়েছেন ১৪ জন বাঙালি পর্যটক।গভীর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন পর্যটকদের আত্মীয় পরিজনরা । তারা চাইছেন সরকার থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হোক যাতে ঘরের লোক ঘরে ফেরেন। গত সপ্তমীর দিনে হাওড়ার কোনা থেকে ১৪ জনের একটি দল উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোনার পাশাপাশি হাওড়ার আমতা ও কলকাতার বাসিন্দাও ছিলেন। ওই পর্যটকদের নৈনীতাল,আলমোরা রানীক্ষেত হয়ে কাঠগুদাম থেকে ফেরার ট্রেন ধরার কথা ছিল।
কেদারনাথে ধসের জেরে আটকে পড়েছেন বাঙালি পর্যটকেরা। চুঁচুড়ার ২৯ নং ওয়ার্ডের বুড়োশিবতলা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায় ও চুমকি রায়ের পরিবার সেখানে গিয়ে আটকে পড়েছেন। দুদিন ধরে জল, খাবার না পেয়ে ঘোর সমস্যায় রয়েছেন তাঁরা। স্থানীয়ভাবে কোনও সরকারি সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ। উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় গত দুদিন ধরে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝড়। উদ্ধারকাজ ব্যাপকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কেদারনাথে যে হেলিকপ্টার সার্ভিস ছিল তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকে রয়েছেন শুধু কেদারনাথেই।
১৫ অক্টোবর পূর্বা এক্সপ্রেসে রওনা হয়ে ১৭ তারিখ কেদারনাথে পৌঁছোন চুঁচুড়ার চুমকি রায় ও তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ রায় ও তাঁদের মেয়ে অন্বেষা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরও দুই বাঙালি পর্যটক। তাঁদের নাম অরিজিৎ শীল ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। ভারী বৃষ্টি আর ঝড় শুরু হতেই ধস নামে পাহাড়ে। অরিজিৎ ও সত্যব্রত ঝুঁকি নিয়ে গৌরীকুন্ডে নেমে চলে আসতে পেরেছেন। তবে চুমকিদেবীর পরিবার নামতে পারেনি।
রায় পরিবারের কেদারনাথ থেকে বদ্রীনাথ গুপ্তকাশি হয়ে লক্ষ্ণৌ পৌঁছনোর কথা ছিল। ২৪ তারিখ ফেরার কথা ছিল তাঁদের। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে আপাতত কেদারেই আটকে রয়েছেন তাঁরা।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং দামির সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরাখণ্ডে অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে, মুখ্যমন্ত্রী ধামি স্টেট ডিজাস্টার কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করেন এবং রাস্তা ও জাতীয় সড়কের তথ্য নেন।