০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দু কেন্দ্রে তালিকায় নাম, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ নয় কেন? তেজস্বী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 158

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দু কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্বেও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নেতা বিজয়কুমার সিনহার নাম কেন বাদ পড়ল না খসড়া ভোটার তালিকা থেকে? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা আরজেডির তেজস্বী যাদব। সোমবার তিনি বলেন, আমার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নিল। অথচ যিনি উপমুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির সিনিয়র নেতা সেই বিজয়কুমার সিনহার নাম দু কেন্দ্রেই রেখে দেওয়া হল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কমিশন কেমন পক্ষপাতী আচরণ করছে এবং পুরোপুরি বিজেপির হয়ে কাজ করছে।

 

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

বিজয়কুমার লক্ষ্ণীসরাই কেন্দ্রে নিজের বয়স দেখাচ্ছেন ৫৭, অথচ এই একই ব্যক্তি পাটনা কেন্দ্রে নিজের বয়স দেখাচ্ছেন ৬০ বছর। বিহার কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ রাম বলেছেন, এর থেকেই স্পষ্ট যে, বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের পুরো ব্যাপারটাই প্রহসন মাত্র।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

 

আরও পড়ুন: বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

এদিকে বিজয়কুমারের বিষয়টি চাউর হয়ে যাওয়ায় কমিশন লজ্জায় পড়ে গিয়েছে। কমিশন বিজয়কুমারকে চিঠি দিয়ে ১৪ আগস্টের মধ্যে এই বিভ্রান্তির কারণ দর্শাতে বলেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী এখন সাফাই দিচ্ছেন, তিনি কমিশনকে মর্যাদা দিয়েই জবাব দেবেন। কী সেই জবাব? বিজয়কুমার বলেছেন, পাটনাসাহিবের বাঁকিপুর কেন্দ্রে ৪০৫ নম্বর বুথের তিনি ভোটার। এপিক নম্বর এএফ এস ০৮৫৩৩৪১। আবার তিনিই লক্ষ্ণীসরাই কেন্দ্রেরও ভোটার। এপিক নম্বর আই এ এফ ৩৯৩৯৩৩৭।

 

তিনি নাকি গত ৫ আগস্ট বাঁকিপুর কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে তাঁর নাম বাদ দিতে বি এল ওর কাছে আবেদন করেন। কিন্তু দুটি আলাদা নম্বরের ভোটার কার্ড তিনি কীভাবে পেলেন? এর কোনও জবাব নেই। দুটি কেন্দ্রে নাম তোলার দায়ে তাঁর নামই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দু কেন্দ্রে তালিকায় নাম, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ নয় কেন? তেজস্বী

আপডেট : ১১ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : দু কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্বেও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নেতা বিজয়কুমার সিনহার নাম কেন বাদ পড়ল না খসড়া ভোটার তালিকা থেকে? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিহারের বিরোধী দলনেতা আরজেডির তেজস্বী যাদব। সোমবার তিনি বলেন, আমার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নিল। অথচ যিনি উপমুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির সিনিয়র নেতা সেই বিজয়কুমার সিনহার নাম দু কেন্দ্রেই রেখে দেওয়া হল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কমিশন কেমন পক্ষপাতী আচরণ করছে এবং পুরোপুরি বিজেপির হয়ে কাজ করছে।

 

আরও পড়ুন: সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারিতে ক্ষোভ, বিজেপিকে আক্রমণ উদ্ধব ঠাকরের

বিজয়কুমার লক্ষ্ণীসরাই কেন্দ্রে নিজের বয়স দেখাচ্ছেন ৫৭, অথচ এই একই ব্যক্তি পাটনা কেন্দ্রে নিজের বয়স দেখাচ্ছেন ৬০ বছর। বিহার কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ রাম বলেছেন, এর থেকেই স্পষ্ট যে, বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের পুরো ব্যাপারটাই প্রহসন মাত্র।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার Sonam Wangchuk! ‘তৈরিই ছিলাম’ বললেন লাদাখের ‘র‍্যাঞ্চো’

 

আরও পড়ুন: বেশি অপরাধ বজরং, আরএসএস-এর, বলেও সিদ্ধারামাইয়া নির্দোষ কোর্টে

এদিকে বিজয়কুমারের বিষয়টি চাউর হয়ে যাওয়ায় কমিশন লজ্জায় পড়ে গিয়েছে। কমিশন বিজয়কুমারকে চিঠি দিয়ে ১৪ আগস্টের মধ্যে এই বিভ্রান্তির কারণ দর্শাতে বলেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী এখন সাফাই দিচ্ছেন, তিনি কমিশনকে মর্যাদা দিয়েই জবাব দেবেন। কী সেই জবাব? বিজয়কুমার বলেছেন, পাটনাসাহিবের বাঁকিপুর কেন্দ্রে ৪০৫ নম্বর বুথের তিনি ভোটার। এপিক নম্বর এএফ এস ০৮৫৩৩৪১। আবার তিনিই লক্ষ্ণীসরাই কেন্দ্রেরও ভোটার। এপিক নম্বর আই এ এফ ৩৯৩৯৩৩৭।

 

তিনি নাকি গত ৫ আগস্ট বাঁকিপুর কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে তাঁর নাম বাদ দিতে বি এল ওর কাছে আবেদন করেন। কিন্তু দুটি আলাদা নম্বরের ভোটার কার্ড তিনি কীভাবে পেলেন? এর কোনও জবাব নেই। দুটি কেন্দ্রে নাম তোলার দায়ে তাঁর নামই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।