কৌশিক সালুই বীরভূম:- সাতদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল তৃণমূল কর্মীর ভাইপোর মৃতদেহ। পাথর খাদানের প্রায় ৫০ ফুট মাটি সরিয়ে স্কুটিসহ সালাউদ্দিনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার এক পাথর ব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার পাঁচামি পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায়। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত ব্যবসায়ীর ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত নির্দেশ দিয়েছে সিউরি আদালত।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে সিউড়ির লালকুঠিপাড়ার বাসিন্দা সালাউদ্দিন খান বয়স ৪৮ বছর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। সালাউদ্দিন খান সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাবের আলি খানের সম্পর্কে ভাইপো। এই ঘটনায় পাঁচামি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী তারক টুডু গ্রেফতার হয়েছেন। বিগত বছরের আগস্ট মাসে ওই এলাকায় পাথর ব্যবসায়ী তাপস মন্ডল নামে এক ব্যক্তি খুন হন।
পরবর্তী সময়ে সেই ঘটনায় তারকের নাম জড়িয়ে যায়। যদিও পুলিশি তদন্তে তারক সেই ঘটনায় ক্লিনচিট পেয়ে যায়। তবে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে সেই খুনের ঘটনার পর থেকে ব্ল্যাকমেল ও টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে এই পাল্টা খুন হয়ে থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। নিখোঁজ হওয়ার পর সিউড়ি থানায় সালাউদ্দিন খানের পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। তারপরেই ওই পাথর ব্যবসায়ীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য আটক করে। সেই জিজ্ঞাসাবাদে তারক সালাউদ্দিনকে খুন করিয়ে গাড়িসহ খাদানে ফেলে মাটি চাপা দিয়েছে সেরকম নাকি স্বীকারোক্তি দিয়েছে পুলিশের কাছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশ সরাসরি এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাঁচামির সালডাঙ্গা এলাকায় তারক টুডুর পাথর খাদানে দেহ খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। মাটি কাটার মেশিন দিয়ে দাম পাড়ে সেই মাটি তুলে ফেলা হচ্ছে সালাউদ্দিনকে খুঁজতে। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় দেহ।
এদিন ধৃত তারককে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয় যদিও বিচারক ১০ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
সাবের আলি খান বলেন,” ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ভাইপোকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে”। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জি বলেন,” ওই ব্যক্তি নিখোঁজের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে”।