১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীতলকুচির রক্তের দাগ রয়েছে বিজেপি প্রার্থীর হাতে: দেবাশিস ধরকে নিয়ে বিস্ফোরক ব্রাত‍্য

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার
  • / 36

বোলপুর, ২৮ এপ্রিল: কে বলতে পারে বিজেপি প্রার্থী পদ ভিতর থেকে বাতিল করেনি বিজেপি। কারণ, শীতলকুচির রক্তের দাগ প্রার্থীর হাতে রয়েছে বললেন রাজ‍্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত‍্য বসু। তিনি বলেন, এই বুঝে বিজেপি ভিতর থেকে করেছে। এভাবেই দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ‍্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

 

আরও পড়ুন: কসবার আইন কলেজ দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা শিক্ষক সংগঠনের নেতা প্রলয় নায়েক প্রমুখ৷ রুদ্ধদ্বার কর্মীসভার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী৷ বীরভূম জেলায়, শিক্ষক শিক্ষিকা, অধ‍্যাপক, প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চমাধ‍্যমিক শিক্ষা সমিতি ওয়েবকুবা অর্থাৎ অধ‍্যাপক সমিতি নিয়ে আলোচনা হলো। দুদিনের এই সফরে সোমবার রামপুরহাট, ময়ুরেশ্বর এবং হাঁসনে বৈঠক হবে। রবিবার কর্মী বৈঠকের পর সন্দেশখালিতে এন এস জি কামাণ্ডো প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সন্দেশখালিতে ফলাফল প্রকাশ হলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে। বাংলা কে ম্যালাইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকেই অ্যাডমিশন পোর্টালে আবেদন করা যাবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

 

আরও পড়ুন: গরমে দু’দিন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

“এসএসসি কিসের ভিত্তিতে অযোগ্য চাকরি প্রার্থী ভাগ করেছে তা আমি বলতে পারব না”, স্পষ্ট করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, চাকরিহারারা ভোট কর্মী হিসাবে কাজ করার অর্থ নির্বাচন কমিশন তাদের যোগ্য মনে করছেন, এই বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টে জানাতে পারে রাজ্য ও এসএসসি, বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। এমনকি, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন‍্যান‍্য উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্যপাল দ্বারা নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা ‘বেআইনি’ বলেন ব্রাত্য বসু৷ প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা শীর্ষ আদালতে গিয়েছি৷ সেই রায়ের অপেক্ষায় আছি৷ এই ভাবে এতজনের চাকরি বাতিল করা যায় না৷”

 

তবে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেল চাকরিহারারা ভোট কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন৷ তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বলছে চাকরি নেই, অথচ কমিশন ভোট কর্মী হিসাবে রেখেছে। তাহলে নির্বাচন কমিশন তাদের অযোগ্য মনে করেনি৷ আমাদের মতকেই মান‍্যতা দেওয়া হলো। এই পয়েন্টটা আমরা সুপ্রিমকোর্টে জানাতে পারি।” শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করেন, যোগ্য-অযোগ্য বিচার এসএসএস করেছে৷ এসএসসি স্বশাসিত একটা সংস্থা৷ কিসের ভিত্তিতে তারা যোগ্য-অযোগ্য বিচার করেছে, সেটা আমি বলতে পারব না৷ তারাই বলতে পারবে৷”

 

এখন প্রায় ২৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ দেশের শীর্ষ আদালতের হাতে৷ কিছু শিক্ষক আমার কাছে কান্নাকাটি করেছেন। তাদের যোগ‍্যতা থাকা সত্ত্বেও, কিভাবে ম‍্যানিপুলেট করে সরানো হলো? যেটা আমাদের নেত্রী বলেছেন, চাকরি খেকোদের যে উন্মত্ত আনন্দ! দেখুন ব‍্যাপারটা সাবজুডিস, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট অবধি গেছে। সেটা আইনী লড়াই। যেটা রাজ‍্যসরকার, এস এস সি এবং মাধ‍্যমিক বোর্ড লড়বে। সবাই আদালতে গেছেন। মানুষ দেখুক, তৃণমূল আমলে চাকরি খেতে, চাকরি নিয়ে খারাপ কথা বলতে, এবং যোগ্যদের চাকরি খাওয়ার পর রামবামেদের যে উল্লাস, সেটার দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শীতলকুচির রক্তের দাগ রয়েছে বিজেপি প্রার্থীর হাতে: দেবাশিস ধরকে নিয়ে বিস্ফোরক ব্রাত‍্য

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার

বোলপুর, ২৮ এপ্রিল: কে বলতে পারে বিজেপি প্রার্থী পদ ভিতর থেকে বাতিল করেনি বিজেপি। কারণ, শীতলকুচির রক্তের দাগ প্রার্থীর হাতে রয়েছে বললেন রাজ‍্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত‍্য বসু। তিনি বলেন, এই বুঝে বিজেপি ভিতর থেকে করেছে। এভাবেই দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ‍্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

 

আরও পড়ুন: কসবার আইন কলেজ দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা শিক্ষক সংগঠনের নেতা প্রলয় নায়েক প্রমুখ৷ রুদ্ধদ্বার কর্মীসভার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী৷ বীরভূম জেলায়, শিক্ষক শিক্ষিকা, অধ‍্যাপক, প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চমাধ‍্যমিক শিক্ষা সমিতি ওয়েবকুবা অর্থাৎ অধ‍্যাপক সমিতি নিয়ে আলোচনা হলো। দুদিনের এই সফরে সোমবার রামপুরহাট, ময়ুরেশ্বর এবং হাঁসনে বৈঠক হবে। রবিবার কর্মী বৈঠকের পর সন্দেশখালিতে এন এস জি কামাণ্ডো প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সন্দেশখালিতে ফলাফল প্রকাশ হলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে। বাংলা কে ম্যালাইন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকেই অ্যাডমিশন পোর্টালে আবেদন করা যাবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

 

আরও পড়ুন: গরমে দু’দিন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

“এসএসসি কিসের ভিত্তিতে অযোগ্য চাকরি প্রার্থী ভাগ করেছে তা আমি বলতে পারব না”, স্পষ্ট করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, চাকরিহারারা ভোট কর্মী হিসাবে কাজ করার অর্থ নির্বাচন কমিশন তাদের যোগ্য মনে করছেন, এই বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টে জানাতে পারে রাজ্য ও এসএসসি, বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী। এমনকি, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন‍্যান‍্য উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্যপাল দ্বারা নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা ‘বেআইনি’ বলেন ব্রাত্য বসু৷ প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা শীর্ষ আদালতে গিয়েছি৷ সেই রায়ের অপেক্ষায় আছি৷ এই ভাবে এতজনের চাকরি বাতিল করা যায় না৷”

 

তবে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেল চাকরিহারারা ভোট কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন৷ তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বলছে চাকরি নেই, অথচ কমিশন ভোট কর্মী হিসাবে রেখেছে। তাহলে নির্বাচন কমিশন তাদের অযোগ্য মনে করেনি৷ আমাদের মতকেই মান‍্যতা দেওয়া হলো। এই পয়েন্টটা আমরা সুপ্রিমকোর্টে জানাতে পারি।” শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করেন, যোগ্য-অযোগ্য বিচার এসএসএস করেছে৷ এসএসসি স্বশাসিত একটা সংস্থা৷ কিসের ভিত্তিতে তারা যোগ্য-অযোগ্য বিচার করেছে, সেটা আমি বলতে পারব না৷ তারাই বলতে পারবে৷”

 

এখন প্রায় ২৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ দেশের শীর্ষ আদালতের হাতে৷ কিছু শিক্ষক আমার কাছে কান্নাকাটি করেছেন। তাদের যোগ‍্যতা থাকা সত্ত্বেও, কিভাবে ম‍্যানিপুলেট করে সরানো হলো? যেটা আমাদের নেত্রী বলেছেন, চাকরি খেকোদের যে উন্মত্ত আনন্দ! দেখুন ব‍্যাপারটা সাবজুডিস, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট অবধি গেছে। সেটা আইনী লড়াই। যেটা রাজ‍্যসরকার, এস এস সি এবং মাধ‍্যমিক বোর্ড লড়বে। সবাই আদালতে গেছেন। মানুষ দেখুক, তৃণমূল আমলে চাকরি খেতে, চাকরি নিয়ে খারাপ কথা বলতে, এবং যোগ্যদের চাকরি খাওয়ার পর রামবামেদের যে উল্লাস, সেটার দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।