সোনা চুরির অভিযোগে বিজেপি নেতা গ্রেফতার! ওড়িশায় ধৃত পশ্চিম মেদিনীপুরের যুব মোর্চা নেতাকে ঘিরে রাজনৈতিক তোলপাড়
- আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, শনিবার
- / 340
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ওড়িশার জলেশ্বরের গয়নার দোকান থেকে ১০০ গ্রাম সোনা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি যুব মোর্চার এক প্রাক্তন নেতা সোমনাথ সাউ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “২৫ লক্ষ টাকার সোনা চুরি করার সময় ধরা পড়েছেন বিজেপি নেতা”।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে। জলেশ্বরের একটি গয়নার দোকান থেকে সোনা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন সোমনাথ সাউ, যিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ধৃত বিজেপির যুব মোর্চার হবিবপুর মন্ডলের সম্পাদক।
প্রমাণ হিসেবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং খড়্গপুর বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোমনাথের ছবি। কুণাল লেখেন, “সিসিটিভি ফুটেজে চুরির দৃশ্য ধরা পড়েছে। এই ছবিগুলোই প্রমাণ করে সে কার সঙ্গে যুক্ত ছিল।”
এই চুরির ঘটনায় বিজেপি নিজেদের দায় এড়াতে তৎপর হয়েছে। বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “সোমনাথ এক সময় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঠিকই, কিন্তু গত দেড় বছর ধরে দলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই।”
তিনি আরও জানান, “নতুন জেলা কমিটি তৈরি না হওয়ায় হয়তো পুরনো তালিকায় তার নাম রয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই। বরং তৃণমূলেরই ইতিহাস নারকীয় অপরাধে ভরা।” উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি কসবার কলেজে ধর্ষণ ও নদিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঘটনাও টেনে আনেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগে।
সোমনাথের সঙ্গে পুরনো ছবির প্রসঙ্গে বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ছবিটি ২০২১ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় তোলা। সেই সময় অনেকেই ছবি তুলেছেন। কে চোর আর কে ডাকাত তা কীভাবে আমি জানব? তবে ওড়িশার বিজেপি সরকার যেভাবে চোরকে রাজনৈতিক রঙ না দেখে গ্রেফতার করেছে, তা প্রশংসনীয়। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “বিজেপি মানেই নারী পাচার, ড্রাগ পাচার, সোনা পাচার। এরা সুশাসনের কথা বলে, অথচ তাঁদের নেতাদের চরিত্রই বলে দেয় আসল রূপ। এই জেলায় বিজেপির অস্তিত্বই নেই। যারা রয়েছে, তাদের অধিকাংশই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।”




















































