০৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধানসভায় কাগজ ছোড়ায় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সাসপেন্ড

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 194

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বৃহস্পতিবার বিধানসভা এক অন্যরকম অশান্তির সাক্ষী থাকল। বাংলা ও বাঙালি প্রসঙ্গে আলোচনার সময় অধিবেশন হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অধিবেশন চলাকালীন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নিজের বক্তব্য রাখতে যান ঠিক তখনই বিরোধী বিজেপি বিধায়কেরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, তা হাতের বাইরে চলে যায়। এমনকি তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরের সংঘাত হাতাহাতির পর্যায়ে  পৌঁছয়। এমনকি মার্শালের সঙ্গেও হাতাহাতি হয়। আপাতভাবে অবস্থা  নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ওয়েলে নেমে আসেন। ঘটনা এতটাই চরম সীমায় পৌছোঁয় যে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  “গণতন্ত্রকে হত্যা” বলেও দাবি করেছেন। করছিলেন—“ওয়ান টু থ্রি ফোর, তৃণমূলে সবাই চোর” এই ধরনের স্লোগান দিতেও শোনা যায় বিজেপি বিধায়কদের।

আরও পড়ুন: TET 2022 candidate: নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, বিধানসভার সামনে তুমুল উত্তেজনা

জবাবে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, বিজেপি হল সবথেকে বড় চোর।’ এছাড়া এদিন নিয়মভঙ্গের দায়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী, বঙ্কিম ঘোষ ও অশোক দিন্দাকে সাসপেন্ড ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান  বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই ঘটনার পরেও স্পিকারের নির্দেশ না মানার জন্য শঙ্কর ঘোষকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

আরও পড়ুন: ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেন অগ্নিমিত্রা পাল

সেই কারণে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হস্তক্ষেপে ধস্তাধস্তি বাঁধে। ফলে শঙ্কর ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আপাতত তাঁকে জেএন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ও চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও শশী পাঁজা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়,  রত্না দে নাগ, অসীমা পাত্র প্রমুখ মহিলা বিধায়করা বিজেপির আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁরাও ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান।

আরও পড়ুন: ক্রেতাদের ডিজিটাল অভিযোগ সহজতর করতে চালু ‘ই জাগৃতি’ পোর্টাল, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী

এই  পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজ দলের সমস্ত বিধায়কদের আসনে বসার  নির্দেশ দেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিধানসভায় এই ধরণের ঘটনা খুবই বিরল। এর আগেও চলতি অধিবেশনের সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিধানসভায় কাগজ ছোড়ায় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সাসপেন্ড

আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বৃহস্পতিবার বিধানসভা এক অন্যরকম অশান্তির সাক্ষী থাকল। বাংলা ও বাঙালি প্রসঙ্গে আলোচনার সময় অধিবেশন হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অধিবেশন চলাকালীন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নিজের বক্তব্য রাখতে যান ঠিক তখনই বিরোধী বিজেপি বিধায়কেরা তুমুল হট্টগোল শুরু করেন।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, তা হাতের বাইরে চলে যায়। এমনকি তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরের সংঘাত হাতাহাতির পর্যায়ে  পৌঁছয়। এমনকি মার্শালের সঙ্গেও হাতাহাতি হয়। আপাতভাবে অবস্থা  নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ওয়েলে নেমে আসেন। ঘটনা এতটাই চরম সীমায় পৌছোঁয় যে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  “গণতন্ত্রকে হত্যা” বলেও দাবি করেছেন। করছিলেন—“ওয়ান টু থ্রি ফোর, তৃণমূলে সবাই চোর” এই ধরনের স্লোগান দিতেও শোনা যায় বিজেপি বিধায়কদের।

আরও পড়ুন: TET 2022 candidate: নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, বিধানসভার সামনে তুমুল উত্তেজনা

জবাবে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, বিজেপি হল সবথেকে বড় চোর।’ এছাড়া এদিন নিয়মভঙ্গের দায়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মিহির গোস্বামী, বঙ্কিম ঘোষ ও অশোক দিন্দাকে সাসপেন্ড ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান  বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই ঘটনার পরেও স্পিকারের নির্দেশ না মানার জন্য শঙ্কর ঘোষকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

আরও পড়ুন: ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেন অগ্নিমিত্রা পাল

সেই কারণে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হস্তক্ষেপে ধস্তাধস্তি বাঁধে। ফলে শঙ্কর ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আপাতত তাঁকে জেএন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ও চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও শশী পাঁজা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়,  রত্না দে নাগ, অসীমা পাত্র প্রমুখ মহিলা বিধায়করা বিজেপির আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁরাও ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান।

আরও পড়ুন: ক্রেতাদের ডিজিটাল অভিযোগ সহজতর করতে চালু ‘ই জাগৃতি’ পোর্টাল, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী

এই  পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজ দলের সমস্ত বিধায়কদের আসনে বসার  নির্দেশ দেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিধানসভায় এই ধরণের ঘটনা খুবই বিরল। এর আগেও চলতি অধিবেশনের সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।