২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়াশিংটনে বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 111

ওয়াশিংটন: আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলেছেন, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানের রেকর্ডিং যন্ত্রগুলো (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার) উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বাধীন তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএএসবি) এখন ব্ল্যাক বক্সের তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করবে। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডই এ ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্টে সংস্থাটি জানায়, রেকর্ডারগুলো বিশ্লেষণের জন্য এনটিএসবি ল্যাবে রয়েছে। এর আগে এনটিএসবি চেয়ারম্যান জেনিফার হোমেন্ডি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনার তদন্তে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এই ট্র্যাজেডির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করব।
ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ-আকাশে সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হয় যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টার। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে দুর্ঘটনা হওয়ায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে অভিযান চালাতে বেশ বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। বিমানটিতে ৬৪ জন ও হেলিকপ্টারে ৩ জন আরোহী ছিলেন। এই ৬৭ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের মরদেহ শীঘ্রই উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানান ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার ও ইমারজেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রধান।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধযোগ্য ছিল। ট্রাম্প আরও বলেন, শীঘ্রই যাত্রীদের নামের তালিকা এবং কোন কোন দেশের নাগরিক আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানে ছিলেন, তা প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন: এএআইবির ল্যাবে ব্ল্যাক বক্স, তথ্য উদ্ধারের সম্ভাবনা প্রবল

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওয়াশিংটনে বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার

আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

ওয়াশিংটন: আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসিতে যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলেছেন, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানের রেকর্ডিং যন্ত্রগুলো (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার) উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত ব্ল্যাক বক্স নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বাধীন তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএএসবি) এখন ব্ল্যাক বক্সের তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করবে। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডই এ ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্টে সংস্থাটি জানায়, রেকর্ডারগুলো বিশ্লেষণের জন্য এনটিএসবি ল্যাবে রয়েছে। এর আগে এনটিএসবি চেয়ারম্যান জেনিফার হোমেন্ডি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনার তদন্তে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এই ট্র্যাজেডির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করব।
ওয়াশিংটন ডিসির মাঝ-আকাশে সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হয় যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টার। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে দুর্ঘটনা হওয়ায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে অভিযান চালাতে বেশ বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। বিমানটিতে ৬৪ জন ও হেলিকপ্টারে ৩ জন আরোহী ছিলেন। এই ৬৭ জন আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের মরদেহ শীঘ্রই উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানান ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার ও ইমারজেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রধান।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধযোগ্য ছিল। ট্রাম্প আরও বলেন, শীঘ্রই যাত্রীদের নামের তালিকা এবং কোন কোন দেশের নাগরিক আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানে ছিলেন, তা প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন: এএআইবির ল্যাবে ব্ল্যাক বক্স, তথ্য উদ্ধারের সম্ভাবনা প্রবল