১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বউবাজারে ফাটল কাণ্ড: মেট্রোর সুড়ঙ্গে জলস্রোত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ রোধ করা সম্ভব হয়েছে, জানাল কেএমআরসিএল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 15

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বউবাজারে ফাটল কাণ্ডে সাময়িক স্বস্তি। মেট্রোর সুড়ঙ্গের ভিতরে জলস্রোতের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে, নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল।

শুক্রবার থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাটির নীচে জলস্রোত আটকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল কিন্তু বৃষ্টির জন্য বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। শনিবার সকালে কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানো হয়, মেট্রোর সুড়ঙ্গের ভিতরে জলস্রোতের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, প্রতিবাদে কমিশনের দেওয়া পরিচয়পত্র পোড়ালেন সাংবাদিকরা

প্রসঙ্গত, পুজোর ঠিক পরে শুরু হয় বউবাজার মেট্রো প্রকল্পের কাজ। তারই চরম মাশুল দিতে হয় বউবাজার সংলগ্ন মানুষকে। শুক্রবার ভোররাতে দুর্গা পিতুরি লেনের পাশের গলি মদন লেন ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তারা। এমনকী মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলে তাদের বাধা দেয় স্থানীয় মানুষেরা।

আরও পড়ুন: রামনবমীর হিংসা: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে হাওড়া যেতে বাধা পুলিশের

ফাটল দেখা দেওয়ার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকা খালি করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় হোটেলে রাখা হয় তাদের। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির পাশে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: পথ কুকুরকে খাওয়ার দিতে বাধা, মহিলাকে কামড়ে দিলেন পশুপ্রেমী নিজেই   

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। গোটা ঘটনায় তিনি মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে গিনিপিগের মতো আচরণ করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এই অসহায় মানুষগুলির দায়িত্ব কারা নেবে? বউবাজার স্ট্রিট ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে শুধুমাত্র মেট্রো কর্তৃপক্ষের জন্য। আমরা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত বক্তব্য দাবি করছি।’

শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কেএমআরসিএল-এর কর্তারা। তারা বলেন, দক্ষতার সঙ্গে উন্নত মানের গ্রাউটিং ও পলিইউথিরিন কেমিক্যাল সঠিকভাবে ব্যবহার করার ফলে এই জল গতিতে বেরিয়ে আসা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ কেএমআরসিএল-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কলকাতা পুরনিগমের ভবনে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার কেএমআরসিএল-এর থেকে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রাউটিং-এর ক্ষেত্রে তার নাম পলিইউথিরিন। এই রাসায়নিক গ্রাউটিং-এ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জলকে সহজে শুষে নেয়। যেখান থেকে জল বেরোচ্ছিল সেখানে এর ব্যবহারে কাজের সুবিধা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বউবাজারে ফাটল কাণ্ড: মেট্রোর সুড়ঙ্গে জলস্রোত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ রোধ করা সম্ভব হয়েছে, জানাল কেএমআরসিএল

আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বউবাজারে ফাটল কাণ্ডে সাময়িক স্বস্তি। মেট্রোর সুড়ঙ্গের ভিতরে জলস্রোতের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে, নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল।

শুক্রবার থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাটির নীচে জলস্রোত আটকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল নির্মাণ সংস্থা কেএমআরসিএল কিন্তু বৃষ্টির জন্য বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। শনিবার সকালে কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানো হয়, মেট্রোর সুড়ঙ্গের ভিতরে জলস্রোতের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, প্রতিবাদে কমিশনের দেওয়া পরিচয়পত্র পোড়ালেন সাংবাদিকরা

প্রসঙ্গত, পুজোর ঠিক পরে শুরু হয় বউবাজার মেট্রো প্রকল্পের কাজ। তারই চরম মাশুল দিতে হয় বউবাজার সংলগ্ন মানুষকে। শুক্রবার ভোররাতে দুর্গা পিতুরি লেনের পাশের গলি মদন লেন ও বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তারা। এমনকী মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলে তাদের বাধা দেয় স্থানীয় মানুষেরা।

আরও পড়ুন: রামনবমীর হিংসা: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে হাওড়া যেতে বাধা পুলিশের

ফাটল দেখা দেওয়ার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকা খালি করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় হোটেলে রাখা হয় তাদের। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির পাশে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: পথ কুকুরকে খাওয়ার দিতে বাধা, মহিলাকে কামড়ে দিলেন পশুপ্রেমী নিজেই   

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। গোটা ঘটনায় তিনি মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে গিনিপিগের মতো আচরণ করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এই অসহায় মানুষগুলির দায়িত্ব কারা নেবে? বউবাজার স্ট্রিট ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে শুধুমাত্র মেট্রো কর্তৃপক্ষের জন্য। আমরা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত বক্তব্য দাবি করছি।’

শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কেএমআরসিএল-এর কর্তারা। তারা বলেন, দক্ষতার সঙ্গে উন্নত মানের গ্রাউটিং ও পলিইউথিরিন কেমিক্যাল সঠিকভাবে ব্যবহার করার ফলে এই জল গতিতে বেরিয়ে আসা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ কেএমআরসিএল-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কলকাতা পুরনিগমের ভবনে এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার কেএমআরসিএল-এর থেকে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রাউটিং-এর ক্ষেত্রে তার নাম পলিইউথিরিন। এই রাসায়নিক গ্রাউটিং-এ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা জলকে সহজে শুষে নেয়। যেখান থেকে জল বেরোচ্ছিল সেখানে এর ব্যবহারে কাজের সুবিধা হয়েছে।