বাস, ট্রাক, ট্যাক্সির সঙ্গে প্রার্থীর ভোট খরচ তালিকায় প্রথমবার সংযুক্ত হচ্ছে ‘টোটো’

- আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪, রবিবার
- / 7
দেবিকা মজুমদার: এতদিন প্রার্থীদের ভোট খরচ তালিকায় বাস, ট্রাক, ট্যাক্সির খরচ যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। প্রথমবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ‘টোটো’ বা ই-রিক্সাও। নির্বাচনী প্রচারে ‘টোটো’-র বার বাড়ন্তর কথা মাথায় রেখে এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বহরে ছোট হওয়ায় তস্য থেকে অতি তস্য গলি-ঘুব্জির মধ্যে সহজেই প্রবেশ করতে পারে ‘টোটো’। আর সেই কারণেই বিগত কয়েকটি নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে টোটোকে বহুল ভাবে কাজে লাগিয়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে ‘টোটো’ ব্যবহার হলেই, সেই বাবদ কত খরচ হল তার হিসাব দিতে হবে প্রার্থীকে। প্রার্থীর ভোট খরচের সঙ্গে তা যুক্ত করা হবে বলে এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, একজন প্রার্থী ভোটে ৯৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। সেই খরচের মধ্যেই এবার যুক্ত হবে ‘টোটো’ সহযোগে প্রচারের খরচও। তবে নির্বাচনী প্রচারে এই ‘টোটো’র ব্যবহারের ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম বিধি আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জারি করা কমিশনের ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও প্রার্থীর প্রচারে ‘টোটো’ বা ই-রিক্সা ব্যবহার করা হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে আগে থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে। কত গুলি ‘টোটো’ কোন এলাকায় কীভাবে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হবে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে প্রার্থীকে। এছাড়াও নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, কোনও পারমিটহীন বা অনুমোদনহীন ‘টোটো’ প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
একইসঙ্গে, পুর এলাকায় প্রচারের কাজে টোটো ব্যবহার হলে সেই ‘টোটো’কে সংশ্লিষ্ট পুরসভা থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত হতে হবে। পঞ্চায়েত এলাকায় ‘টোটো’র ব্যবহার হলে সেই ‘টোটো’ চালককে আগে থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে পারমিট সংগ্রহ করতে হবে বলেও ওই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে কোনও টোটো স্বেচ্ছায় কোনও রাজনৈতিক দলের পোস্টার লাগিয়ে যাত্রী বহনের কাজ করতেই পারে। সেক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। তবে প্রচারের কাজে ব্যবহার হলেই ‘টোটো’ চালককে আলাদা করে তার জন্য অনুমোদন সংগ্রহ করতে হবে।