পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বায়রন, নেপথ্যে হামলার সম্ভাবনা

- আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, বুধবার
- / 16
পুবের কলম প্রতিবেদক: কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে জয়ের ৩ মাসের মধ্যেই তিনি চলে এসেছেন তৃণমূলে। সেইসঙ্গে রাজ্য বিধানসভা থেকে মুছে গিয়েছে কংগ্রেসের শেষ চিহ্নটুকুও। এবার তিনিই পেয়ে গেলেন পুলিশি নিরাপত্তা। নজরে সাগরদিঘীর বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। দলবদলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি পেয়ে গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জে বায়রনের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তার বহর চোখে পড়েছে। বিধায়কের বাড়ির নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছেন ৮ জন সশস্ত্র কনস্টেবল ও ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর বা ASI (I আর বায়রণের দেহরক্ষী হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৩ জন কনস্টেবল, ১ জন সাব-ইনস্পেক্টর বা (I এবং ১জন ASI )। কিন্তু কেন এই পুলিশি ঘেরাটোপ?
সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়রনের ওপর হামলার সম্ভাবনা রয়েছে এবং হামলা চালানো হতে পারে তাঁর বাড়িতেও। তাই এই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ।
সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দলবদল করেন বায়রন। সূত্রে জানা গিয়েছে, দলবদলের পরেই রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তার সঙ্গে ফোনে নিজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন বায়রন। ওই পুলিশ কর্তার কাছে তিনি জানান, মুর্শিবাদাবাদের মাটিতে ফিরলেই তাঁর ওপর হামলা হতে পারে। তাই পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হোক তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে। আর তারপরেই এদিন সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে এবং ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মোতায়েন করার ঘটনাটি চোখে পড়ে।
গত ২ মার্চ সাগরদিঘী থেকে কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্য পুলিশের কাছে দরবার করেছিলেন বায়রন। এমনকি সেই আবেদন রাজ্য সরকার বিশেষ পাত্তা না দেওয়ায় বায়রন এক সময় বাধ্য হয়েই নিজের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তার জেরে চলতি মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁকে নিরাপত্তা দিতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরেও তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য পুলিশ গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন বায়রন নিজেই।