০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় সমাজ থেকে বর্ণভেদ, জাতিভেদ প্রথা বিলুপ্ত হওয়া উচিৎ: ভাগবত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 37

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : বর্ণভেদ, জাতিভেদ প্রথা নিয়ে সরব হলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বর্ণ এবং জাতিব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতাকে সামনে এনে আরএসএস সুপ্রিমো ভাগবত বলেন, যদি কেউ বর্ণ এবং জাতির মতো প্রাচীন প্রতিষ্ঠানগুলির প্রসঙ্গ সামনে আনেন, তবে তাদের বলে দিতে হবে, সেগুলি সব ভুলে যান এগুলি সব অতীত হয়ে গেছে। ভাগবত বলেন, এই ধরনের প্রথা ভারতীয় সমাজ থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হওয়া উচিৎ’।

শুক্রবার নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে ‘বজ্রসূচি টাঙ্ক’ বইপ্রকাশ করেন ভাগবত। এই বইয়ের লেখক হলেন মদন কুলকার্নি এবং রেণুকা বোকারে। বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ভাগবত বলেন, হিন্দু ধর্মে শুরু থেকে বর্ণভেদ বা জাতিভেদ প্রথা ছিল না। জাতিভেদ প্রথা চালু করাটাই ছিল একটা মারাত্মক ভুল। এই ভুল আমাদের পূর্বপুরুষরা করে গিয়েছেন। তবে তাদের সেই ভুল মেনে নিতে আমাদের কুন্ঠাবোধের কোনও কারণ থাকার কথা নয়। কারণ ভুল মেনে নেওয়া আমাদের ছোট করে দেবে না। প্রত্যেকের পূর্বপুরুষরাই অনেক ভুল করে থাকে। এটাও সেই রকম একটি ভুল ছিল।

আরও পড়ুন: দেশে এখনও দরিদ্র, অনাহার, বেকারত্ব, বর্ণবাদ, অস্পৃশ্যতা এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যা রয়ে গিয়েছে আরএসএস  অনুসারী সংগঠনের অনুষ্ঠানে বললেন নীতিন গড়করি

ভাগবত আরও বক্তব্য,  ভারতের সংস্কৃতির মধ্যেই সামাজিক ঐক্যের ধারণা নিহিত রয়েছে। কিন্তু বর্ণ এবং জাতিপ্রথার কারণে দেশের সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে।আরএসএস প্রধানের দাবি, ‘সামাজিক সাম্য ভারতীয় সমাজজীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু এটাকে দীর্ঘদিন উপেক্ষা করা হয়েছে। সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে, এমন সব কিছুকে বিসর্জন দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মুসলিম সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনে নেমেছিলেন আরএসএস সুপ্রিমো। আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় মুসলিমদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তার আগে তিনি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মাওলানা আরশাদ মাদানীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভারতীয় সমাজ থেকে বর্ণভেদ, জাতিভেদ প্রথা বিলুপ্ত হওয়া উচিৎ: ভাগবত

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : বর্ণভেদ, জাতিভেদ প্রথা নিয়ে সরব হলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বর্ণ এবং জাতিব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতাকে সামনে এনে আরএসএস সুপ্রিমো ভাগবত বলেন, যদি কেউ বর্ণ এবং জাতির মতো প্রাচীন প্রতিষ্ঠানগুলির প্রসঙ্গ সামনে আনেন, তবে তাদের বলে দিতে হবে, সেগুলি সব ভুলে যান এগুলি সব অতীত হয়ে গেছে। ভাগবত বলেন, এই ধরনের প্রথা ভারতীয় সমাজ থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হওয়া উচিৎ’।

শুক্রবার নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে ‘বজ্রসূচি টাঙ্ক’ বইপ্রকাশ করেন ভাগবত। এই বইয়ের লেখক হলেন মদন কুলকার্নি এবং রেণুকা বোকারে। বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ভাগবত বলেন, হিন্দু ধর্মে শুরু থেকে বর্ণভেদ বা জাতিভেদ প্রথা ছিল না। জাতিভেদ প্রথা চালু করাটাই ছিল একটা মারাত্মক ভুল। এই ভুল আমাদের পূর্বপুরুষরা করে গিয়েছেন। তবে তাদের সেই ভুল মেনে নিতে আমাদের কুন্ঠাবোধের কোনও কারণ থাকার কথা নয়। কারণ ভুল মেনে নেওয়া আমাদের ছোট করে দেবে না। প্রত্যেকের পূর্বপুরুষরাই অনেক ভুল করে থাকে। এটাও সেই রকম একটি ভুল ছিল।

আরও পড়ুন: দেশে এখনও দরিদ্র, অনাহার, বেকারত্ব, বর্ণবাদ, অস্পৃশ্যতা এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যা রয়ে গিয়েছে আরএসএস  অনুসারী সংগঠনের অনুষ্ঠানে বললেন নীতিন গড়করি

ভাগবত আরও বক্তব্য,  ভারতের সংস্কৃতির মধ্যেই সামাজিক ঐক্যের ধারণা নিহিত রয়েছে। কিন্তু বর্ণ এবং জাতিপ্রথার কারণে দেশের সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে।আরএসএস প্রধানের দাবি, ‘সামাজিক সাম্য ভারতীয় সমাজজীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু এটাকে দীর্ঘদিন উপেক্ষা করা হয়েছে। সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে, এমন সব কিছুকে বিসর্জন দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মুসলিম সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনে নেমেছিলেন আরএসএস সুপ্রিমো। আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় মুসলিমদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তার আগে তিনি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মাওলানা আরশাদ মাদানীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন।